somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্যারিবিয় স্বর্গ ভার্জিন আইল্যান্ডসঃ তৃতীয় পর্ব

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



পরদিন বেশ সকালে ঘুম ভাঙলো আমার। ঘুরতে আসলে উত্তেজনায় এমনিই আমার ঘুম বেশি হয়না। খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়েও পড়ি ক্লান্তির কারণে, আবার উঠেও পড়ি তাড়াতাড়ি। রেডি হয়ে চলে গেলাম ফেরি ডকে। কার ফেরিতে করে সাগরের মধ্য দিয়ে ২৫ মিনিটের যাত্রা। ফেরিতে উঠেই শুনি ক্রেডিট কার্ড পাঞ্চ করার ব্যবস্থা নেই। ক্যাশে পে করতে হবে। ভুল হয়ে গেছে আমাদের। খোঁজ নিয়ে আসিনি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুযোগ এখানে আছে কিনা। বিপদে পড়ে গেলাম এবার। ক্যাশ যা আছে গুনে টুনে দেখলাম ২-৩ ডলার কম আছে। কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে বলতেই তারা বিবেচনা করলো। কমই রাখলো আমাদের কাছে। আমরাও হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম।

খোলা সাগরের মধ্য দিয়ে ফেরিযাত্রা শুরু হল। গাড়ি থেকে নেমে ফেরির রেলিং এর ধারে দাঁড়িয়ে সাগরপাড়ের দৃশ্য দেখতে এলাম। নীল সমুদ্রের মধ্য দিয়ে তরতর কর এগিয়ে চলেছে আমাদের ফেরি। আমাদের ফেরি ছাড়াও আশেপাশে ছোট ও মাঝারি সাইজের অনেক বোট আছে। কিছু ফিশিং বোট, কিছু স্নরকেলিং বোট। প্রাইভেট বোট চার্টার করেও পয়সাওয়ালারা এখানে ঘোরাঘুরি করে। কি যে উপভোগ্য তাদের জীবন! তাড়িয়ে তাড়িয়ে জীবনকে উপভোগে এদের কোন জুড়ি নেই। কিছু বুঝে ওঠার আগেই খুব দ্রুত শেষ হয়ে গেল ফেরিযাত্রা। ভিড়লো এসে সেইন্ট জন দ্বীপের ক্রুজ বে তে। ফেরি থেকে নেমে আবার গাড়িতে যাত্রা শুরু করলাম। একদিনে এই দ্বীপের যতটা দেখা যায় দেখে নিতে হবে। ডক থেকে বের হওয়ার সময় একটা ম্যাপ সংগ্রহ করে নিলাম এই দ্বীপের।



ক্রুজ বে ডক থেকে বের হয়ে পাহাড় বেয়ে উপরে উঠেই অবাক হয়ে গেলাম। এ কোথায় চলে এসেছি আমরা! মর্ত্যলোকে এতো সুন্দর দ্বীপ! ক্যারিবিয়ান সাগরের বুকে ছোট্ট এক টুকরা স্বর্গ যেন এই সেইন্ট জন। সেইন্ট থমাসের ঠিক পাশেই। অথচ রূপে গুণে কত পার্থক্য! সেইন্ট থমাস অনেকটুকুই শহরায়িত। কিন্তু সেইন্ট জনে এখনো শহরায়নের ছোঁয়া লাগেনি তেমন। সীমিত সংখ্যক ব্যয়বহুল রিসোর্ট আছে এখানে। আর আছে অপরূপ সুন্দর সুনীল সব সমুদ্র সৈকত, সবুজ পাহাড় ও বনানী। এই দ্বীপের শতকরা আশিভাগই ন্যাশনাল পার্কের অন্তর্ভুক্ত। তাই প্রাকৃতিক আবহ বজায় আছে পুরোপুরি। এই দ্বীপের দুইটা রং। সবুজ ও নীল। এককথায় অনন্য। এই দ্বীপের রূপ সৌন্দর্য নিয়ে যাই বলিনা কেন আসলে কম হয়ে যাবে। পাহাড়ের উপর থেকে দেখা যায় অসাধারণ সুন্দর সব দৃশ্য! বিভিন্ন পাহাড়ের চূড়া থেকে পাওয়া যায় সুন্দর সুন্দর সব নীল বীচ ভিউ। এখানকার সৈকতের ছবিগুলো দেখলে মনে হয় যেন, এডিট করে এমন নীল করা হয়েছে। আসলে মোটেও তা না। সমুদ্র সৈকতের পানি যে আসলেই এত চমৎকার নীল হতে পারে এখানে না আসলে, নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাসই হতোনা। ক্রুজ বে, ট্রাঙ্ক বে, সিনামন যে, ক্যানীল বে, মাহো বে, হকনেস্ট বীচ, লিন্সটার বে, কোরাল বে... কত যে সুন্দর সুন্দর নাম এর সৈকতগুলোর! বে মানে হলো ছোট্ট সৈকত।

ড্রাইভ করে দ্বীপের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত যতটুকু সম্ভব শুধু দেখেছি। দু'তিনটি সৈকতে গিয়েছি। পশ্চিমাদের মতো সারাদিন একটা সৈকতে বসে আরামসে গা এলিয়ে দেয়া সম্ভব হয়নি। কারণ আমাদের এই একদিনেই যতটুকু সম্ভব দেখতে হবে। সন্ধ্যায় ফিরে যেতে হবে সেইন্ট থমাসে। এই দ্বীপে অনেক ট্রেইল আছে হাইকিং আর ট্রেকিং এর জন্য। আমীরাকে নিয়ে আমরা ওসব পথ আর মাড়াইনি। তাছাড়া প্রচন্ড গরমও পড়েছে।



দ্বীপের অপর প্রান্ত কোরাল বে তে এসে আমাদের লাঞ্চের ব্যবস্থা হলো। সমুদ্রের পাড়ে বসে ঠান্ডা লোনা বাতাসে সমুদ্র দেখতে দেখতে সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার মজাই আলাদা। কোরাল বে'র সাথেই লাগোয়া একটি রেস্টুরেন্টে বসে স্থানীয় সীফুড নিলাম আমরা। ক্যারিবীয় স্টাইলে রান্না করা ফ্রেশ টুনা আর শ্রিম্পের আইটেম। আর মেয়েকে দিলাম নিজের রান্না করে নিয়ে আসা পাস্তা। আমি যে খাদক হিসেবে খুব সীফুড লাভার, তা কিন্তু না। ওদের আধা কাঁচা সবজি খেতে আমার কখনোই ভালো লাগেনা। আর হালাল না বলে কখনোই মিট নেই না। তাই সী ফুডই আমার জন্য অপশন।

কোরাল বে'তে ডক করা আছে অনেক নৌকা, স্পিড বোট, ফিশিং বোট। কেউ যাচ্ছে, কেউ ফিরে আসছে। তাদের নানা কার্যকলাপ দেখতে দেখতে ডক ভিউ রেস্টুরেন্টে বসে লাঞ্চটা বেশ উপভোগ্যই হলো।

এরপর ঘুরতে ঘুরতে চলে গেলাম অ্যানাবারগ প্ল্যানেটেশন এর ধ্বংসাবশেষে। একটা কথা না বললেই নয়। সেইন্ট জনের উঁচু নিচু ভীষণ খাড়া রাস্তায় সেডান নিয়ে বেশ কষ্টই হয়েছিল আমাদের। কিন্তু ফিরে যাওয়ার পথ নেই। নইলে এই দ্বীপের জন্য জীপ বা একটু হেভি ফোর হুইল ড্রাইভ গাড়ি প্রয়োজন। পাভেলো বেশ ভালো ড্রাইভ করে বলে আমরা কোথাও আটকে যাইনি বা বিপদে পড়িনি। তবে ভয় পেয়েছি বেশ।



অ্যানাবারগ প্ল্যানেটেশনে এক ইউরোপীয় ট্যুরিস্ট পরিবারের সাথে কথা হলো। মধ্যবয়সী বাবা মা আর তাদের টিনেজার দুই ছেলে মেয়ে। ভদ্রলোক বেশ মিশুক। আমাদের সাথে অনেক কথা বললেন। তার সাথে কথা বলতে বলতে অনেক কিছু জানা হলো। আমেরিকা অন্তর্ভুক্তির আগে প্রায় আড়াইশো বছর ডেনমার্ক-নরওয়ে ভিত্তিক ডেনিশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোম্পানির শাসনাধীন ছিল এই দ্বীপাঞ্চল। তারা এই দ্বীপাঞ্চলে প্রতিষ্ঠা করেছিল অনেক প্ল্যানেটেশন (বিভিন্ন পণ্য যেমন, কফি, তামাক, তূলা, চিনি ইত্যাদি বানিজ্যিকভাবে উৎপাদনের লক্ষ্যে চাষাবাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত এস্টেট)। আর চাষের কাজে নিয়োগ করা হতো মূলতঃ আফ্ৰিকান আমেরিকানদের। মানে চাষের সাথে সাথে দাস ব্যবসারও কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই দ্বীপাঞ্চল। এই দাস ব্যবসা আরো প্রসার লাভ করে যখন চাষবাস বন্ধ হয়ে তার পরিবর্তে এখানকার ফ্রি পোর্টকে কেন্দ্র করে বহুগুণ লাভজনক বিয়ারের বহুল উৎপাদন শুরু হয় এই দ্বীপে। বহু বছর ধরে বিয়ার উৎপাদনই ছিল এই দ্বীপাঞ্চলের প্রধান ব্যবসা। তখন একে বলা হতো taphus, মানে tap house যার অর্থ দাঁড়ায় beer house। এখনো এয়ারপোর্টসহ বিভিন্ন স্পটে ফ্রি রাম, বিয়ার অফার করা হয়। তো যাই হোক, সেরকমই একটি প্ল্যানেটেশনের ধ্বংসাবশেষ এই অ্যানাবারগ প্ল্যানেটেশন। এরকম আরো কিছু প্ল্যানেটেশনের ধ্বংসাবশেষ আছে এখানে। সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছে এটাই।

এদিকে প্রচণ্ড রৌদ্রের তাপদাহে ক্লান্ত হয়ে আমীরা ঘুমিয়ে পড়েছে তার বাবার বুকে, ক্যারিয়ার ব্যাগে ঝুলন্ত অবস্থাতেই। তাই আমরা এখানে কিছুক্ষণ বিরতি নিলাম।



অনেক নয়নাভিরাম সমুদ্রের ধারে পাহাড়ের ঢালে অবস্থিত এই অ্যানাবারগ প্ল্যানেটেশন এরিয়া। এর ঠিক সাথেই লাগোয়া নিচের সৈকতটা হলো লিনস্টার বে। এখনকার সৈকতগুলোর আলাদা আলাদা কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। লিনস্টার বে'র বৈশিষ্ট্য হলো, প্রায় মাইল খানেক দীর্ঘ লিনস্টার ট্রেইল যা অ্যানাবার্গ প্ল্যানেটেশন থেকে শুরু হয়ে ধীরে ধীরে এই পাথুরে সৈকতের পাশ দিয়ে ঘেঁষে মূল সড়কের সাথে মিশেছে। ট্রেইল দিয়ে হেঁটে আসতে পথে চোখে পড়বে বড় বড় পাথর ও বোল্ডার। ভাগ্য সহায় থাকলে দেখা মিলতেও পারে হরিণের।
এই পথ দিয়ে যেতেই চোখে পড়বে 'ওয়াটারমেলন কে', যেটা এই দ্বীপের অন্যতম বেস্ট স্নোর্কেলিং স্পট। এখানে দেখা মিলে বিপন্ন গ্রিন সী টার্টল, অক্টোপাস, শার্ক ছাড়াও নানা প্রজাতির রঙিন ছোট ছোট মাছ ও রঙবেরঙের প্রবাল যা আমাদের গৃহে অ্যাকুরিয়ামে শোভা পেয়ে থাকে। দুঃখের ব্যাপার, এগুলোর কিছুই দেখার সৌভাগ্য হয়নি আমাদের। কারণ আমরা স্নোর্কেলিংই করিনি। সাঁতার জানিনা বলে আমার সাহস হয়নি। যদিও স্নোর্কেলিঙের জন্য সবসময় সাঁতার জানা আবশ্যক নয়।



অ্যানাবারগ প্ল্যানেটেশনের পর গেলাম সিনমোন বে তে। সিনামন বে প্রায় আধামাইল দীর্ঘ একটা সৈকত। আর এই নাতিদীর্ঘ সৈকতখানাই নাকি সেইন্ট জনের দীর্ঘতম সৈকত! আমাদের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য শুনলে এরা মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যাবে। হা হা হা! সত্যি বলতে কি কক্সবাজার সৈকত সবার আগে দেখে ফেলেছি বলে এরপর যে কোন সৈকতকে আমার কাছে খুব ছোট লাগে। সবশেষে গেলাম ট্রাঙ্ক বে তে। এই সেই সাদা বালির নীল সৈকত যেটা ড্রাইভ করতে করতে পাহাড়ের উপর থেকে ইতোমধ্যে কয়েকবার দেখে ফেলেছি আর মুগ্ধ হয়েছি। পাহাড় বা ক্লিফের উপর থেকে অপূর্ব সুন্দর দেখায় এই সৈকত। সামনাসামনিও সৌন্দর্য কিছুমাত্র কম নয়। স্বচ্ছ পরিষ্কার নীল পানি আর ঝকমকে সাদা ছোট্ট বালুকাবেলা দুয়ে মিলে এক কথায় অনন্য। এখন পর্যন্ত আমার দেখা সবচেয়ে সুন্দর সমুদ্র সৈকত এই ট্রাঙ্ক বে। আমি পছন্দ করি শান্ত কিংবা উত্তাল ঢেউয়ে হালকা পা ভিজিয়ে সমুদ্র সৈকতে হেঁটে বেড়াতে কিংবা শুধুই বসে বসে সমুদ্রের ঠান্ডা হাওয়ায় শরীর জুড়াতে। পানিতে নামিনা তেমন। কিন্তু এই সৈকতের এতো স্বচ্ছ নীল পানি দেখে লোভ সামলাতে পারলামনা। মেয়েকে কোলে নিয়ে নেমেই পড়লাম। তবে আমীরার কান্নাকাটির জন্য বেশিক্ষণ থাকতে পারলাম না। মেয়েটা এখনো সমুদ্র ভয় পায়। সৈকত থেকে উঠে গোসল সেরে ভেজা কাপড় ছেড়ে শুকনো কাপড় পরে নিলাম। এরপর একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে ফিরে চললাম সেইন্ট থমাস। আবার যদি কখনো আসার সুযোগ পাই এদিকে, নিঃসন্দেহে বেছে নিব সেইন্ট জন। অসম্ভব রোমান্টিক একটা দ্বীপ।

চলবে..

প্রথম পর্বের লিঙ্ক - ক্যারিবিয় স্বর্গ ভার্জিন আইল্যান্ডসঃ প্রথম পর্ব
দ্বিতীয় পর্বের লিঙ্ক - ক্যারিবিয় স্বর্গ ভার্জিন আইল্যান্ডসঃ দ্বিতীয় পর্ব
চতুর্থ পর্বের লিঙ্ক - ক্যারিবিয় স্বর্গ ভার্জিন আইল্যান্ডসঃ চতুর্থ পর্ব

এই ভ্রমণকাহিনী সম্পর্কিত আরও ছবি দেখতে হলে ক্লিক করুন -
স্বপ্নিল নীল_Saint John, USVI

আমার ভ্রমণ সংক্রান্ত ইউটিউব ভ্লগ ও ভিডিও দেখতে সাবস্ক্রাইব করুন নিচের লিঙ্কে -
Bangladeshi American Travel and Lifestyle

আমাকে ফেসবুকে ফলো করতে ক্লিক করুন - Sofia Nishi
আমাকে ইন্সটাগ্রামে ফলো করতে ক্লিক করুন - Sofia Nishi

আগ্রহী হলে দেখতে পারেন আমার কয়েকটি ভ্রমণ ভ্লগ -



সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৯
৭টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পিরিতের সংস্কৃতিওয়ালা তুমি মুলা’র দিনে আইলা না

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৬


---- আমাদের দেশে ভাষা, সংস্কৃতি এবং সামাজিক সমুন্নয়ন তলানিতে। তেমন কোন সংস্কৃতিবান নেই, শিরদাঁড়া সোজা তেমন মানুষ নেই। সংস্কৃতির বড় দান হলো ভয়শূন্য ও বিশুদ্ধ আত্মা। যিনি মানবের স্খলনে, যেকোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসরায়েল

লিখেছেন সাইফুলসাইফসাই, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৪৮

ইসরায়েল
সাইফুল ইসলাম সাঈফ

এ মাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বাবাকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
নিরীহ শিশুদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এই বৃ্দ্ধ-বৃদ্ধাদের হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ ভাইক হত্যা করেছে ইসরায়েল
এ বোনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
তারা মানুষ, এরাও মানুষ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

গ্রামের রঙিন চাঁদ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১২


গ্রামের ছায়া মায়া আদর সোহাগ
এক কুয়া জল বির্সজন দিয়ে আবার
ফিরলাম ইট পাথর শহরে কিন্তু দূরত্বের
চাঁদটা সঙ্গেই রইল- যত স্মৃতি অমলিন;
সোনালি সূর্যের সাথে শুধু কথাকোপন
গ্রাম আর শহরের ধূলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১৭



পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষঃ
পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপালদেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে এই বিহার তৈরি করছিলেন।১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহাম এই বিশাল কীর্তি আবিষ্কার করেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরবাসী ঈদ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:২৩

আমার বাচ্চারা সকাল থেকেই আনন্দে আত্মহারা। আজ "ঈদ!" ঈদের আনন্দের চাইতে বড় আনন্দ হচ্ছে ওদেরকে স্কুলে যেতে হচ্ছে না। সপ্তাহের মাঝে ঈদ হলে এই একটা সুবিধা ওরা পায়, বাড়তি ছুটি!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×