লেখাটার প্রণোদনা মিনারের ধর্ম বিষয়ক চালাকি। মিনার শাসনতান্ত্রিক ব্যর্থতা-দলীয় ব্যর্থতাকে সামনে রেখে ও প্রবাসীদের হ্যারাস হওয়ার আশংকাকে সামনে এনে ধর্মীয় হারামিপনাকে অলীক হিসেবে দেখাবার চেষ্টা করেছেন। “চিকিৎসা না হলে রোগে মৃত্যু হবে” এই
উপলব্ধির বদলে মিনার রোগ গোপন রাখতে চান যাতে লোক জানাজানি না হয়। আমেরিকান স্মার্ট বোমার ভয় তার কাজ করে তাই ৬৩ জেলার বোমা ব্লাস্টকে লুকিয়ে রাখাই কর্তব্য বলে মনে করেন। পাছে বিদেশীরা বদনাম করে! তিনি লেখা শেষ করেছেন কপট
ভালমানুষি দিয়ে যে জঙ্গীবাদ দমন করতে হবে। কিন্তু নিজেই আবার প্রবন্ধে লিখেছেন যে জঙ্গীবাদের ঘটনাগুলো "পুরানো ক্যাসেট"। একদিকে তিনি আমেরিকান বোমা খাওয়ার ভয় পাচ্ছেন অন্যদিকে "আওয়ামীলীগ করেছে তাই বিএনপিও করেছে" সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন।
আমার প্রতিক্রিয়া তাই ধর্ম সংক্রান্ত বিষয়েই হবে। শাসনতান্ত্রিক ব্যর্থতা ও দলীয় ব্যর্থতার ব্যাপারে খুব বেশি কিছু দ্বিমতের সুযোগ নেই।
ইসলামোফোবিক পশ্চিমাদের মনে ‘বাঘ আসছে বাঘ’ এই ভয়টি আবারো জাগানোর চেষ্টা করলেন। এই ফোবিয়ায় আক্রান্ত হলেও পশ্চিমা শক্তি কিছুটা টের পেয়েছে যে তার রাজনৈতিক বিরোধীদেরই তিনি জঙ্গি হিসেবে মনে করেন। প্রতিটি অ্যাম্বেসিতে নির্দেশ
পাঠানো হয়েছে জঙ্গিবাদের পুরনো ক্যাসেটটি আবার বাজাতে। যে ক্যাসেট শুনে বিল ক্লিনটন ঢাকায় এসে আমেরিকান অ্যাম্বেসির বাইরে পা রাখতে সাহস করেননি। মনে মনে ‘জেসাস’ জপে জপে কয়েক ঘণ্টা পার করেছিলেন। - মিনার রশীদ
রামুর ঘটনাটা ঘটার আগেই বোধহয় লেখাটা জমা দিয়ে দিয়েছিলেন মিনার! বৌদ্ধ বিহার সমেত ঘরবাড়ি পুড়িয়ে ফেলার ঘটনাটা কী “বাঘ আসছে বাঘ আসছে” টাইপের মিথ্যা? বাংলাদেশের ধর্মীয় সন্ত্রাস এর উৎস যে আছে তা কী শুধুই প্রোপাগান্ডা?
৬৩ জেলায় বোমা,
সিনেমা হলে বোমা,
উদীচীতে বোমা,
সিপিবিতে বোমা,
রমনায় বোমা,
বিচারকের উপর বোমা,
রাষ্ট্রদূতের উপর বোমা,
হাসিনার উপর গ্রেনেড
– এগুলো কী বাঘ যে আসলেই আসে তার প্রমাণ নয়?
বাউল ভেঙে ফেলা, বলাকা ভেঙে ফেলার ঘটনা কী মিথ্যা?
শিখা অনির্বান ভেঙে ফেলার হুমকি কী বানানো কথা?
“বাংলা হবে আফগান, আমরা হবো তালেবান” শ্লোগান কী কেউ দেয়নি?
ক্লিন্টন বাইরে বের হলে যে বোমা খেতনা তার নিশ্চয়তা মিনার দেন কী করে? ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত কী বোমা খায়নি?
বিএনপি-জামায়াতকে জঙ্গিবাদী দেখাতে গিয়ে প্রকারান্তরে পুরো দেশটিকেই চরম বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। - মিনার রশীদ
আগেরবার বাংলা ভাইকে নিয়ে জামাতের নিজামি বলেছিলো যে বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি। আর আজ মিনার বলছেন, “ইসলামোফোবিক পশ্চিমাদের মনে ‘বাঘ আসছে বাঘ’ এই ভয়টি আবারো জাগানোর চেষ্টা”। ভাবের মূর্তি – ভাবমূর্তি নিয়ে সেই কালেও
অনেক কথা হয়েছিলো। আর আজ বিএনপির মির্জা ফখরুল বলেছেন যে হিজবুত কী তা তিনি জানেননা! বিএনপির পত্রিকা আমারদেশের সম্পাদক মাহমুদুর রহমান হিজুদের ধর্মপ্রাণ তরুণ উল্লেখ করে সাফাই দিয়েছেন। এগুলো কী সব মিথ্যা?
যক্ষা লুকিয়ে রাখা যাবে কতক্ষণ? কাশি তো আসবেই। একটা দেশের ৬৩ জেলায় বোমা ব্লাস্ট হলে তার খবর কী লুকিয়ে রাখা যায়? কোন সন্দেহ নেই যে বাংলাদেশের ধর্মাক্রান্ত হওয়ার সাথে প্রবাসীদের ও নিকট ভবিষ্যতে যারা বাইরে যাবে তাদের হ্যারাসড হতে হবে।
সেটা ঠেকানোর পথ কী? মুখ বন্ধ করে অপেক্ষা করা যে কবে বাংলা আফগানিস্তান হবে? যদি প্রতিরোধ না করে আমরা অপেক্ষা করি তাহলে কী এই আশংকাই দ্রুত বাস্তবায়িত হবেনা - “স্মার্ট কিংবা আনস্মার্ট বোমার আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত হবে
আমার-আপনারই কোনো স্বজন বা পরবর্তী প্রজন্ম।”?
পরের বোমাটা আমেরিকান হতেই পারে যদি প্রথম পাকিস্তানী আর্জেস গ্রেনেডটাকে আটকে না দেয়া যায়। দুটো ঠেকাবার একটাই উপায়। আর সেটা ধর্মীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ। যদি স্বীকারই না করি যে ধর্মীয় সন্ত্রাস আছে তাহলে তা আটকাবার প্রসঙ্গ আসবে কোথা
থেকে?
যেখানে ধর্মহারামীদের নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ, পাকিস্তান ভারত, বার্মা থেকে শুরু করে দুনিয়া জোড়া, সেখানে বাংলাদেশ ধর্মীয় সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সহযোগীতার কথা বলবে না কেন?
মিনারের লেখা পড়ে মনে হয় যে তার ইচ্ছা হলো ধর্মের উৎপাত চলতে দেয়া, কারণ সরকার ব্যর্থ! এত সব ধর্মীয় সন্ত্রাসের ঘটনা তার কাছে নিছক বিএনপিকে বদনাম করার চাল!!!
আমি অবশ্যই মনে করি যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা ও বৈদেশিক সম্পর্কের জন্য ধর্মাক্রান্ত আরব সাম্রাজ্যবাদের গোলামদের রাজনৈতিক-দার্শনিক পরাজয় প্রয়োজন। সেটা হচ্ছেনা বাংলাদেশে। আর তাতে আশংকা প্রকাশে কাউকে দোষ দেয়া যায়না, সে আশংকা
যে-ই প্রকাশ করুক।
খবরে ছাপা হচ্ছে যে রামুতে আওয়ামীলীগের লোকরাই মিছিল শুরু করেছিলো। যদি তা সত্য হয়, বিএনপি কী তাহলে সে কথা প্রকাশ করে বৌদ্ধ পল্লীর আগুনে কাপড় শুকাচ্ছে? আওয়ামী লীগ যে জামাতের সাথে আন্দোলন করেছিলো সে কথা প্রকাশ করে কী মিনার
ও কাপড় শুকাচ্ছেন?
ছোট্ট এক পিস পলিটিকাল ইস্যু -
... ঢাকা পুরোপুরি দিল্লির রাডারের আওতায় আসার পরেও এই অবস্থার কোনো উন্নতি হচ্ছে না।
এই খোঁটাটা যথার্থ। তবে এর একটা সম্পূরক খোঁটা আছে -
খালেদা জিয়াও দিল্লির রাডারের আওতায় ঢোকার চেষ্টায় প্রাণপাত করছেন। লেখা ছাপিয়েছেন IDSA এর STRATEGIC ANALYSIS ম্যাগাজিনে - Bangladesh–India
Relations, Challenges and Prospects - Begum Khaleda Zia MP!!! -
Click This Link
Strategic Analysis is the bimontly journal of the Institute for Defence Studies and Analyses
(IDSA), New Delhi. It is published by Routledge, an imprint of the Taylor & Francis Group,
United Kingdom. - http://www.idsa.in/strategicanalysis
IDSA was established as a registered society in New Delhi on November 11, 1965. Its mission
was to provide objective assessments of issues relating to national and international
security. The initiative for setting up the Institute came from then Defence Minister Shri
Yeshwantrao Chavan, who was one of the Institute’s founding members. Over the last forty-
plus years, IDSA has played a crucial role in shaping India’s foreign and security policies,
including with respect to nuclear weapons, military expenditure, and conventional and non-
conventional threats to India. - http://www.idsa.in/aboutidsa
মূল লেখা -
মিনার রশীদ ০২.১০.২০১২ তারিখে আমাদের সময় পেপারে লিখেছেন “মুসলিম জাহানের পুড়ছে ঘর, সরকার শুকিয়ে নিচ্ছে তার ভেজা কাপড়” -
Click This Link

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




