somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জাপান ভ্রমণের শতবর্ষ পর নীলসাধু জাপান পৌঁছলেন

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১১:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :











কিছুক্ষণ আগে আমার প্রকাশিতব্য বই নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছি। এই বইমেলায় আমি ব্লগে কম আসছি। তাই ভাবলাম স্ট্যাটাস নিয়েই সহ ব্লগারদের সঙ্গে থাকি ।
//
অনেকদিন পর সর্বোচ্চ সংখ্যক বন্ধুকে ট্যাগ করে পোষ্ট দিয়ে ভাল লাগছে :D
অথচ আমি নিজেও ট্যাগ করলে কিছুটা উষ্মা প্রকাশ করতে চাই যেন; ট্যাগকৃত পোষ্টের সকল মন্তব্য, লাইক, শেয়ারের একটা নোটিফিকেশন আসে। কেমন একটা আলাদা বিড়ম্বনার মতোন।
যাইহোক-
আমি এই পোষ্টে সবাইকে ট্যাগ করতে গিয়ে মজা পেলাম। কারণ ট্যাগকৃত অনেকের সাথে এই বইটি নিয়ে কথা হয়েছে!
অল্প বা বেশী।

আমি নিজে যখন ভাবছিলাম কিভাবে জাপান সফরকে স্মৃতিতে রেখে দেয়া যায় তা নিয়ে,
তখন একজন প্রকাশক হিসেবে প্রথমেই মাথায় এসেছিলো 'ওকে ফাইন, একটা বই প্রকাশ করে ফেললেই হবে। ইতিহাসে রয়ে যাবে :)
যদিও জানতাম কাজটি সহজ নয়!
আমি নানান হাবিজাবি কাজের মানুষ। যে দু এক লাইন প্রেমের কবতে লিখতাম তাও কাম কাইজের ঠালায় লাটে উঠেছে। এখন আর কবিতা লেখা হয় না
রোদ বৃষ্টি
জল হাওয়া কিছুই গায়ে লাগে না।
সেই আমি একটা আস্ত ভ্রমণ কাহিনী লিখে ফেলবো এটা যে সহজ কর্ম নয়া তা বুঝেছি আরো কদিন পর।
বইমেলা এগিয়ে এসেছে
অথচ বইয়ের কাজ শেষ হয়নি।
কি বিপদ।
স্টলের ব্যানারে বইয়ের কাভার লাগানো হল। দিলদার ভাই সেটা দেখে বললেন তিনি এবার বইমেলায় বই কেনা শুরু করবেন আমার এই বইটি কিনে।
আমি মনে মনে হাসি আর ভাবি- হায় আল্লাহ, বই কিনবেন তিনি অথচ আমি বইটির কাজই শেষ করতে পারলাম না।
বিরাট সমস্যা। ঘুড়ির ব্যানারে নিজের ছবি লাগাইসি দেখে নাজলা আপা লীনা আপা রেজা ঘটক সহ অনেকেই নিন্দা-মন্দ আদর যত্ন ঠাট্টা মশকরা করলেন :D
আমি ভাবলাম যাক প্রচার ভালো হলো :P

আমি রাত জেগে অন্যান্য লেখক কবিদের কাজ করি।
তাদের বইয়ের ম্যাটার গুছাই।
দিন যায় রাত যায়। মেলা শুরু হয়।
একটার পর একটা বই আসে
কিন্তু নিজের বইটির দিকে সময় দিতে পারি না।
এভাবে মেলার প্রথম সপ্তাহ পার হলে সিরিয়াস হই।
অন্যান্য কাজের ফাঁকে ফাঁকে 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জাপান ভ্রমণের শতবর্ষ পর নীলসাধু জাপান পৌঁছলেন' এর কাজও এগিয়ে নিতে থাকি। একটা সময়ে লেখা শেষ হয়। কিন্তু তৃপ্তি পাই না। কারণ জাপানে যে আদর আপ্যায়ন আনন্দ হাসি খুশী স্মৃতিময় সময় কাটিয়েছি তা যেন কোনভাবেই বলা যাচ্ছিল না। বই পড়ে সেই আনন্দ ভাবটা আসছিলো না।
কি করা যায়?
তারপর সেখানে যোগ হলো ভ্রমণের কিছু ছবি।
আমার কিছু অপ্রকাশিত কবতে।
কিছুটা সাইজে এলো বই।
কেটে গেলো আরো দুদিন। জাপান ভ্রমণের টুকটাক তথ্য চেয়ে একে তাকে মাঝে মাঝে জ্বালিয়ে শেষ পর্যন্ত শেষ হলো বইয়ের কাজ। প্রেসে পাঠাবার পর একদিন পর জানা গেলো আমার বইয়ের কাভার ওপেন হয় না। তাই প্লেট করা যায়নি।
কাজ বন্ধ। আবার বসলাম।
প্রি প্রেসের জন্য কাভার আবার রেডি করলাম। মেইল করে জানা গেলো
সেই ফাইলও ওপেন হয় না।
নানা ঝামেলা করে সেই কাভার চূড়ান্ত করে গতোকাল প্লেট বানানো হলো।
আজ ছাপাখানার কাজ শেষ হলে বাঁধাই হয়ে আসতে যে সময় লাগে।
তারপরেই হাতে পাবো
বহু কাঙ্ক্ষিত বই

'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
জাপান ভ্রমণের শতবর্ষ পর
নীলসাধু
জাপান পৌঁছলেন'
//
ভেবেছিলাম দু লাইনের বইয়ের বিজ্ঞাপন দেবো।
এ দেখি বিরাট কাহিনী হয়ে গেলো।

সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০০
১৭টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদী নামের এই ছেলেটিকে কি আমরা সহযোগীতা করতে পারি?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:০৪


আজ সন্ধ্যায় ইফতার শেষ করে অফিসের কাজ নিয়ে বসেছি। হঠাৎ করেই গিন্নি আমার রুমে এসে একটি ভিডিও দেখালো। খুলনার একটি পরিবার, ভ্যান চালক বাবা তার সন্তানের চিকিৎসা করাতে গিয়ে হিমশিম... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভালোবাসা নয় খাবার চাই ------

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৬


ভালোবাসা নয় স্নেহ নয় আদর নয় একটু খাবার চাই । এত ক্ষুধা পেটে যে কাঁদতেও কষ্ট হচ্ছে , ইফতারিতে যে খাবার ফেলে দেবে তাই ই দাও , ওতেই হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতীয় ইউনিভার্সিটি শেষ করার পর, ৮০ ভাগই চাকুরী পায় না।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৯ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৭



জাতীয় ইউনিভার্সিটি থেকে পড়ালেখা শেষ করে, ২/৩ বছর গড়াগড়ি দিয়ে শতকরা ২০/৩০ ভাগ চাকুরী পেয়ে থাকেন; এরা পরিচিত লোকদের মাধ্যমে কিংবা ঘুষ দিয়ে চাকুরী পেয়ে থাকেন। এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×