১. চিড়িয়াখানার বাঘ, সিংহর খাবার হতে পারে
২. শকুন এর খাবার হতে পারে
৩. ঢাকা শহরের নেড়ি কুত্তার খাবার হতে পারে
৪. অস্ট্রেলিয়ান মাগুর মাছের খাবার হতে পারে
এগুলো যার প্রস্তাবনা তার পরিচয় পাওয়া যায় এই লাইনে - “আমরা যারা মুসলিম তাদের কে ইসলামিক রীতিতে কবর দেয়া হয়।“
নিজের মৃত শরীর কবরের পর মাটির ভেতর কেঁচোরা খাবে এই ভয়েই কি নাস্তিকদের শরীর পশু পাখি দিয়ে খাইয়ে দেবার এত আগ্রহ!
[নাস্তিকদের লাশ দিয়ে যা যা করা যেতে পারে]
---------------মন্তব্যের ঘর থেকে---------------
আপাতত দেখছি মাটি চাপা দেয়ার ব্যাপারে আপনি নিমরাজি হয়েছেন। এখন আপত্তি আছে "ধর্মীয় রীতিতে দাফন" এর বেলায়।
"ধর্মীয় রীতিতে দাফন" বলতে যেসব কাজগুলোকে বোঝায় সেগুলোর মালিক কি কোন একক ধর্ম নাকি ধর্মগুলো সেগুলোকে আত্মীকরণ করেছে?
ইসলামী রীতিতে মৃতদেহ সৎকারের একটা স্টেপ হচ্ছে লাশের গোসল দেয়া। নির্ধর্মীর লাশের যদি গোসল দেয়া হয় তাহলে আপনি মনে করবেন সেটার মালিক তো ইসলাম। কিন্তু কথা হচ্ছে ইসলামের আসারও আগে আসা ইহুদি ধর্মে লাশের গোসল হয়। এখন যদি ইহুদিরা দাবী করে যে লাশের গোসল দেয়াটার মালিক তাদের ধর্ম তাহলে আপনি কি মুসলমানদের লাশের গোসল দেয়ার বিরোধীতা করবেন?
ইসলামী রীতিতে লাশ কবর দেয়ার স্থানে নিয়ে যাওয়ার সময় খাটিয়ার চার প্রান্ত চার জন কাঁধে করে নিয়ে চলে। হিন্দু ধর্মেও তা-ই হয় শ্মশানঘাটে নেয়ার সময়। হিন্দু ধর্মও ইসলামের আগে এসেছে। তাহলে কি খাটিয়ায় করে লাশ কবরস্থানে নিয়ে যাওয়ার প্রথার মালিক হিন্দু ধর্ম? তা তো না!
খৃস্টান ধর্মের লোকদেরও কবর হয় মুসলমানদের মত।
সাড়ে তিন হাত মাটি কাটার প্রাথাটার মালিকও কি কোন একক ধর্ম?
এত এত রীতি প্রথা। এত এত ধর্ম। রীতি প্রথাগুলো মুসলমানরা শেয়ার করছে তাদের কাছে পরিত্যাজ্য ইহুদি, পরিত্যাজ্য হিন্দু, পরিত্যাজ্য খৃষ্টানদের সাথে। শুধু নির্ধর্মীদের সাথে শেয়ার করতে এত কষ্ট!
কষ্ট? না, অন্ধ আক্রোশ!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৩৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




