কদিন আগের কথা!
পার্কে হাঁটছি। আমার পাশে পাশে এক তরুণ হাঁটছে। হুট করে কথা নেই বার্তা নেই ওয়াকওয়ের পাশেই সে দাঁড়িয়ে গেলো।
পর মুহূর্তেই প্যান্টের জিপার খুলে...
অথচ সেই রাস্তায় ছেলে পুরুষ ছোট বড় অনেকেই হাঁটছে।
একটু আড়ালও নয় একেবারেই সবার সামনে!
ফটাফট আর কি!
আমি নিজেই বিরক্ত! মেয়েরা সহ অন্যদের কথা সহজেই আন্দাজ করা যায়।
বাসে দাড়িয়ে আছি। অনেক মানুষ। ভিড়টিরে একাকার।
এর মাঝেই হ্যাচ্চো!
রুমাল নেই, হাত দিয়ে একটু আটকে রাখার কসরত নেই- নাজেহাল অবস্থা আর কি!
নাকের পানিতে ভিজে টিজে সব একাকার।
মুখ হা করে চিবিয়ে চিবিয়ে রাস্তার পাশের বুট মুড়ি বাদাম পেঁয়াজু সব খাচ্ছে এমন দৃশ্য ঢাকায় প্রতিনিয়তই দেখা যায়। কাশি সর্দি সব কিছু রাস্তায় ঝেড়ে দিতে বাঙ্গালী দুবার ভাবে না। নাকের ময়লা আঙ্গুল দিয়ে ঘুটে ঘুটে পরিষ্কার করছে।
পানের পিক থুথুর কথা নাইবা বললাম।
মোবাইল হচ্ছে বড় এক বিড়ম্বনা।
অবলীলায় কি সুন্দর করেই না মিথ্যা অজুহাত দেয় মানুষ তা বোঝা যায় তাদের কথা শুনলে। শাহবাগে বসেই দিব্যি বলে দিচ্ছে 'ভাই আমিতো চিটাগাং। ঢাকায় কদিন পর যাবো'। তার একবারের জন্যেও মনে হয় না এভাবে সবার সামনেই মিথ্যা বলে সে নিজেকে কোণ স্তরে নামিয়ে দিচ্ছেন।
বিচিত্র!
তারপর আছে হৈচৈ করে চিৎকার চেঁচামেচি করে মোবাইলে কথা বলা। যেন নেট ওয়ার্কনয় গলার স্বরেই তার কাছে পৌঁছাতে হবে! এসবই খুব সাধারণ দৃশ্য! প্রায় প্রতিদিন দেখা যায়।
আমাদের অনেকের এমন শত শত আচার - আচরণ - স্বভাব - অভ্যাস রয়েছে যা অন্যের বিরক্ত উদ্রেক করে। অন্যের জন্য অস্বস্তিকর।
অশালীন। অশোভন। এক কথায় অভদ্র অসভ্য আচরণ! কিন্তু উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে তারা সচেতন আছে বলে মনে হয় না। ঢাকা নগরীর অনেকেই এসব বিষয়ে একেবারেই উদাসীন। ঢাকা নগর নিয়ে নানান হতাশা। এসব নাগরিক আচার আচরণ নিয়ে সে তুলনায় কম আলোচনাই হয়।
কবে আমরা সভ্য হবো কে জানে!!
নীলসাধু
#নগরে_সাধু
২৭১১২০১৯
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০২