somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনন্ত যৌবনা সোমেশ্বরী

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


বছরের ভিন্ন ভিন্ন সময় সোমেশ্বরী নদী একেক রকম সৌন্দর্য মেলে ধরে। শীতকালে পানি কমে গেলেও সদা স্বচ্ছ জলের সোমেশ্বরী নদী বর্ষায় যেন হারানো যৌবন পুনরায় প্রাণ ফিরে পায়। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এই জেলার অন্যতম সৌন্দর্য সোমেশ্বরী নদী। এটি নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলা দিয়ে অবিরাম বয়ে চলেছে। সোমেশ্বরীতে রয়েছে কালো সোনা। মাটি তুলতে তুলতে সেটার ভেতরে মুক্তার দানার মতো কালো রঙের খনিজ পদার্থ মেলে বলে এর নাম কালো সোনা। এটির খনিজ মূল্য আছে। এছাড়াও এখান থেকে তোলা হয় মূল্যবান বালূ ও কয়লা (যা কালো সোনা নামে পরিচিত) । এই সোমেশ্বরীর তীরেই রযেছে সাদামাটির দৃষ্টিনন্দন পাহাড় বিজয়পুর। সাদা ছাড়াও গোলাপী, লাল, বেগুনী ও ধুসর মূল্যবান মাটি এই সোমেশ্বরীরই অবদান। সোমেশ্বরী নদী (Someshwari River) ও তার সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে যেতে হবে নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলায়। বর্তমানে কয়লা খনি হিসেবে অধিক পরিচিত হলেও সোমেশ্বরী নদী সৌন্দর্য্যে একটুও ভাটা পরেনি। এত কষ্ট করে এত দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে শুধু নদী দেখবেন তা কি হয় ! আপনার জন্য অপেক্ষা করছে একের ভিতর তিন - যাকে বলে এক ঢিলে তিন পাখি মারা । পাহাড়, নদী, হাওর এর চমৎকার শৈলীতে সুসজ্জিত আবহে আপনাকে মুগ্ধ করার মতো এমন প্রাকৃতিক ভাণ্ডারে সমৃদ্ধ একটি জেলা নেত্রকোনা।


পিছনে ফিরে দেখাঃ

অনেক অনেক দিন আগের কথা। উত্তরের গারো পাহাড় থেকে নেমে আসা এক নদীর নাম ছিল 'সমসাঙ্গ' [সোমেশ্বরী নদীর আগের নাম]। ওই নদীর তীরে ধীবররা বসবাস করত। তাদের বলা হতো 'পাটুনি'। তখন ওই অঞ্চল শাসন করত গারো সম্প্রদায়ের এক দলপতি, যার নাম বাইশা গারো। বিভিন্ন কারণে বাইশা গারোর ওপর ধীবররা সন্তুষ্ট ছিল না। কিন্তু শক্তি সাহস কম বলে তাকে মেনে নিতে বাধ্য ছিল। ১২৮০ খ্রিস্টাব্দে সোমেশ্বর পাঠক কামরূপ কামাখ্যা ইত্যাদি তীর্থ দর্শন শেষে গারো পাহাড়ে আসেন। ওই সময় গারো পাহাড় ও তার আশপাশের এলাকা ছিল বনজঙ্গলে ঢাকা। নানা প্রজাতির পশুপাখির কলকাকলিতে সারাক্ষণ এলাকাটি মুখর থাকত। এখানকার সৌন্দর্য আর সুমসাং নদী তীরের নীরবতা সোমেশ্বর পাঠককে মুগ্ধ করে। তার মনে বিশ্বাস জন্মে, সিদ্ধিলাভের জন্য এ স্থানটিই উত্তম। সোমেশ্বর তার অনুচরদের নিয়ে সেখানেই আস্তানা গাড়েন। ক্রমে যোগাযোগ গড়ে ওঠে ওই এলাকার জেলেদের সঙ্গে। সোমেশ্বর ছিলেন অসামান্য বিদ্বান, বুদ্ধিমান ও বলিষ্ঠ। ধীবররা তাকে দেবতা এবং ত্রাতা মনে করতে থাকে। তাকে ঘিরেই গড়ে ওঠে দুর্গাপুর [বর্তমান নেত্রকোনা জেলায়] গ্রাম।



সোমেশ্বর পাঠক সেখানে প্রতিষ্ঠা করেন সঙ্গে করে নিয়ে আসা লক্ষ্মীনারায়ণের বিগ্রহ। সোমেশ্বর তার আগের বাসস্থান কান্যকুব্জ থেকে স্বজনদের নিয়ে এসে বসতি গড়েন সেখানে। এতে তার শক্তি আরও কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। এক সময় সুযোগ বুঝে ওই এলাকার অত্যাচারী শাসনকর্তা বাইশা গারোকে পরাজিত করে প্রতিষ্ঠা করেন 'সুসং রাজ্য'। এরপর তিনি নজর দেন রাজ্যের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নে। ওই এলাকার ধীবররা সোমেশ্বর পাঠককে সাক্ষাৎদেবতা মনে করত। তারা ভাবত, জেলেদের উন্নতির জন্যই সোমেশ্বর ঠাকুর নিজ হাতে সুসং রাজ্য গড়েছেন। তারা এও মনে করত, সুসংয়ের মানুষের পানিকষ্ট দূর করতেই প্রভু সোমেশ্বর নিজ হাতের 'ভৃঙ্গার' থেকে পানি ঢেলে দেওয়ায় সেখান থেকে সৃষ্টি হয় সোমেশ্বরী নদী। তবে অনেকেরই ধারণা, উত্তর পাহাড়ের ঝর্ণাধারা 'সমসাং' বয়ে যেত ওই এলাকার ভেতর দিয়ে। সে ঝর্ণাধারার গতিপথ পরিবর্তন করে সোমেশ্বর পাঠক তা নিয়ে এসেছিলেন সুসংয়ের রাজধানী দুর্গাপুরের কাছে। এ কারণেই ওই নদীর নাম হয় সোমেশ্বরী নদী (Someshwari River)। সেদিনের সেই সোমেশ্বরী নদীই বর্তমান নেত্রকোনা জেলার ভেতর দিয়ে অবিরাম বয়ে চলেছে।


ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, এই সোমেশ্বরী নদীর উৎপত্তিস্থল আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে। তবে ভারতে হলেও আমাদের নেত্রকোণার দূর্গাপুর উপজেলার বিজয়পুর (বাংলাদেশের একমাত্রসাদা মাটির পাহাড় নামে খ্যাত) ও ভবানীপুর গ্রামের ভিতর দিয়ে এই সোমেশ্বরী নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।বছরের বেশিরভাগ সময় সোমেশ্বরীর একপাশ জুড়ে থাকে ধু ধু বালুচর, অন্য পাশেই হালকা নীলাভ জল। পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরীর স্বচ্ছ পানিতে নামার লোভ সংবরণ করা বড়ই কঠিন। এ পানিতে পা ডুবিয়ে হাঁটতে গেলে মোটা বালু পায়ের পাতায় শিরশির অনুভূতির সৃষ্টি করে।শুকনো মৌসুমে সোমেশ্বরী নদী যৌবন হারিয়ে প্রায় মরা নদীতে রূপ নিলেও তার বুক জুড়ে থাকে বিস্তীর্ণ সোনালী-লাল বালু- যা দেখলেই মনে হবে সোনার বাংলার বুকে এক সোনালী বৈচিত্র্যময় পর্যটন স্পট। সোমেশ্বরী নদীর দৃশ্য এবং দুর্গাপুর অঞ্চলের প্রকৃতিক পরিবেশ দেখলেই যে কোন পর্যটকদের কাছে ভাল লাগবে। গারো পাহাড়ের বুক চিরে প্রবাহিত সোমেশ্বরী নদী যদিও যৌবন হারা তবুও নদীর এক পাশে খরস্রোতা বয়ে চলছে- যে দৃশ্য মনোমুগ্ধকর, এসব দৃশ্য অবলোকন করে পর্যটকরা সারাদিন ঘুরে ফিরে সোমেশ্বরী নদী ও তার দু'পাড়ের আদিবাসী মানুষের বৈচিত্র্যময় জীবনযাপন, শিল্প-সংস্কৃতিসহ অনুপম কালচারাল সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।


সোমেশ্বরী নদী দেখতে যেভাবে যাবেনঃ
ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে সরাসরি দুর্গাপুরের উদ্দেশ্যে সরকার এবং জিন্নাত পরিবহণের বাস ছেড়ে যায়। দুর্গাপুর বলা হলেও সাধারণত এই বাসগুলো সুখনগরী পর্যন্ত যায়। সুখনগরী থেকে নৌকায় করে একটা ছোট নদী পার হয়ে রিকশা, বাস বা মোটর সাইকেলে দূর্গাপুর যেতে হয়।


ঢাকা থেকে রাত ১১ টা ৫০ মিনিটে হাওড় এক্সপ্রেস নামের ট্রেনে করে শ্যামগঞ্জ ট্রেন স্টেশনে নেমে সেখান থেকে বাস বা সিএনজি ভাড়া নিয়ে বিরিশিরি বাজার যাওয়া যায়। কিংবা একটু সহজে যেতে চাইলে হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেনে নেত্রকোনা এসে চল্লিশা বাজার থেকে মোটর সাইকেলে জনপ্রতি ৩০০ টাকা ভাড়ায় সব স্পট দেখে ফিরতে পারবেন। এছাড়া বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ভোর ৪.০০/৪.৩০ তে যাত্রা করা জারিয়া স্টেশনগামী ট্রেনে করে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় জারিয়া এসে ট্রলার, অটো, সিএনজি বা মোটরসাইকেলে করে দূর্গাপুর যাওয়া যায়।


এছাড়া দেশের যে কোন জায়গা থেকে নেত্রকোনা জেলা সদরে এসে মোটরসাইকেল বা সিএনজি দিয়ে দুর্গপুর যেতে পারবেন। দূর্গাপুর উপজেলায় গেলেই এ অনন্ত যৌবনা নদীটি দেখা যাবে। নেত্রকোণা জেলা সদর থেকে দূর্গাপুর উপজেলার দূরত্ব প্রায় ৪৫ কিলোমিটার এবং এ পথ যেতে আনুমানিক ২ থেকে ২.৫ ঘন্টা সময় লাগবে। নেত্রকোণা জেলা সদর ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেলে করে দুজনের জন্যে দুর্গাপুর যেতে ভাড়া লাগবে ৩৫০-৪০০ টাকা।


দুর্গাপুর থেকে ঢাকা ফিরতে দুর্গাপুরের তালুকদার প্লাজার সামনে থেকে রাত ১১ টা এবং ১১ টা ৩০ মিনিটে দুটি নাইট কোচ ঢাকার মহাখালীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এছাড়া জারিয়া ট্রেন ষ্টেশনে হতে দুপুর ১২ টায় একটি ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে।
[* বর্তমানে রাস্তার সমস্যার জন্যে কোন বাস সরাসরি দুর্গাপুর যায় না, যাবার আগে একটু খুঁজ নিয়ে নিবেন।]


দুর্গাপুরে আর যা যা দেখবেনঃ

সারাদিন ঘুরার জন্য মোটরসাইকেল বা সিএনজি ভাড়া করে নেওয়াই সবচেয়ে ভালো। দুর্গাপুরের তালুকদার প্লাজার সামনে থেকে মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়ে সোমেশ্বরী নদী পার হয়ে, গোলাপী পাহাড়, গারো পাহাড়, চীনা মাটির পাহাড়ের নীল পানির হ্রদ, বিজয়পুর বিজিবি ক্যাম্প, রানিখং চার্চ ইত্যাদি থেকে ঘুরে আসতে পারবেন। এছাড়া ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে দেখতে পাবেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিংয়ের জন্য তৈরী কিছু পিলার।


কোথায় থাকবেনঃ

সুসং দুর্গাপুরে রাত্রিযাপনের জন্য জেলা পরিষদ ডাক বাংলো, বেশকিছু গেস্ট হাউস এবং মধ্যম মানের আবাসিক হোটেল আছে। প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন –
জেলা পরিষদ ডাক বাংলো (01558380383, 01725571795),
ইয়ুথ মেন খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন বা ওয়াইএমসিএ-এর রেস্ট হাউস(01818613496, 01716277637, 01714418039, 01743306230, 01924975935, 01727833332),
YWCA গেষ্ট হাউজ ( 01711027901, 01712042916),
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমী গেষ্ট হাউজ ( 09525-56042, 01815482006)
দুর্গাপুরে মধ্যম মানের হোটেলের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো
স্বর্ণা গেস্ট হাউস ( 0171228698, 01728438712),
হোটেল সুসং (01914791254),
হোটেল গুলশান (01711150807),
হোটেল জবা (01711186708, 01753154617),
নদীবাংলা গেষ্ট হাউজ ( 01771893570, 01713540542)।


কোথায় খাবেনঃ

দুর্গাপুরে বেশকিছু সাধারণ মানের খাবারের হোটেল রয়েছে, যার মধ্যে নিরালা হোটেল বেশ প্রসিদ্ধ। এছাড়া আশেপাশে আরো বেশকিছু খাবার হোটেল রয়েছে তবে সেগুলোতে ভারি খাবার পরিহার করার উত্তম। বেশি খিদে পেলে ডিম, পরোটা দিয়ে খেদে নিবারন করতে পারেন। অবশ্যই দূর্গাপুর বাজার থেকে নেত্রকোণার বিখ্যাত বালিশ মিষ্টির স্বাধ নিতে ভুল করবেন না। এছাড়া বিরিশিরি বাজারেও মোটামুটি মানের খাবার হোটেল আছে।







তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩৫
৯টি মন্তব্য ৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×