ঈদ অর্থ হচ্ছে খুশী বা আনন্দ প্রকাশ করা । মীলাদ শব্দের অর্থ হচ্ছে জন্মের সময়। ঈদে মীলাদুন নবী বলতে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশী প্রকাশ করা বুঝায় ।
পারিভাষিক অর্থে ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অর্থ হচ্ছে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে খুশী প্রকাশ করে উনার ছানা ছিফত বর্ণনা করা, উনার প্রতি ছলাত-সালাম পাঠ করা, উনার পবিত্র জীবনী মুবারক আলোচনা করা
পবিত্র কুরআন শরীফে সুরা ইউনুস, আয়াত শরীফ ৫৮ এ ইরশাদ মুবারক হয়েছে :
قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَ بِرَحْمَتِهِ فَبِذَالِكَ فَلْيَفْرَحُوْا هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُوْنَ -
(অর্থ: হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ! আপনি উম্মাহকে জানিয়ে দিন, আল্লাহ পাক তিনি ফযল-করম হিসাবে তাদেরকে যে দ্বীন-ইসলাম দিয়েছেন এবং রহমত হিসাবে উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন, সেজন্য তারা যেন খুশী প্রকাশ করে । এই খুশী প্রকাশ করাটা সবকিছু থেকে উত্তম, যা তারা দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে) । অনুসরণীয় ইমাম, মুজতাহিদগণ এই আয়াত শরীফ দ্বারা ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পালন করা অর্থাৎ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিলাদত শরীফ উপলক্ষে ঈদ বা খুশী প্রকাশ করাকে ফরয বলে ফতওয়া দিয়েছেন । কেননা উক্ত আয়াত শরীফে فَلْيَفْرَحُوْ অর্থাৎ “তারা যেন খুশী প্রকাশ করে” আদেশ সূচক বাক্য ব্যবহৃত হয়েছে ।
সুতরাং বুঝা গেল ঈদে মীলাদুন নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহিস সালাম কী পালন করা যাবে ।