১০০% দেখতেই বেশ ভালো লাগে। বিশেষ করে মোবাইলে যখন ১০০% থাকে তখন ইচ্ছেমতো ব্রাউজ করি। এরপর ধীরে ধীরে পার্সেন্টেজ কমতে থাকে ৭০ কিংবা ৬০ যখন হয় তখন মনে হয় এখনো অনেক আছে। খুশিতে ব্রাউজ করি।
এরপর যখন ৫০% হবো হবো তখন হুট করে মনটাতে মোচড় দেয়। মনে মনে খুঁজতে শুরু করি চার্জারটা কই? কখনো কখনো মনে হয় চার্জে দিই এবং দিয়েও ফেলি।কোন অবস্থাতে যেন ৫০% এর কম দেখতে মন চাই না। যাইহোক পঞ্চাশ থেকে কমতে শুরু করে যখন তখন এক নিমিষে ফুরিয়ে যায় এবং এই ফুরিয়ে যাওয়াটা যেন খুব দ্রুত হয়। ২০% হলে এল্যার্ট দেয়। যদিও উপরের কথাগুলো মোবাইলের সাথে সম্পৃক্ত একটু তবুও অন্যভাবে দেখি।
আমরা যখন জন্মগ্রহণ করে এই পৃথিবীতে আসি প্রত্যেকেই তার বরাদ্দকৃত হায়াতের ১০০% জন্ম নিয়ে থাকি। কিন্তু আমরা আমাদের জীবনের কতটুকু % খরচ করছি প্রতিনিয়ত তা জানতে পারছি না। শুরুর বয়সে আমরা থাকি উদ্দাম,ইচ্ছেমতো খাই দাই,ঘুরি নিজের মত জীবন, কোন রকম চিন্তা নেই।এই অবস্থাটা ১০০% এর মিলে যায়। এরপর সময়ের সাথে সাথে অনেক পথ পার হয়ে যাবার পর নিজেদের নিয়ে ভাবতে শুরু করি।
মোটামুটি ত্রিশ পার হলে এ চিন্তা জেঁকে ধরে। হিসাব নিকাশ শুরু হয়। মনে হতে থাকে জীবনের অধিক সময়টা পার করে এসেছি। চল্লিশের কাছাকাছি বয়স- যখন তখন ব্যক্তির মাঝে আত্মসচেতনতা আরো একটু বেশি আসে। এ সময়ে নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করা চাই। পঞ্চাশ হলে তখন মনের ভেতর অজানা ভীতি কাজ করে আর দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে। মনে হতে থাকে ক্রমশ---সুন্দর এই জীবন,কেন এত ছোট !
©Rubayda Gulsan
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১১:৪৪