
উচ্ছৃঙ্খলতা অনাচার অপচয় উদ্দামতা কোন দেশের সংস্কৃতি হতে পারে না, বাংলাদেশের তো নয়ই।
বর্তমানে দেশে যেভাবে নতুন বছর বরণ করা হচ্ছে তা আমার একেবারেই পছন্দ নয়। আমার সাথে আপনারা একমত নাও হতে পারেন কিন্তু এটাই আমার অবস্থান। যত যুক্তিই দিন এই আতশবাজি, পটকাবাজি, লেজার শো, ফানুস উড়ানো, উচ্চস্বরে গান বাজানো, উচ্ছৃঙ্খলতা কোনোভাবেই উদযাপন হতে পারে না। এইসব কিছুর সাথে আমাদের দেশের আপামর মানুষের কোন ধরনের সংস্রব নেই। বরং বলা যায় কথিত তারুণ্যের উদ্দীপনায় ভিনদেশী সংস্কৃতির অনুকরণে হুজুগে মেতেছি আমরা।
অসভ্য ও উন্মাদ সমাজের দিকে আমরা যেন ছুটে চলেছি। নবজাতক, অসুস্থ বয়োবৃদ্ধ, শিশু, পশুপাখি প্রাণ প্রকৃতির জন্য ক্ষতিকারক এইসব কার্যক্রম কীভাবে আনন্দ উদযাপনের উপলক্ষ হয়? কতিপয় মানুষের এই উদযাপন এখন সারা দেশে ছড়িয়ে পরছে। পশ্চিমা বিশ্বে এইসব আতশবাজি হয় নির্দিষ্ট এলাকায়। সারা শহরে সব বাড়ির ছাদে হাসপাতাল মাজার মসজিদ বিশ্ববিদ্যালয় মন্দির আবাসিক মল রাস্তাঘাট এলাকা কূটনৈতিক এলাকা কোনোকিছুর বাছবিচার ছাড়া এই ধরনের বল্গাহীন আচরণ কীভাবে উৎসব হয় আমি বুঝি না। এটাকে বরং স্রেফ দূষণ বলা যায়, আর কিছু নয়।
আনন্দ বা উৎসব করার আরো নানা উপায় আছে। একটি সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া যায় যাতে করে বাসা বাসায় পাড়ায় পাড়ায় এই অনাচার বন্ধ হয়ে নির্দিষ্ট স্থানে এই উৎসব হবে। এতে করে পুরো আয়োজনে যেমন নিরাপত্তা দেয়া সহজ হবে পাশাপাশি এই আয়োজনের ফলে অন্যান্যদের বিরক্তি উতপাদন কিছু কম হবে।
আমার মনে হয় রাষ্ট্রের এই বিষয়ে উদ্যোগী ভূমিকা নেয়া উচিত। ডিএমপির পক্ষ হতে একটি নির্দেশনা দিয়ে এবং শহরে এই করা যাবে না সেই করা যাবে না ইত্যাদি আলাপ না করে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেয়া উচিত কীভাবে নতুন বছরের বর্ষবরণের এই আয়োজনকে সুন্দর ও নিরাপদ করা যায়।
বর্ষবিদায় বর্ষবরণ আনন্দ নিয়ে পালন করলে সমস্যা নেই কিন্তু সেই আনন্দে আরও অনেকের ব্যাঘাত ঘটলে তা নিয়ে কথা বলতে হবে। চাইলেই পুরো আয়োজনটি সুশৃংখলা করা যায় বলে মনে করি আমি। দরকার সেই ভাবনা ও যথাযথ পরিকল্পনা। এতে করে এই যে শহরব্যাপী উত্তেজনা, বিশৃঙ্খলা, বল্গাহীন মাতাল আচরণ তা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসবে।
নতুন বছরের শুভেচ্ছা রইলো। ২০২৪ আনন্দে কাটুক এই শুভকামনা জানাই।
নীলসাধু
#নগরে_সাধু

সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



