somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাসনা ছুরি - ০৩

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ১০:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




২য় পর্ব - Click This Link

তিন

---মা, আমি আর পারছি না। এই মেয়েটা যত দিন যাচ্ছে তত অদ্ভুত হয়ে উঠছে।
---এখন এসব কথা বলে কী হবে শুনি। তখন তো আমার কথা কানে তোলনি।
বললেন তানির মা রওশন আরা। বিকেলবেলা খাবার টেবিলে বসে চা খেতে খেতে কথা বলছিল ওরা।
---তখনকার কথা বাদ দাও তো মা। এখন কী উপায় তা বলো।
---ওকে অত ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সবাই জানে ও স্বাভাবিক না।
---কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ও আমার জন্য একটা অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠছে।

এমন সময় তিতলি এসে ঘরে ঢুকল। তিতলি এসে ঘরে ঢুকতেই দুজন চুপ হয়ে গেলো। তানি এটা সেটা কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। তানি কাজ করছিল ঠিকই কিন্তু অনুভব করছিল এক জোড়া শীতল দৃষ্টি তাকে অনুসরণ করে চলেছে। তানির শরীরটা সিরসির করে ওঠে। একটা ভয় যেন পা থেকে মাথা পর্যন্ত গড়িয়ে গড়িয়ে উঠে পড়ে। কবে যে এই ভয় থেকে মুক্তি পাবে সে কে জানে। আবীরকে কতবার বলল মেয়েটাকে কোন হোস্টেলে পাঠিয়ে দিতে। কিন্তু কে শোনে কার কথা। তানি নুডলসেের বাটিটা মায়ের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,
---মা ওর নুডলসটা দিয়ে দাও তো।
তানির আজকাল তিতলিকে সরাসরি কোন কথা বলতেও কেমন জানি বাঁধে। রওশন আরা তিতলিকে নুডলসটা খেতে বললেন। তিতলি প্রথমে বাথরুমে গেলো। লক্ষ্মী মেয়ের মত হাতমুখ ধুয়ে এলো। আশ্চর্য! ছয় বছরের ছোট্ট একটা মেয়ে ও। কোন কিছুই ওকে বলে করাতে হয় না। সব এক নিয়মে করে যায়। যেন কেউ ওর কানে কানে ফিসফিস করে বলে দেয় আর ও সেই নিয়মে চলে। টেবিলে বসে কোন শিশুসুলভ উৎপাতই ও করে না। যাই দেয়া হয় তাই বিনাবাক্যব্যয়ে খেয়ে নেয়। এইটুকু বাচ্চা মেয়ের এমন আচরণ ভীষণ অবাক করে তানিকে। প্রতিদিনের মতই বাধ্য মেয়ের মত নুডলসটা খেয়ে নিজের রুমে চলে গেল তিতলি। তানি যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলো। রওশন আরা তানিকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলেন,
---এতটুকুনি একটা মেয়ে, মুখ দিয়ে রা বের হয় না একে এত ভয় পাওয়ার কী আছে বাপু কিছুই বুঝি না।
---মা, তুমি তো সবই জানো। তাহলে কেন বার বার একই কথা বলো?
---জানি বলেই বলি। ঐ দিন যদি .....
রওশন আরা কিছু একটা বলতে যাবেন তখনই আবীরের গাড়ির শব্দ পাওয়া গেলো। তানি বলে উঠলো,
---চুপ করো তো মা। কতবার বলেছি এসব কথা এভাবে বলো না।

রওশন আরা চুপ করে সেখান থেকে চলে গেলেন। আবীর এসে ঘরে ঢুকল। তানির দিকে একবার তাকিয়ে তিতলির রুমে গিয়ে ঢুকলো। তিতলি ওর পড়ার টেবিলে বসে হোমওয়ার্ক করছে। এটা ওর প্রতিদিনের রুটিন। সন্ধ্যায় নাশতা সেরে সোজা পড়ার টেবিলে। তিতলি ওর রুটিন মত সব কাজ করে। একটুর জন্যও ওর রুটিনের এদিক সেদিক হয়না কখনো। মাত্র ছয় বছরের একটা মেয়ের মধ্যে এমন দায়িত্ববোধ অবাক করার মত। দিন দিন মেয়েটা দুর্বোধ্য হয়ে উঠছে। মেয়ের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে আবীর বলে,
---মামনি আজ কী হোমওয়ার্ক করছ?
তিতলি কোন কথা না বলে হোমওয়ার্কের খাতাটা তুলে দেখায়। আবির খাতাটা একটু দেখে বলে,
---আজ রিশাদ এসেছিল স্কুলে?
তিতলি মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলে।
---আর কী কী হলো আজ স্কুলে?
তিতলি নীরব।
---আজ সারাদিন কী কী করলে,
তিতলি নীরব।
---ছবি এঁকেছ নতুন কোন?
তিতলি মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলল। তারপর আর্টের খাতাটা বের করে দেখালো। আবীর তাকিয়ে দেখলো কচি হাতের আঁকিবুকি। আর সব কালো রঙ।
---কী এঁকেছ বলো তো আমাকে।

তিতলি নীরব। বিষাদের ছায়া নেমে আসে আবীরের মুখটায়। ব্যথিত চোখে তাকিয়ে থাকে মেয়ের দিকে। নিজের মেয়ে তার সাথে কথা বলে না। এমন না যে ও বোবা। কথাই বলতে পারে না। তাহলেও না হয় নিজেকে সান্ত্বনা দেয়া যেত। কিন্তু মেয়েটা কথা বলতে পারে এবং খুব ভাল কথা বলে। কিন্তু ও কথা বলে হাতেগোনা বিশেষ কজনের সাথে। বাকি সবাই হাজার চেষ্টা করলেও ওর মুখ দিয়ে টু শব্দটিও বের করতে পারে না। এমন কি নিজের বাবা-মার সাথেও এই মেয়ে কথা বলে না। স্কুল থেকেও প্রায়ই অভিযোগ আসে, তিতলি প্রশ্ন করলে উত্তর দেয় না। একদিন তো প্রিন্সিপাল বলেই ফেললেন,
---মি: আবীর আপনার মেয়েকে প্রতিবন্ধীদের স্কুলে দেন। আপনার মেয়ের জন্য ক্লাসে পড়ার পরিবেশ নষ্ট হয়।

কিন্তু আবীর জানে ওর মেয়ে প্রতিবন্ধী নয়। ও আর সবার মতোই স্বাভাবিক। শুধু......। বুকটা ভারী হয়ে ওঠে। এমন সময় তানি এসে রুমে ঢুকে। বলে,
---কেন বৃথা চেষ্টা করছ বলো তো? চলো। ওকে ওর মত থাকতে দাও।

আবীর ও তানি নিজেদের ঘরে চলে এলো।
---আগামীকাল আমি একজন ডাক্তারের অ্যাপয়েণ্টম্যাণ্ট নিয়েছি। সাইকোলজিস্ট। তিতলিকে কাল ওর কাছে নিয়ে যাবো আমরা।
---সাইকোলজিস্ট কেন? কী দরকার এসবের?
---আমি চাই ও আর সবার মত স্বাভাবিক হোক। আমার সাথে তোমার সাথে সবার সাথে কথা বলুক। খিলখিল করে হাসুক। খেলুক, বায়না ধরুক। তুমিও কি তা চাও না?"
---না, চাই না। তুমি বরং ওকে কোন হোস্টেলে দিয়ে দাও। এটাই আমাদের জন্য ভাল। ও সামনে থাকলে আমি সব সময় ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকি। একটা অস্বস্তি আমাকে কুরে কুরে খায়।
---অসম্ভব। ওকে কিছুতেই আমি হোস্টেলে দিবো না। আমি ওকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনবো।
---বড্ড ভুল হয়ে গেছে।
---কী ভুল।
---কী ভুল তুমি ভালোই জানো।
---আর একবার ঐ কথা উচ্চারণ করবে তো....
---করবে তো কী?
---আসলেই ভুল হয়েছে আমার। মস্ত ভুল।
---কী বলতে চাইছো তুমি?
---আমার সব সর্বনাশের মূল হলে তুমি।
---আর তুমি ধুয়া তুলসী পাতা তাই না?
এমন সময় রওশন আরা এসে ঘরে ঢুকলেন।
---কী শুরু করলি তোরা? তোদের রোজকার এই ঘ্যানঘ্যানে আমি অসহ্য হয়ে গেছি।
---অসহ্য তো আমিও হয়ে গেছি মা। আমি আর পারছি না।
---অসহ্য হয়ে গেছ তো বসে আছো কেন? দূর হও আমার বাড়ি থেকে?
---কী বললে তুমি? এত বড় সাহস তোমার! আমাকে তুমি বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলছো? আমি না থাকলে তোমার কী হাল হত ভেবে দেখেছ? আমি ছিলাম বলেই আজ বেঁচে আছ।
---হাল এমন কিছু ভালো তো এখনো নেই। তোমার কারণেই আমার এই হাল হয়েছে। এমন বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই ঢের ভাল ছিল। এমন জীবন কে চেয়েছিল?
---এই কথা তখন মনে ছিল না? তখন তো বেড়ালের মত মিউ মিউ করছিলে আমার আঁচল ধরে।
---তানি!
চিৎকার করে উঠলো আবীর। রওশন আরা আবীরের দিকে তাকিয়ে তাড়াতাড়ি বলে উঠলেন,
---শান্ত হও বাবা। মাথাটা ঠান্ডা করো। এভাবে চিৎকার চ্যাঁচাম্যাচি করে কারো কোন ভাল হবে না।

তারপর মেয়েকে টেনে অন্য ঘরে নিয়ে গেলেন। তানি গলা তুলে বলতে থাকলো,
---ছাড়ো আমাকে। আজ এর একটা বিহিত করতে দাও আমাকে।
রওশন আরা মেয়ের মুখ চেপে ধরলেন। ধীরে ধীরে স্তিমিত হতে লাগলো তানির গলা। আবীর ধপাস করে বসে পড়লো চেয়ারে। এই জীবনটাই কি চেয়েছিল ও? পাপ, ঘোর পাপ! ঘোর পাপের বেড়াজালে আটকে পড়েছে সে। অন্ধকার থেকে গভীর অন্ধকারে ডুবে চলেছে তার জীবন। সেই অমানিশার অতল অন্ধকারে ডুবে ডুবে ছটফট করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই তার আজ।

তিতলি আপন মনে ওর কাজ করে যাচ্ছে। ওকে দেখে মনে হবে এসব কিছুই ওর কানে ঢুকছে না। কিন্তু সত্যিটা হলো ও শুধু শোনেই না। বরং একটু বেশিই শোনে। একটু বেশিই বোঝে। বয়সের তুলনায় একটু বেশিই পরিপক্ক ও। হোমওয়ার্ক শেষ করে রুটিন দেখে নির্লিপ্তভাবে আগামীকালের জন্য স্কুল ব্যাগটা গুছিয়ে চেইনটা লাগাতে যাবে তখনই চেইনটায় একটা আঙুল আটকে গেলো ওর। কচি আঙুলটা অনেকখানি কেটে গিয়ে দর দর করে রক্ত পড়তে লাগলো। কিছুক্ষণ শীতল চোখে রক্তটার দিকে চেয়ে থাকে ও। তারপর আবীরের রুমে গিয়ে ঢোকে। একটা চেয়ার টেনে নিয়ে ওয়ারড্রোবের উপর থেকে ফাস্টএইড বক্সটা নামায়। শব্দ হতেই সংবিৎ ফিরে পায় আবীর। তিতলির হাতে ফাস্টএইড বক্সটা দেখে ছুটে ওর কাছে আসে। দেখে দরদর করে হাত দিয়ে রক্ত পড়ছে। কিন্তু তিতলির মুখে একটুও ব্যথার ছাপ নেই। তিতলির হাতটা তাড়াতাড়ি হাতে নিয়ে আবীর উদগ্রীব হয়ে বলে,
---হাত কাটলি কী করে?
তিতলি নিরুত্তর। শুধু শীতল দৃষ্টিতে চেয়ে রইলো আবীরের দিকে।
---তুই কী রে? মানুষ না অন্য কিছু? তোর কী ব্যথাও লাগে না? তোর বয়সী বাচ্চা এমন ব্যথা পেলে কেঁদে বুক ভাসাবে। কাঁদ না মা। একটু কাঁদ।
মরিয়া কণ্ঠে অনুনয় করতে থাকে আবীর। তিতলি চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে। কোন কথাই যেন ওর কানে পৌছে না। কোন ব্যথাই যে ওকে স্পর্শ করে না।

চার

দরজায় নক করতেই ভেতর থেকে একটি ভারী কণ্ঠস্বর ভেসে এলো।
---আসুন।
ভারী কাঁচের দরজা ঠেলে রীণা ভেতরে ঢুকলো। আজ পাঁচদিন হয় ও চাকরিতে যোগ দিয়েছে। এই প্রথম বসের কেবিনে ডাক পড়লো ওর। বুকটা ধুকপুক করছে। রীণা এখনো জানে না ওর পোস্টটা কী? ওর কাজই বা কী? শুধু একটা কেবিনে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সময় কাটিয়ে চলে যায় ও। অনেককে জিজ্ঞেস করে কোন ঠিকঠাক উত্তর পায়নি এখনো। সম্ভবত ওরাও ভাল করে জানে না কিছু। এত বড় একটা প্রাইভেট ফার্মে চাকরি পাওয়াটাই ওর জন্য একটা বিস্ময়। তেমন কোন যোগ্যতা নেই। অভিজ্ঞতা নেই। স্যান্ডেলের তলা ছিঁড়ে গেছে সামান্য একটা চাকরি খুঁজতে খুঁজতে। সেখানে এত বড় একটা প্রাইভেট ফার্মে চাকরিটা যেন হেঁটে হেঁটে ওর কাছে চলে এলো। চাকরির বিজ্ঞপ্তিটা ওদের বাড়ির গেটটায় সেঁটে লাগিয়ে গিয়েছিল কেউ। দেখে প্রথমে মেজাজটা গরম হয়ে গিয়েছিল ওর। বাড়ির গেটে এভাবে কেউ বিজ্ঞপ্তি লাগায়। ছিঁড়ে ফেলতে যাচ্ছিল তখনই নজরে আসে লেখাগুলো। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। ভাবলো একবার পড়তে দোষ কী? পড়ে মনে হলো ওর যে যোগ্যতা তাতে যোগাযোগ করার সুযোগ আছে। চোখ বুজে আবেদনপত্রটা পাঠিয়ে দিলো। দুদিন পর কোন চিঠি না সরাসরি ফোন এলো ওর কাছে। ব্যাপারটা একটু আজগুবিই ছিল। যে লোকটা ফোন করেছিল সে পরেরদিন দেখা করার জন্য বলল। রীণা দেখা করলো। লোকটা ছিল বসের প্রাইভেট সেক্রেটারি। দেখা করতেই বলল,

----অভিনন্দন। আপনার চাকরি হয়ে গেছে। আগামীকাল থেকেই জয়েন করবেন।
রীণা বিস্ময়ে থ হয়ে বলল,
---আপনারা তো আমার কোন ইন্টারভিউই নিলেন না।
লোকটা হেসে বলল,
---লাগবে না। তবে যে পোস্টের জন্য আপনি আবেদন করেছিলেন সেই পোস্ট নাও হতে পারে।
---তাহলে কী পোস্ট?
---সেটা পরে জানতে পারবেন। আপাতত কাল থেকে জয়েন করেন।

বলে লোকটি রীণাকে ওর কেবিনটা দেখিয়ে দিল। রীণার মনে অনেক দ্বিধা কাজ করছিল। বার বার মনে হচ্ছিল এটা কোন টোপ নয়তো? আজকাল তো কত কী হচ্ছে। প্রাইভেট ফার্মের আড়ালে এখানে কোন বেআইনি কাজ হচ্ছে না তো। কোন ফাঁদে পা দিয়ে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনছে না তো ও? দোনোমনো করতে করতে শেষ পর্যন্ত চাকরিটা করবে বলেই স্থির করে রীণা। এই মুহূর্তে একটা চাকরি ওর বড্ড প্রয়োজন। আর এমন সুযোগ বারবার ওর জীবনে আসবে না। তাই অযথা চিন্তা করে এমন একটা সুযোগ হাতছাড়া করা বোকামিরই নামান্তর। তাছাড়া রীণা খবর নিয়ে জেনেছে এই প্রাইভেট ফার্মটা নতুন হলেও এরই মধ্যে অনেক নাম করে ফেলেছে।

রীণা দেখলো বস মানে মি: আশরাফ কাঁচের জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। রীণা ঢুকতেই তিনি জানালা থেকে ফিরে এসে বিশাল টেবিলের ওপাশে রাখা রিভলভিং চেয়ারটায় বসলেন। তারপর রীণার দিকে তাকিয়ে বললেন,
---বসুন, মিস রীণা।
রীণা অস্বস্তি নিয়ে বসলো। একটু মোটা, একটু কালো কিন্তু লম্বা গড়নের লোকটার চেহারা ও কণ্ঠস্বর দুটোই গাম্ভির্যের চাদরে মোড়া। রিভলভিং চেয়ারটায় মাথাটা হেলিয়ে দিয়ে চেয়ারটাকে বাঁ থেকে ডানে, ডান থেকে বাঁয়ে ঘুরাতে ঘুরাতে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে রীণাকে লক্ষ্য করতে লাগলেন মি: আশরাফ। রীণার অস্বস্তি আরো বেড়ে গেলো। কোন রকমে বলল,
---ডেকেছিলেন স্যার?
মি: আশরাফ সে কথার কোন উত্তর না দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
---কেমন আছেন মিস রীণা।
---জ্বী ভাল স্যার।
---আপনার দেখি সাধারণ ভদ্রতা জ্ঞানও নেই।
রীণা চমকে উঠল।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:০৩
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×