ডানার স্কুলে শীতকালীন ছুটি চলছে। ছুটির মাঝে জরুরি ভিক্তিতে দেশে যেতে হয়েছিলো দুই সপ্তাহের জন্য, তাই ওদেরকে বেশি সময় দেওয়া হয়নাই। ভাবলাম ছুটি শেষ হবার আগেই কোথাও একটু ঘুরে আছি।
ইট পাথরের লম্বা দালানের শহরে থেকে আর কৃত্তিম দ্বীপে কামলা দিয়ে হাপিয়ে উঠছিলাম আমিও। তাই পাহাড়ে ঘুরতে যাব বলে গুগুলে ঘুরতে ঘুরতে হাত্তা গেস্ট হাউজের সকালের নাস্তা সহ ১ রাতের প্যাকেজ পছন্দ হলো। ৫০০ দিরহাম অর্থ ১১৭৫০ টাকা । এটাই সবচেয়ে সস্তা। অক্টবরের থেকে গরম কমে যায় এখানে তাই নভেম্বর থেকেই হোটেলের ভাড়া বাড়তে থাকে। ডিসেম্বর মাসে আরবদেশে মানুষ ক্যম্পিং, হাইকিং এ যায়।
আমরা ২৭ ডিসেম্বর এ সকালে ১০টার দিকে দুবাই থেকে হাত্তার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
হাত্তার পাহাড় দেখা যাচ্ছে
দুবাই থেকে হাত্তা ১৩৭ কিমি: জিপিএস দেড় ঘন্টা দেখাইতেছিলো। হাত্তা পৌছানোর ২৫ কিমি আগে ভুল পথে যাওয়া আরো ২৫ কিমি: পথ বেশি ঘুরতে হয়েছিলো।
দুপুর ১২টার আগেই হোটেলে গিয়ে পৌছলাম কিন্তু রুম পরিস্কারের জন্য আরো সময় দরকার ওদের। তাই আমরা বাইরে ঘুরতে গেলাম। পাশেই ওয়াদি হাত্তা পার্কে গেলাম।
ছোট ছিমছাম গোছানো পার্ক। হাটার জন্য রাস্তা, ব্যায়াম করার জন্য কিছু যন্ত্রপাতি, বাচ্চাদের খেলার জন্য জায়গা আছে। মাঝখানে বড় পতাকা।
(ইন্সটাগ্রাম রিল) https://www.instagram.com/p/CX_Dj1nhxlX/
এখানে হাটাহাটি করে খেদা লাইগা গেলো, গুগুল রিভিওতে দেখলাম যে তানুর রেস্টোরেন্ট খুবই জনপ্রিয়। তানুর ল্যাম ওডার করলাম।
মেনু
তানুর ল্যাম (স্লো কুক করা ভ্যাড়ার মাংস আর এরাবিক রাইস)
অল্প তাপে অনেক সময় নিয়ে রান্না করা মাংস সাথে এরাবিক রাইস। মাংস খুবই সুস্বাদু এবং এতোই নরম যে হাড় থেকে আলাদা হয়ে যায়।
খাবার পরে হোটেলে চেক ইন করলাম।
এক পাশে পাহাড়, পাশে ছোট একটা জ্বলাশয়।
(ইন্সটাগ্রাম রিল) https://www.instagram.com/p/CX_5coxhZke/
হোটেলে একটু রেস্ট নিয়ে আবার বের হোলাম হ্যারিটেজ ভিলেজ আর হাত্তা লেকে সুর্যাস্ত দেখার জন্য।
চলবে....
আগামী পর্বে থাকবে হাত্তা মৌমাছি গার্ডেনের কথা...