আমি অপেক্ষায় থাকি
আমার সঙ্গী শুধু নিঃসঙ্গতা ।
কতদি..ন তোমাকে দেখিনা
তোমার জাদুভরা কন্ঠ সতেজ করেনা আমায় কতদিন ।
বিষাক্ত নিঃসঙ্গতাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখাতে
মিছেমিছি ম্যাগাজিনের পাতা উল্টাই
-যেন সেখানে তোমার নামই খুঁজছি আমি ।
তোমার চিঠির প্রতিটি অক্ষরে হাত বুলিয়ে যাই-
-যেন ছুঁয়ে যাচ্ছি তোমার হাত ।
তোমার পাঠানো পুরোনো এসএমএস গুলো পড়ি বারবার ।
জানি আমার কাছে তোমার কোনো ছবি নেই
তবু অহেতুক তন্নতন্ন করে খুঁজি চারিদিক ।
সবার মাঝে থেকেও যেন নিজেকে খুঁজে পাইনা
"কেন?"-তুমি ছাড়া আমার কোন অস্তিত্ব আছে নাকি?
বন্ধুদের উচ্ছল আড্ডাতেও নিস্প্রাণ,।অন্যমনষ্ক আমি ।
ভীড়ের মধ্যেও একাকীত্ব আমার গলা চেপে ধরে
একটু বুকভরা বাতাসের আশায় আমি দুচোখে প্লাবন নামাই
-যদি সেই প্লাবন তোমাকে ভাসিয়ে এনে দেয় আমার হাতের মুঠোয়!
"কি ছেলেমানুষি!"-ভেজা বালিশটা যেন শাসিয়ে ওঠে
সেও বোঝে এভাবে পাওয়া যাবেনা তোমাকে
কিন্ত আমি যে বুঝেও বুঝিনা-কে বোঝাবে আমায় ।
আমি অপেক্ষায় থাকি
প্রহরের পর প্রহর গুনি-যেন শতাব্দী!
হঠাৎ আজ তোমার এসএমএস!
"অপেক্ষায় থেকো রাতে..
যত না বলা কথার পালা এসেছে আজ.."
-আমি চমকে উঠি
সমস্ত শিরা উপশিরা দিয়ে অনুভব করি
তোমার একটি এসএমএস ফিরিয়ে এনেছে আমার প্রাণশক্তি ।
গ্লানিময় ধূসর পৃথিবীতে রঙ লাগতে শুরু করেছে
নিজেকে বারবার আয়নায় দেখি
যত্ন করে চুল বাঁধি-অকারনেই ।
ম্যাগাজিনের ছন্নছাড়া বিজ্ঞাপনেও বিরক্ত হই না !
সেলফোনটাকে সারাদিন লাগিয়ে রাখি চার্জারে
সারাদিন গুনগুনাই "মন মোর মেঘের সঙ্গী" ।
বিকেলের সোনারোদ আর মেঘে ঢাকা সূর্যটাকে যেন একটু বেশিই ভাল লাগে আজ
একাকীত্বকেও ভাল লাগে-সেও যে তোমাকে আরো বেশি অনুভব করার প্রেরণা দেয় ।
আমি অপেক্ষায় থাকি---
প্রহরের পর প্রহর গুনি-এও যেন শতাব্দী!