somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হায়দারাবাদের ডায়েরী….

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হায়দারাবাদের ডায়েরী
ঈদ-উল-আযহা উদযাপন (০৬/১০/২০১৪)
দুর্গা পূজা ও ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সবমিলিয়ে নয় দিন ছুটি পেয়েছিলাম। ছুটি পেয়ে ইচ্ছে মতন ঘুরে বেড়ালাম। হায়দারাবাদ থেকে নাগপুর। নাগপুর থেকে পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট , পেঞ্চ থেকে দীক্ষাভূমি। আবার নাগপুর থেকে ইটারিস। ইটারিস থেকে আলাহবাদ। আলাহবাদ থেকে গয়া। গয়া থেকে বোদ্ধগয়া। বোদ্ধগয়া থেকে রাজগির। রাজগির থেকে নালিন্দা। নালিন্দা থেকে রাজগির হয়ে বানারস।বানারস থেকে কাশি।কাশি থেকে বানারস হয়ে সারনাত। সারনাত থেকে ইটারিস হয়ে আবার নাগপুর। এই ভ্রমনে ভারতের টেলেঙ্গনা প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশে, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ ও বিহারের বিভিন্ন এলাকা দেখার অভিঙ্গতা হয়েছে।আমার জীবনের সবচেয়ে দীর্ঘ ভ্রমন। সবমিলিয়ে প্রায় তিন হাজার কি:মি: জার্নি করেছি।হায়দারাবাদের ডায়েরি লেখার অনেক রসদ জমা হয়েছে। সময় করে রসদগুলো কাজে লাগাতে হবে…
যা হোক, আজ ভোর ছয়টায় নাগপুর থেকে হায়দারাবাদে এসে পৌছেছি । নাগপুর থেকে হাদারাবাদের দূরত্ব প্রায় ৫০০ কি:মি:। বাসে সময় লাগল প্রায় ১২ ঘন্টা।
বিভিন্ন কারনে বাসে একফোটা ঘুমাতে পারিনি। শরীর ও মনে রাত্রি জাগরনের ছাপ…
বাস থেকে নেমে এনআইআরডি ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য একটি অটো নিলাম। অটোর ড্রাইভারটির মাথায় টুপি দেথে বুঝলাম সে মুসলমান। এবং সাথে সাথে মনে পড়ল আজ ঈদ। ঈদ-উল-আযহা। ইন্ডিয়াতে যাকে বলা হয় বকরিদান।বকরিদান উপলক্ষে এই সকাল বেলাতেও দেখলাম বেশ কয়েকটি লোক রাস্তার মোড়ে-মোড়ে ছাগল বিক্রি করছে।
আমার কোয়ার্টারে পৌছতে-পৌছতে সাতটা বেজে গেল… রুমে ঢুকে একটু রেস্ট নিয়ে ঢুকে পড়লাম বাথরুমে। গোসল সেরে পায়জামা-পান্জাবি পরে তাড়াতাড়ি রওয়ানা হলাম ঈদের নামাজ পড়ার জন্য।এই ৩২ বছরের জীবনে এই প্রথম পরিবার-পরিজন ছেড়ে দেশের বাইরে একা-একা ঈদ করছি।নাফিউলের কথা খুব মনে পড়ল।সবাইকে খুব মিশ করছিলাম। সাথে-সাথে ভাবছিলাম এই দূর দেশে নতুন মানুষের সাথে ঈদ উদাপনের সৌভাগ্যই বা কয়জনের জোটে…
এনআইআরডি ক্যাম্পাস থেকে বেড়িয়ে খোঁজ পাওয়া গেল দুই কি:মি: দূরে একটি ঈদগা মাটে ঈদের নামাজ হবে। জামাত শুরু হবে সকাল সাড়ে নয়টায়। হাতে সময় আছে। রাতে ঠিকমতো খাওয়া হয়নি। ভাবলাম এই ফাকে নাস্তা সেরে নেওয়া যাক।ঢুকলাম একটা হোটেলে। হোটেলে সাউথ ইন্ডিয়ান খাবারের সমারোহ।সাউথ ইন্ডিয়ান খাবারের সাথে আমাদের দেশের খাবারের বেশ বৈচিত্র আছে। সত্যি কথা বলতে কি, সাউথ ইন্ডিয়ান ফুড আমার ঠিক পছন্দ নয়। তাই লুচি ও সবজি দিয়ে সকালের নাস্তা সেরে ফেললাম।
নাস্তা সেরে রওয়ানা হলাম ঈদগা মাঠের দিকে। এখানে রিক্সা নেই। দু কি:মি: রাস্তা হেটে যেতে হবে। ।এখানে সবাই কেমবেশি মটর সাইকেল ব্যবহার করে।
স্টেট হাইওয়ে দিয়ে হাটছি। আমার মতো অনেকেই হেটে রওয়ানা হয়েছে ঈদগা মাঠের দিকে।প্রসস্ত রাস্তা। দুপাশে ছোট-ছোট পাথরের পাহার। পাহারের গায়ে ছোট-ছোট সবুজ গুল্ম গাছ। হাটতে খারাপ লাগছে না। দু কি:মি: হাটার পড়ে একটা সাইনবোর্ড চোখে পড়ল।লেখা মনিসা হিল।হাইওয়ে থেকে একটু ভেতেরে একটা মনিসা পাহারের পাদদেশে ঈদগা মাঠের প্যান্ডেল সাজানো হয়েছে।লাউড-স্পিকারে ইমাম সাহেব উর্দুতে বয়ান করছেণ। উর্দু অল্প-স্বল্প বুঝতে পারি। বয়ান শুনে মনে হলো আমার দেশের ইমাম সাহেবের বয়ানের সাথে তেমন একটা পার্থক্য নেই।নামাজ হলো, খুদবা হলো, মোনাজাত হলো। সব শেষ করে বেরিয়ে এলাম ঈদগা প্যান্ডেল থেকে। বেড়িয়ে দেখি রাস্তায় এনআরডির বাস দাড়িয়ে আছে। উঠে পড়লাম। অল্প সময়ের মধ্যে কোয়ার্টারে পৌছে গেলাম।
মোবাইল ফোনে পরিবার পরিজনের সাথে কথা বললাম। সবাই ভাল আছে জেনে মন প্রসস্ত হলো। আর কোন কিছু না ভেবে ঘুমিয়ে পড়লাম। আহ শান্তির ঘুম। ঘুম থেকে উঠে দেখি পাঁচটা বাজে। রান্না করলাম। আয়েশ করে খাবার খেলাম।অনেকগুলো এসাইনমেন্ট জমা হয়েছে। বসে গেলাম এসাইনমেন্ট করার জন্য। একটা এসাইনমেন্ট শেষ করলাম।তারপর বসে গেলাম ডায়েরি লেখার জন্য….
হায়দারাবাদের ডায়েরি….
চলছে চলবেই….
নিয়ামুল বাসার লড়বেই….





৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×