ফরমালিন একটি অতি পচনশীল দ্রব্য। তবে অন্যান্য পচনশীল দ্রব্যের সাথে ইহার পার্থক্য হইল ইহা নিজে পচেনা, অন্যকে পচায়। প্রথমেই ইহা সুকৌশলে ফলমূল, তরিতরকারী, মাছ- মাংসের সহিত মানবদেহে প্রবেশ করে এবং মানব শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসমুহ যেমনঃ লিভার, যকৃত ইত্যাদিকে ধীরে ধীরে পচাইতে থাকে। তাহার আগে ইহা মানব প্রজাতির বিশেষ করিয়া ব্যবসায়ী নামক মহাসাধু(!) প্রজাতির নৈতিকতা পচাইয়া সফল ও সার্থকভাবে নিজের শক্তিমত্তার জানান দেয়। এক পর্যায়ে মানব শরীরের অঙ্গ পচাইতে পচাইতে সে বোরিং ফিল করিতে থাকে এবং ছোট ছোট অঙ্গ বাদ দিয়া গোটা মানুষটাকেই পচানোর কাজে মনোনিবেশ করে। প্রথমেই সে 'চুচীল' নামক একপ্রকার অতি উৎকৃষ্ট বঙ্গ মানবগোষ্ঠীর মগজ পচানোর কাজে হাত দেয় এবং 'বচন শো' নামক এক প্রকার টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পচা মগজের তৈরি নষ্ট প্রডাক্টের প্রচার চালাইতে থাকে। ধীরে ধীরে সে আরও বড় জায়গায় হস্ত প্রসারিত করিয়া যথারীতি সফলতার সাথে কৃতকার্য হয়। এই পর্যায়ে তার পচনশীল প্রজাতির নাম হইল 'রাজনীতিবিদ'। এইভাবে লিভার-যকৃত হইতে 'চুচিল' সমাজ, পরবর্তীতে রাজনীতিবিদ হইতে রাষ্ট্র নামক কাঠামোটাকে পচানোর কাজে সে গভিরভাবে মনোনিবেশ করে। সন্দেহ নাই এহেন কাজে ও সে দারুনভাবে সফলকাম হইবে এবং লাল-সবুজ পতাকা উড়াইতে উড়াইতে একদিন আন্তর্জাতিক পচনশীল দ্রব্যে পরিনত হইবে।
বিঃ দ্রঃ সন্দেহ জাগে মনে রাজনীতিবিদ পচানোর কাজটা উনি সত্তরের দশকেই শুরু করিয়াছিলেন 'চিতরাপাতরা' জার্সি পড়িয়া অতি হ্যান্ডসাম ভঙ্গিতে।