somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এই হরতাল জিনিসটা কি? খায় না মাথায় দেয়?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের দেশে একটা শ্লোক প্রচলিত আছে। কিছুটা পরিবর্তন করে সেটা এখানে উল্লেখ করছিঃ

পাগল চেতে চৈত্র মাসে, কার্তিকে চেতে কুত্তা,
বিএনপি চেতে ডিসেম্বরে, কতা নহে মিত্যা!

গতবার এই টাইমে বিএনপি বেশ চেইতা গেছিল। কিন্তু এইবার কেন যেন একটু ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব। ৫ই জানুয়ারি ইলেকশন হয়ে যাবার পরে মনে হয়েছিল যে, বিএনপি এই সরকারকে এক মাসও টিকতে দিবেনা - এমন হম্বি তম্বি! কিন্তু আসলে দেখলাম কি?

আন্দোলন করলে পুলিশে পিটায়, তাই আন্দোলন করিনা

জনসভা করতে চাই, পুলিশে অনুমতি দেয়না, তাই জনসভা করতে পারিনা

আমেরিকার দুই আনার মন্ত্রীর কাছে এত নালিশ দেই, তারা পাত্তা দেয়না।

হরতাল ডাকলে মামলায় ফাসায়, তাই হরতালও ডাকিনা।

আমাদের খুব দুর্ভাগ্য যে বিএনপি নামে জন্মগতভাবে কিছু উজবুকের রাজনীতি আমাদেরকে দেখতে হয়। সম্পূর্ণ বিনা কারণে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতাকে গ্রেফতার করা হল, রিমান্ডে নিয়ে গেল, কিন্তু বিএনপির কারো তাতে কোন প্রতিক্রিয়া নেই।

গাজীপুরে সমাবেশ নিয়ে কত বড় বড় কথা! যে কোন মূল্যে সমাবেশ হবেই। যেখানে বাধা, সেখানেই প্রতিরোধ। সরকার পতনের আন্দোলন গাজীপুর থেকে শুরু হবে ব্লা ব্লা ব্লা....।

কিন্তু দেখলাম কি? ছাত্র লীগের মত একটা পরগাছা টাইপ সংগঠনের কিছু গুন্ডা পান্ডা রামদা-চাপাতি নিয়ে নামল, আর বিএনপির বংশও কোথাও খুঁজে পাওয়া গেলনা। প্রতিবাদে হরতাল। হরতাল চলাকালে ছাত্রলীগ গাজীপুর দাপিয়ে খুঁজল হরতাল কারা ডাকে - কোথাও কাউকে খুঁজে পেলনা!

হরতাল কি কোন প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে? রাস্তায় না নামলে, পুলিশের মার না খেলে মানুষকে কি দেখাবেন? মানুষের ভোটাধিকারের আন্দোলন কি ঘরে বসে হরতাল ডেকেই আদায় করে ফেলবেন? মানুষ কি এতটাই বোকা?

বিএনপির নেতাদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা আপনাদের দল বিলুপ্ত ঘোষণা করুন, আপনাদের অক্ষমতা স্বীকার করে মানুষের কাছে ক্ষমা চান। এখন মানুষ আপনাদেরকে ক্ষমা করে দিতেও পারে। কিন্তু আন্দোলনের নামে একের পর এক সার্কাস দেখাতে থাকলে মানুষ একসময় চরম বিরক্ত হয়ে উঠবে আর তখন এটা অসম্ভব নয় যে তারা আপনাদেরকে ঘর থেকে টেনে রাস্তায় বের করে নেড়ি কুকুরের মত পেটাবে। আপনারা সরকারের কোন অংশ নয় যে সরকার আপনাদেরকে নিরাপত্তা দেবে।

সময় থাকতে নিজেরা রাস্তায় নামুন, নয়ত জনগণ আপনাদের চুলের মুঠি ধরে রাস্তায় নামাবে - আপনাদের পেছনে পেছনে স্লোগান দেবার জন্য নয়। রাজনীতির নামে তাদের অধিকারের অবমাননা করার জন্য।
৮টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×