আমি সেজেছি আজ
দখিনা বাতাসের কাছে পেয়েছি আজ অমূল্য বার্তাধ্বনি,
-“সে আসে......”
তাইতো মন প্রাণ ঢেলে
শৈল্পিক নিপূণ আঁচড়ে সাজিয়েছি নিজেকে;
জগত সংসার তন্নতন্ন করে খুঁজে এনেছি আমার সকল প্রসাধন।
তোমার রেখে যাওয়া কবিতার খাতা খুলে
হাতে পড়েছি
সবচেয়ে রঙ্গিন পংক্তিমালার
রিনিঝিনি কাঁচের চুড়ি;
হেলে পড়া পশ্চিমের সুর্যের কাছ থেকে চেয়ে নিয়েছি কিছু রঙ-গালে মাখবো বলে।
আকাশ দিয়েছে তারার চুমকি বসানো নীলাম্বরী শাড়ি।
অধর রাঙ্গিয়েছি বইয়ের ভাঁজে রাখা
তোমার দেয়া প্রথম গোলাপে ঠোঁট ছুঁইয়ে।
রাতের আঁধারের কাজল পড়েছি চোখে,
তবু চোখে লেগে আছে খুশির আলোকছ্বটা;
আমার সেই চোখে...
যে চোখে চোখ রেখে তুমি বলেছিলে,”ভালোবাসি”...
আমার সমস্ত সত্ত্বা স্তব্ধ হলেও
সে চোখ সরব ছিল,
বাঁধভাঙ্গা নদীর বানভাসানো আমার সেই চোখে
আজো বান ডেকেছে।
বহুদিন পর ফিরে আসা তোমার চোখে অপরূপ হবার বড় বাসনা আমার!
তোমার দীর্ঘ পথশ্রমের শ্রান্তি ভোলাতে
তাই সেজেছি আমি...
হয়তো সবই ভ্রম, সবই ভ্রান্তি-
তবু আশায় বেঁধেছি বুক,আড়ি পেতেছি বাতাসের শব্দে;
তোমার শার্টে মুখ গুঁজে বুকভরে নিঃশ্বাস নেই-
পুরোনো সুগন্ধীর ঘ্রাণে খুঁজে ফিরি
পুরোনো তোমাকে।
অলীক-সত্যের দ্বন্দ্বের বাইরে
বিশ্বাস করতে বড় ইচ্ছা হয়-
দখিনা বাতাসের সে বার্তা ধ্বনি-
“সে আসে......সে আসে ধীরে......”