
রাজধানীতে ঘরে ঘরে শিশু শ্রমিকের খোঁজ মেলে। কেউ একা থাকতে পারে না বলে, কেউবা কাজে সহায়তা পাওয়া যাবে ভেবে, আবার কেউ নিজের শিশুর খেলার সঙ্গী হিসেবে গ্রাম থেকে শিশুদের নিয়ে আসেন। এদের সংখ্যা কত, কেউ জানে না। এই শিশুদের হারিয়ে যাওয়ার খবরও কেউ রাখে না। শিশু শ্রমিক ও গৃহকর্মীদের নিয়ে যারা কাজ করেন, তারা বলছেন, রাজধানীর বাসাবাড়িতে স্থায়ী গৃহকর্মীদের বেশিরভাগই শিশু। বরাবরই তাদের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। সঠিক নিবন্ধন ব্যবস্থাই পারে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। কাজ করতে গিয়ে তারা হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনের শিকার হলেও বিচার পায় না। এমনকি সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করলেও তারা নিয়মিত মজুরি পায় না।
গৃহকর্মীদের নাম কোথাও রেজিস্ট্রেশন করা হয় না এবং গৃহশ্রমিক হিসেবে কোনও পরিচয়পত্র বা নিয়োগপত্র থাকে না। ফলে তাদের সম্পর্কে কোথাও কোনও তথ্য থাকে না। যেসব শিশুকে বাসায় কাজের জন্য আনা হয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের বিষয়ে কোনও তথ্যই নেই। এদিকে ২০১৫ সালে ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা নীতিমালা’ প্রণয়ন করা হলেও সেটাকে আইনে পরিণত করা সম্ভব হয়নি।
..................................................................................................
ঘুড়ি স্কুল এ পড়াশোনা করছে বেশ কয়েকজন গৃহকর্মী শিশু। আবার এখানে পড়াশোনা করছে এমন অনেকের মা আবার গৃহকর্মী। আমরা এদের সাথে ক্লোজলি কাজ করছি প্রায় ৭ বছর হলো।
এই শিশুদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি এখানে আসলে কোন তথ্য উপাত্ত সমস্যা সমধান নিয়ে কেউই আগ্রহী নয়। যে কারণে লক্ষ লক্ষ গৃহকর্মী নিয়ে সেই অর্থে কোন আলাপই নেই।
আমাদের সামর্থ্য সীমিত তাই চিন্তা ভাবনা বা সদিচ্ছা যাই থাকুক শূন্য হাতে তাদের জন্য কিছু করার সুযোগ নেই তাই কিছু করতে পারছি না আমরা এক রঙা এক ঘুড়ি
সামর্থ্যের মধ্যে আছে তাদের কজনকে নিরাপদ ও সুস্থির একটি জীবন দেয়ার চেষ্টা করা, তাও একেবারেই হাতেগোনা অল্প কজনের জন্য - আমরা তা করছি।
এইতো।
আর সবচেয়ে ভাল হয় এইসব না দেখলে। ৩ কোটি মানুষের বসবাস এই শহরে, লক্ষ শিশু কে কোথায় আছে, কার কী সমস্যা এইসব নিয়ে ভাবার দরকার আছে নাকি। স্বার্থপরের মতোন জীবন কাটান। আনন্দে থাকুন তাহলেই লোকে বলবে আপনি বা আপনারা সফল সুন্দর। শিশুরা কে কোথায় আছে, তাদের কী হচ্ছে এই সব মাঝে মাঝে দেখবেন আহ উহু করবেন ব্যস।
নীলসাধু
শিশু অধিকার ও সুরক্ষা কর্মী
মূল খবরের লিংক
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




