পুর্ব-পশ্চিম ডট নিউজসহ বেশ কিছু অনলাইন খবর দিয়েছে,
ঢাকায় কমমুল্যে ইফতার বিতরণকারী 'বিদ্যানন্দ' নামক স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনটি হিন্দুদের সংগঠন । 'বিদ্যানন্দ' এ খবরের প্রতিবাদ করেছে। সংগঠনটি তাদের ফেসবুক পেজে লিখেছে,
বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবকের ৯০ ভাগই মুসলিম, অনুরূপ অনুপাত দাতা এবং কমিটির মেম্বারদের ক্ষেত্রেও। অনেক নবাগত নাম থেকে বিদ্যানন্দকে হিন্দুদের প্রতিষ্ঠান মনে করেন। এজন্য নাম পরিবর্তনের চিন্তা করেছিলাম একবার।
'বিদ্যানন্দ' শব্দটা এসেছে "বিদ্যায় আনন্দ" থেকে, যা প্রস্তাব করেন এক ব্যান্ড বিশেষজ্ঞ (যিনি নিজে ধর্মপ্রাণ মুসলিম)। এই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা একজন প্রবাসী বাঙ্গালি, যাতে কাজ করা বেশীরভাগ মানুষ মুসলিম।
আজ হিন্দু-মুসলিম নিয়ে লিখতে বাধ্য হলাম কারণ এক অনলাইন পত্রিকা আমাদের ইফতার সেহেরির কার্যক্রমকে "হিন্দু ধর্মীয় মানুষের প্রতিষ্ঠানের পদক্ষেপ" হিসেবে চিত্রায়িত করেছেন, যা না বুঝে অনেকে শেয়ার করছেন সম্পৃতির বাণী হিসেবে।
উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন, মিথ্যা খবরের ফল ভালো হতে পারে না। যে মানুষগুলো দিনের পর দিন কাজ করে যাচ্ছে, তাঁদের ট্যাগ করছেন ধর্মের ব্যানারে। স্বেচ্ছাসেবকরা এমন নিউজে প্রচণ্ড বিব্রত এবং হতাশ।
ভাইরাল করার মত অনেক টপিক্স আছে দেশে, কেন লাখো গরিব মানুষের মুখের খাবার কেড়ে নেয়ার মতও মিথ্যা খবরে কাজটিকে বাধাগ্রস্থ করছেন? আমরা ইতিমধ্যে পত্রিকাকে প্রতিবাদপত্র পাঠিয়েছি, আগামীকাল থানায় যাচ্ছি আইনি পদক্ষেপ নিতে।
অনুগ্রহ করে সবাইকে এমন মিথ্যা খবরে প্রতারিত না হওয়ার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৫৬