অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সাগর কন্যা কুয়াকটা। বঙ্গোপসাগরের ১৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের বিশাল সমুদ্র সৈকত পৃথিবীর বিরল। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষাসহ সকল ঋতুতেই মৌসুমী পাখিদের কলরবে মুখোরিত থাকে সমুদ্রতট। একমাত্র সাগরকন্যার বুকে এসেই প্রকৃতির সৃষ্ট সাগরের নানা রূপ বিভিন্ন ঋতুতে উপভোগ করা সম্ভব। কৃত্রিমতার কোন ছাপ নেই এখানে। সে কারণেই পর্যটকরা কুয়াকাটায় এসে সবুজ প্রকৃতির ও অসীম নীল আকাশের নিচে সমুদ্রের ঢেউয়ের শন শন গর্জনের শব্দে নিজেকে মেলে ধরে । চলুন তাহলে সাগরকন্যার সান্নিধ্যে যায় …
◊ জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা নাম না জানা সামুদ্রিক মাছ ◊
◊ দৃষ্টিনন্দন সমুদ্র সৈকত ◊
◊ মৃত ডলপিন মাছ ◊
◊ সৈকত তীরে রঙ-বেরঙের সাজ-সজ্জ্বার ঝুপড়ি দোখান ◊
◊ সুন্দরবনের শ্বাসমূলীয় বনাঞ্চলের কিছু অংশ যা মুগ্ধ করবে আপনাকে ◊
◊ জোয়ারের পানিতে ভেসে আসা জাতীয় মাছ -ইলিশ ◊
◊ লাল কাকঁড়ার চরে যাওয়ার পথে ◊
◊ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় দূর্বৃত্তদের ছোঁবলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কুয়াকাটা বনায়ন দিন দিন ◊
◊ কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান তীরবর্তী কিছু অংশ ◊
◊ সুষ্ঠ রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে দিন দিন জাতীয় উদ্যানের তার সৌন্দর্য্য হারিয়ে পেলছে ◊
◊ গঙ্গামতীর চরে দৌড়ঁ-ঝাপঁ, লাপালাপি ◊
◊ কুয়াকাটার প্রাচীন কুয়ার সামনে রাখাইনদের বিপনি বিতান ◊
◊ শুটকি পল্লীর শুটকি মাছ ◊
◊ খুব ভোর সকালে সৈকতে আধোআলো আধো ছায়ায় ◊
◊ শৈশবের ঘুমিয়ে থাকা বাদরামি জেগে উঠলো নয়নাভিরাম গঙ্গামতীর চরে বড়-সড় গাছের ডালে ◊
◊ চমৎকার সব ছবি তোলা সম্ভব এই অপূর্ব গঙ্গামতীর চর এলাকায় ◊
◊ তুফানে উপড়ে পড়া বিশাল গাছের শিকড়ের ফাঁকে লুকোচুরি খেলা ◊
□ কীভাবে যাবেন
⌂ নদী পথঃ
ঢাকা থেকে নদী ও সড়ক উভয় পথে কুয়াকাটা যাওয়া যায়। সবচেয়ে সহজ যাতায়াত ব্যবস্থা হল ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চে পটুয়াখালী নদী বন্দর। সদরঘাট থেকে প্রতিদিন লঞ্চ ছাড়ে সন্ধ্যা সাতটার পর থেকে রাত ১১ টা পযর্ন্ত। পটুয়াখালী বন্দর পৌছঁতে আপনার সময় লাগবে প্রায় ৭-৮ ঘন্টা।
ঢাকার সদরঘাট থেকে পটুয়াখালী যায় এমভি পারাবত, এমভি সৈকত, এম ভি সুন্দরবন প্রভৃতি লঞ্চ। ভাড়া প্রথম শ্রেণীর একক কেবিন ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকা, দ্বৈত ২ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। চাইলে আপনি শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কোচে যেতে পারেন। ভাড়া পড়বে সিট প্রতি ৪০০-৫০০ টাকা। এছাড়াও নরমাল (সিট থাকতেও পারে আবার না থাকতে পারে) ১৫০-২০০ টাকার মধ্যে।
» যারা সদরঘাট থেকে লঞ্চে করে পটুয়াখালী বন্দর পর্যন্ত আসবেনঃ
পটুয়াখালী বন্দর থেকে টমটমে করে আসতে হবে বাসস্টেশন, টমটমের ভাড়া পড়বে রির্জাভ ( ৫সিট ) ১০০-১৫০ টাকা আর সিঙ্গেল লোকাল ভাড়া পড়বে ২০-৩০ টাকা। সময় লাগবে ২০-২৫ মিনিট।
পটুয়াখালী বাস স্টেশন থেকে কুয়াকাটা সৈকতে যেতে সময় লাগবে প্রায় ১ ঘন্টা। ভাড়া পড়বে ১৫০-২৫০ টাকা ।
⌂ স্থল পথঃ
কুয়াকাটা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে কুয়াকাটার বাস সার্ভিস আছে। এছাড়া ঢাকার গাবতলী বাস স্টেশন থেকে সাকুরা পরিবহন, দ্রুতি পরিবহন, সুরভী পরিবহনের বাস যায় কুয়াকাটা। ভাড়া সাড়ে ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা।
এছাড়া কমলাপুর বিআরটিসি ডিপো থেকেও প্রতিদিন সকাল ও রাতে কুয়াকাটার বাস ছাড়ে ভাড়া ৭শত টাকা।
□ কোথায় থাকবেন
» কুয়াকাটায় পর্যটকদের থাকার জন্য বিভিন্ন মানের হোটেল আছে। সবচেয়ে ভালো আবাসন ব্যবস্থা পর্যটন করপোরেশনের ইয়ুথ ইন কুয়াকাটা (০৪৪২৮-৫৬২০৭)। এ হোটেলে ১ হাজার ৫শ’ থেকে ৫ হাজার টাকায় বিভিন্ন মানের কক্ষ আছে।
» এছাড়া এখানে পর্যটন করপোরেশনের অন্য একটি হোটেল হল পর্যটন হলিডে হোম (০৪৪২৮-৫৬০০৪)।
দুটি হোটেলেরই বুকিং দেওয়া যাবে ঢাকায় পর্যটনের প্রধান কার্যালয় থেকে।
যোগাযোগ ০২-৮৮১১১০৯, ০২-৯৮৯৯২৮৮।
Ω এছাড়া কুয়াকাটায় অন্যান্য ভালো মানের হোটেল হলঃ
» হোটেল বনানী প্যালেস (০৪৪২৮-৫৬০৪২)
» হোটেল কুয়াকাট ইন (০৪৪২৮-৫৬০৩১)
» হোটেল নীলাঞ্জনা (০৪৪২৮-৫৬০১৭)
» হোটেল গোল্ডেন প্যালেস (০৪৪২৮-৫৬০০৫)
» হোটেল মোহনা ইন্টারন্যাশনাল, কুয়াকাটা স্কাই প্যালেস, সাগর কন্যা, গ্রেভার ইন, হোটেল সী কুইন, বিচ ভেলী, খেপু পাড়া হোটেল ইত্যাদি।
● এসব হোটেলে খরচ পড়বে রুমভেদে ৬শ’ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে। আপনার বাজেটের মধ্যে পছন্দসই হোটেলে রাত্রি যাপন করতে পারবেন।
◊ কাকঁড়া প্রেমীদের জন্য ফ্রাই করা কাকঁড়া ◊
◊ বিক্রির জন্য ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষিত বাহারি সামুদ্রিক মাছ ◊
◊ খাবার দোখানের সামনে রাখা তেলে ভাজা লোভনীয় রূপচাঁদা মাছ ◊
□ খাওয়া-দাওয়াঃ
◊ পর্যটকদের জন্য সতেজ সামুদ্রিক মাছ তাৎক্ষনাত গরম গরম ফ্রাই করে পরিবেশনের জন্য ◊
আপনি আপনার রুচি সম্মত যে কোন খাবার হোটেল থেকে খাওয়া-দাওয়া সেরে নিতে পারবেন। মাংসের চেয়ে মাছ পাওয়া যায বেশি।বাহারি রকমের মাছের স্বাদ নিতে পারবেন বিভিন্ন খাবার দোখানে।তবে লক্ষ রাখতে হবে খাবার অর্ডার দেওয়ার পূর্বে আপনাকে সবকিছুর দর-দাম জেনে তারপর অর্ডার করবেন। না হয় আপনার কাছ থেকে বেশি দাম নিতে পারে। তখন কিছু করার থাকে না।
◊ সৈকতে রাতের আধাঁরে ঝুপড়ি দোখানের সারি ◊
◊ সৈকতের পশ্চিম প্রান্তে সিক্ত বালুর উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে এমন শামুক ও ঝিনুকের দেখা মিলবে ◊
● পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় দর্শনীয় স্থান সমূহঃ
সাগরকন্যা পর্ব-১
সাগরকন্যা পর্ব- ২
কুয়াকাটা তুলাতলী খালের মনলোভা দৃশ্য পর্ব- ৪
উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ মুর্তি পর্ব- ৫
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৩৭