তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের একটি ম্যাচ বাংলাদেশ জিতে গেছে। কেউ কেউ তারপর সিরিজ জয় এমনকি বাংলা ওয়াশের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন। মানুষের আবেগ এত বাঁধভাঙ্গা জোয়ারে ভেসে গেছে, যে তা এখন ধরতে যাওয়াই বিপদ। এই নিয়ে কিছু বলতে গেলে নির্ঘাত স্বাধীনতাবিরোধী আখ্যা পেতে হবে।
তবে আমি বাস্তববাদী। তাই ঐ খেলায় বাংলাদেশের জয়ের পাশাপাশি ভারতের পরাজয়ের কয়েকটি কারণও খুঁজে বের করেছি। বাংলাদেশের প্লেয়াররা নিশ্চয়ই অনর্থক আবেগে ভেসে না গিয়ে এই কারণগুলোর দিকে একটু নজর দেবেঃ
১ - খেলাটা বাংলাদেশে হয়েছে। বাংলাদেশ তাই হোম কন্ডিশনের পাশাপাশি দর্শকদের সাপোর্ট পেয়েছে। এই ব্যাপারটাই ভারতীয় খেলোয়াড়দের কাছে মানসিক চাপের কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। ভারত যদি এই চাপ থেকে মুক্ত হয়ে আসে, তখন কি ঘটবে?
২ - দিবারাত্রির খেলায় দিনে ব্যাট করা দল বেশি সুবিধা পায়। তাই এসব ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করা দলের জয়ের পাল্লা একটু না - অনেকখানি ভারী। পরিসংখ্যানও সেই কথাই বলে। দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে ভারত যদি ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে ফলাফল কি হতে পারে, কোন ধারণা আছে? নাকি বাংলাদেশ এমন কোন ক্ষমতা অর্জন করে ফেলেছে যে টস তাদের জন্য কোন ব্যাপারই নয়!
৩ - ভারত রান চেজিংয়ে খুব একটা ভাল নয়। বিশ্বমানের ব্যাটিং শক্তির এখানে একটা ভয়ংকর দুর্বলতা রয়ে গেছে। প্রথম ম্যাচে এক্ষেত্রে দৈব বাংলাদেশের অনেকটাই কাজে এসেছে, ভবিশ্যতে যা নাও হতে পারে।
৪ - কয়েকদিন আগে পাকিস্তান বাংলাদেশের মাটিতে এসে যে নাকানি চুবানি খেয়ে গেছে - সেটাও তো ভারতীয়দের আপ্সেট থাকার একটা কারণ। এই প্রেসার যদি তারা কাটিয়ে ওঠে, দ্বিতীয় ম্যাচেও কি একই পরিণতি হবে?
দ্বিতীয় ম্যাচে যদি দেখতে পান যে, প্রতিশোধের নেশায় ভারতীয় ব্যাটস ম্যানরা চড়াও হয়েছে আমাদের মুস্তাফিজ, মাশরাফি এবং রুবেলদের উপর, রোহিত শর্মা আরেকটা ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছে বা বিরাট কোহলি ক্যারিয়ারের ২৩তম ওডিআই সেঞ্চুরি করেছে - তখন যেন আবার টাইগারদেরকে বিলাই বলে গালাগাল শুরু করবেন না! সকল পরিস্থিতি মেনে নেয়ার মানসিকতা থাকলেই কেবল জাতি হিসেবে আমারা এগিয়ে যেতে পারব।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫