আমাদের দেশে একটা শ্লোক প্রচলিত আছে। কিছুটা পরিবর্তন করে সেটা এখানে উল্লেখ করছিঃ
পাগল চেতে চৈত্র মাসে, কার্তিকে চেতে কুত্তা,
বিএনপি চেতে ডিসেম্বরে, কতা নহে মিত্যা!
গতবার এই টাইমে বিএনপি বেশ চেইতা গেছিল। কিন্তু এইবার কেন যেন একটু ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব। ৫ই জানুয়ারি ইলেকশন হয়ে যাবার পরে মনে হয়েছিল যে, বিএনপি এই সরকারকে এক মাসও টিকতে দিবেনা - এমন হম্বি তম্বি! কিন্তু আসলে দেখলাম কি?
আন্দোলন করলে পুলিশে পিটায়, তাই আন্দোলন করিনা
জনসভা করতে চাই, পুলিশে অনুমতি দেয়না, তাই জনসভা করতে পারিনা
আমেরিকার দুই আনার মন্ত্রীর কাছে এত নালিশ দেই, তারা পাত্তা দেয়না।
হরতাল ডাকলে মামলায় ফাসায়, তাই হরতালও ডাকিনা।
আমাদের খুব দুর্ভাগ্য যে বিএনপি নামে জন্মগতভাবে কিছু উজবুকের রাজনীতি আমাদেরকে দেখতে হয়। সম্পূর্ণ বিনা কারণে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতাকে গ্রেফতার করা হল, রিমান্ডে নিয়ে গেল, কিন্তু বিএনপির কারো তাতে কোন প্রতিক্রিয়া নেই।
গাজীপুরে সমাবেশ নিয়ে কত বড় বড় কথা! যে কোন মূল্যে সমাবেশ হবেই। যেখানে বাধা, সেখানেই প্রতিরোধ। সরকার পতনের আন্দোলন গাজীপুর থেকে শুরু হবে ব্লা ব্লা ব্লা....।
কিন্তু দেখলাম কি? ছাত্র লীগের মত একটা পরগাছা টাইপ সংগঠনের কিছু গুন্ডা পান্ডা রামদা-চাপাতি নিয়ে নামল, আর বিএনপির বংশও কোথাও খুঁজে পাওয়া গেলনা। প্রতিবাদে হরতাল। হরতাল চলাকালে ছাত্রলীগ গাজীপুর দাপিয়ে খুঁজল হরতাল কারা ডাকে - কোথাও কাউকে খুঁজে পেলনা!
হরতাল কি কোন প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে? রাস্তায় না নামলে, পুলিশের মার না খেলে মানুষকে কি দেখাবেন? মানুষের ভোটাধিকারের আন্দোলন কি ঘরে বসে হরতাল ডেকেই আদায় করে ফেলবেন? মানুষ কি এতটাই বোকা?
বিএনপির নেতাদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা আপনাদের দল বিলুপ্ত ঘোষণা করুন, আপনাদের অক্ষমতা স্বীকার করে মানুষের কাছে ক্ষমা চান। এখন মানুষ আপনাদেরকে ক্ষমা করে দিতেও পারে। কিন্তু আন্দোলনের নামে একের পর এক সার্কাস দেখাতে থাকলে মানুষ একসময় চরম বিরক্ত হয়ে উঠবে আর তখন এটা অসম্ভব নয় যে তারা আপনাদেরকে ঘর থেকে টেনে রাস্তায় বের করে নেড়ি কুকুরের মত পেটাবে। আপনারা সরকারের কোন অংশ নয় যে সরকার আপনাদেরকে নিরাপত্তা দেবে।
সময় থাকতে নিজেরা রাস্তায় নামুন, নয়ত জনগণ আপনাদের চুলের মুঠি ধরে রাস্তায় নামাবে - আপনাদের পেছনে পেছনে স্লোগান দেবার জন্য নয়। রাজনীতির নামে তাদের অধিকারের অবমাননা করার জন্য।