বইমেলায় আমি এক জায়গায় থাকি না। কিছুক্ষণ পর পর ঘুড়ির স্টল থেকে বের হয়ে একটা চক্কর দিয়ে
চা কফি
আড্ডা সেরে আবার ঘুড়ির স্টলে ফিরে আসি। এখানে যারা থাকে তাদের সাথে কিছুটা সময় থেকে আবার এক রাউন্ড ঘুরাঘুরি।
এভাবেই বিকাল থেকে রাত হয়।
এই সময়টায় প্রচুর চেনা পরিচিত মানুষের সাথে দেখা হয় আমার। আমি দীর্ঘদিন ধরে মেলা চলাকালীন পুরো ২৮ দিনই মেলায় যাই তাই আমার চেনা পরিচিত মানুষ অসংখ্য! অগণিত।
সামাজিক মাধ্যমের বন্ধুরাও মেলায় যাচ্ছে তারাও সংখ্যায় অনেক। তাদের সবার সাথে যদিও কথা হয় না কিন্তু তাদের ছবি পরিচিত।
তাদের দেখেও চেনাই মনে হয়।
পুরো মেলা কাভার করে প্রায় সবগুলো টিভি চ্যানেল। তাদের সাথে যারা কাজ করে তাদেরকেও পরিচিত মনে হয়। কি সুন্দর পুতুলের মতোন উপস্থাপিকা!
তাদেরকেও প্রতিদিন দেখি বলে চেনা মনে হয়।
আমরা সারা বছর বেশ কিছু সামাজিক মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করি, সেই সূত্রে পরিচয় রয়েছে স্বেচ্ছাসেবী উন্নয়নকর্মী সহ আরো অনেকের সাথে। মেলায় দেখা হয় তাদের অনেকের সাথে!
ক্যান্টিনের বয়গুলো, যারা আমাদের চটপটি বানিয়ে দেয় এরাও কদিন পর আমাদের চিনে ফেলে। কফি যারা দেয় তারাও।
এ ছাড়া লেখক কবি সাহিত্যিক প্রকাশক তারাতো আছেনই। তাদের সাথে নিয়মিতই দেখা হয়।
মেলা উপলক্ষে এই দেখাদেখি হয় অনেক বেশি।
এ ছাড়া বিখ্যাত অখ্যাত অনেকেই মেলায় আসেন। তাদেরকেও দেখি।
অনেকের সাথে থাকে দলবল।
এই যে এতো এতো প্রিয় মুখ
প্রিয় সময়
দেখা আড্ডা হাসি গান
সকল কিছুর মূলে কিন্তু একটি বই।
বইকে ঘিরে
বই নিয়ে আয়োজন দিনে দিনে হয়ে উঠেছে প্রাণের মেলা! আমাদের প্রাণের বইমেলা।
একুশ
বাহান্ন
একাত্তর
সবই যেন এই বইয়ে এসে মিলেছে। বইয়ের সাথে কাটানো এই সময় রয়ে যায় মনের মধ্যে।
বইমেলায় আসুন। বইয়ের সাথে থাকুন।
বই পড়ুন।
#নগরে_সাধু
মহান একুশে ফেব্রুয়ারির পরদিন ২২ তারিখ বিকেল ৩টার পর
আমরা সবাই একত্রিত হচ্ছি।
ঘুড়ির স্বেচ্ছাসেবী, বন্ধু, কবি, শুভাকাঙ্ক্ষী, ব্লগার, সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক কর্মী সহ সকলের নিমন্ত্রণ!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০০