প্রতিদিনের মত আজকেও বিকালে চা সিগারেট খেতে বের হয়েছিলাম এলাকায় । সাথে ছিল সামুরই কিছু ব্লগার বন্ধু [নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক] , কাজিন আর এক আরামবাগ এলাকার বন্ধু । মোট ৮ জন । হটাৎ দেখি ৩ মোটর সাইকেল এ মোট ৬ জন লোক এসে চার পাশ ঘিরে ফেলল । তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা রহস্য করা শুরু করলেও তাদের অশালীন ব্যবহার থেকেই বুঝা গেল গোয়েন্দা পুলিশ এর লোক । তারা একসাথে ৮ জনের আড্ডা দেবার বিষয়ে জানতে চান এবং ধরে জেলে নিয়ে যাবার হুমকি দেখান । আমার জানামতে সরকার একসাথে ২ জনের বেশী আড্ডা দেবার উপরে কোন নিষেধাজ্ঞা এখনও জারি করেনি । আমরা সবাই যার যার কর্মক্ষেত্রে সুপ্রতিষ্ঠিত এবং এলাকার স্থানীয় । হুমকির জবাবে নিজেদের পরিচয় দেবার পর তারা একটু নরম হন । যাওয়ার আগে তাদের ভাষ্যমতে ভদ্রলোক বলে আমাদের এইবার ছেড়ে দেয়া হল তবে ১২ তারিখের আগে আর ঘর থেকে বের হলে ধরে জেলে ঢুকানোর অনুরোধ [ হুমকি ] দিয়ে গেলেন । এরপর স্বভাবতই আড্ডা আর আগের মত জমল না এবং আমার বাইরের এলাকার বন্ধুর কাছ থেকে জানলাম তার এলাকায় ও নাকি গতকাল গোয়েন্দা পুলিশ নামে কিছু লোক উঠতি বয়সী ছেলেদের কানে ধরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিল আড্ডা দেবার অপরাধে । তা শুনে অত্যন্ত রাগান্বিত হলেও পরে হাঁপ ছেড়ে বাচলাম হয়ত বয়সের কারনেই কানে ধরা থেকে এই যাত্রা বেচে গেলাম । হাজার হলেও বাংলাদেশে বাস করি ।
শুনেছি , বিএনপি এর মহাসম্মেলন ঠেকাতে মরীয়া আওয়ামীলীগ নানা গোপন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে । আবাসিক হোটেলগুলোতে নতুন বোর্ডার নেয়াতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে অলরেডি । এখন যা মনে হচ্ছে অবস্থা তাতে জরুরি কারনেও ১২ তারিখের আগে বাসা থেকে বের হওয়া যাবে না । মনে হচ্ছে , ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগ কে ক্ষমতায় আনা ছিল আমার জীবনের চরম ভুল । ডিজিটাল বাংলাদেশ নামে নতুন প্রজন্মের সাথে তাদের প্রতারণা আর ভারতকে দেশের স্বার্থ বাদ দিয়ে নানা অন্যায় সুবিধা প্রদান এবং আরও নানা কাজেই তাদের ভূমিকা বা নীরবতা প্রশ্নবিদ্ধ ।
তাই আমার অনুরোধ, ১১-১২ সরকারী ছুটি ঘোষণা করা হোক অথবা আমাদের কানে ধরে দাঁড় করিয়ে রাখেন ।
আপডেট - সামুর যে সব ব্লগার বন্ধুরা ছিলেন ঘটনা স্থলে তাদের মাঝে যারা নাম দিতে ইচ্ছুক -
টিটু রহমান
আচমকা_দিশেহারা
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১১:৪৭