গ্যালিনা কোলোনস্কি। ইউক্রেনের ব্রোভারিতে জন্ম নেয়া এক সাধারণ নারী। কিন্তু এই নারীই আর সাধারণ থাকে না যখন তার নামটি উচ্চারিত হয় লিবিয়ার স্বৈরাচারী শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির সঙ্গে। নিজেকে গাদ্দাফির সেবিকা হিসেবে জাহির করেন তিনি। কিন্তু উইকিলিকসে ফাঁস হওয়া যাবতীয় তথ্য তাকে গাদ্দাফির প্রেমিকা হিসেবেই ইঙ্গিত করে। আর গাদ্দাফির একান্ত ব্যক্তিগত জীবনের নানা অজানা কাহিনী তারই সবচেয়ে ভালো জানা।
তিনি পানির ওপর দিয়ে ভ্রমণে ভয় পান। ভবনের নিচতলায় থাকতে পছন্দ করেন এবং ‘সোনালি চুলের ইন্দ্রিয় পরিতৃপ্তিকর’ ইউক্রেনীয় এক বিশ্বস্ত সেবিকা ছাড়া ভ্রমণ খুব কমই করেন। উইকিলিকসের প্রকাশ করা ত্রিপোলির মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে ওয়াশিংটনের গোপন তারবার্তায় এভাবেই লিবিয়ার নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে তুলে ধরা হয়। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে গাদ্দাফির ভাষণ দেওয়া উপলক্ষে নিউইয়র্ক সফরের আয়োজন নিয়ে ত্রিপোলির দূতাবাস তারবার্তাটি পাঠায়। প্রকাশিত নথির বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, গত বছর গাদ্দাফির নিউইয়র্ক সফর প্রসঙ্গে লিবিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন কূটনীতিকরা এসব তথ্য জানিয়ে ওয়াশিংটনের কাছে বার্তা পাঠান।
২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ত্রিপোলিতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত গেইন ক্রেটজের ওয়াশিংটনে পাঠানো গোপন ওই তারবার্তায় উল্লেখ করা হয়, গাদ্দাফি একজন খ্যাপাটে মানুষ। তিনি কি করতে যাচ্ছেন আগে থেকে তা অনুমান করা যায় না। এছাড়া গাদ্দাফির রয়েছে একদল ইউক্রেনিয়ান সেবিকা। তবে গাদ্দাফি সবচেয়ে নির্ভরশীল থাকেন গ্যালিনা কোলোনস্কির ওপর। গাদ্দাফির নিউইয়র্ক সফরের সময় গ্যালিনার কাগজপত্র ঠিক না হওয়ায় তার যাত্রা বিলম্বিত হয়। গাদ্দাফি রওনা হয়ে যান পর্তুগালে। এদিকে লিবিয়ার কর্মকর্তারা একটি জেটবিমান ভাড়া করে নার্স গ্যালিনাকে পর্তুগালে পাঠান গাদ্দাফির সফরসঙ্গী হতে।
এরপর থেকেই মিডিয়াতে গ্যালিনা হয়ে ওঠেন আলোচিত চরিত্র। গাদ্দাফির সঙ্গে জড়িয়ে তাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের খবর ছাপতে থাকে সংবাদ মাধ্যামগুলো। একমাত্র গ্যালিনাই তার দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। আবার অনেক সূত্রই নিশ্চিত করেছে, গ্যালিনার সঙ্গে গাদ্দাফির রোমাঞ্চকর সম্পর্কের কথা। ইউক্রেনের এক রাজনৈতিক কর্মকর্তা সম্প্রতি বলেছেন, গ্যালিনা সব জায়গায়ই সবসময় গাদ্দাফির সফরসঙ্গী হতেন। তবে গাদ্দাফির সঙ্গে কোনো ধরনের রোমান্টিক সম্পর্কের কথা উড়িয়ে দিয়েছেন গ্যালিনা। ৩৮ বছর বয়সী গ্যালিনার মেয়ে তাতিয়ানাও এ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, তার মা নয় বছর ধরে লিবিয়ায় বসবাস করছে। তাদের মধ্যে কোনো ধরনের রোমান্টিক সম্পর্ক নেই। তিনি আরো বলেন, অন্য আরো ইউক্রেনিয়ান মহিলাও গাদ্দাফির সেবিকা হিসেবে কাজ করছে। তাদের মধ্যে আমার মা একজন। কোনো এক বিশেষ কারণে গাদ্দাফি লিবিয়ান মহিলাদের বিশ্বাস করতেন না।
গ্যালিনাকে নিয়ে যখন সংবাদ মাধ্যম তোলপাড় তখন তার ছবি নিয়েও তৈরি হয় বিতর্ক। বেশির ভাগ সংবাদ মাধ্যমে গ্যালিনাকে বলা হয়েছে সুন্দরী, আবেদনময়ী আর ছিপছিপে গড়নের। এমন এক নারীর ছবিই দেখা গেছে গাদ্দাফির প্রেমিকা হিসেবে। তবে গাদ্দাফির সঙ্গে গ্যালিনার যে ছবিগুলো রয়েছে তাতে আগের ছবির সঙ্গে তেমন কোনো মিল নেই। অনেকে অবশ্য এটাকে গ্যালিনার আগের ছবি হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।
গ্যালিনার জন্ম ১৯৭২ সালে ইউক্রেনের ব্রোভারিতে। কিয়েভের এক নার্সিং কলেজে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন তিনি। তার স্বামী ছিলেন কারখানার বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি। ১৯৯২ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর অ্যানটার্কটিক রিসার্চ সেন্টারে রাঁধুনির কাজ নেন গ্যালিনা। ২০০১ সালে কাজের উদ্দেশ্যে লিবিয়া আসেন। এর পরই বদলে যায় গ্যালিনার জীবন। গাদ্দাফির সেবিকা হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে তিনি যে হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন সেখান থেকেই গাদ্দাফি তাকে তুলে আনেন রাজপ্রাসাদে।
এরপরই ধীরে ধীরে গাদ্দাফির নির্ভরতা অর্জন করতে থাকেন গ্যালিনা। হয়ত প্রেমও! স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের তোপের মুখে কোণঠাসা গাদ্দাফির সজ্জনরা যখন সবাই তার সঙ্গ ছাড়তে শুরু করেছে, তখন দীর্ঘ নয় বছর ত্রিপোলিতে থাকার পর দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হতে হলো পরম শুভাকাক্সক্ষী গ্যালিনাকে। ত্রিপোলি থেকে সর্বমোট ১৮৫ জনকে নিয়ে ‘ইএল-৭৬’ যানটিতে চড়ে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পৌঁছেন তিনি। দেশে ফিরে গ্যালিনা রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে ব্রোভারিতে একটি অ্যাপার্টমেন্টের নিচতলায় উঠেছেন। কথিত যে, দু’বছর আগে কিয়েভ সফরে এসে গ্যালিনার বাড়িতে রাত্রিযাপন করেছিলেন গাদ্দাফি। তবে এ বিষয়ে গ্যালিনা বলেন, প্রায় ২ বছর আগে কিয়েভে এসেছিলেন গাদ্দাফি। এ সময় তিনি আমার বাসায় আসেননি এমনকি আমরা একসঙ্গে ঘুমাইওনি।
এদিকে গ্যালিনার দেশে ফেরার পর থেকে তার বাসভবনের সামনে সাংবাদিকদের ভিড় লেগেই আছে। ফলে কিয়েভ থেকে ৩০ কি.মি. দূরবর্তী এ স্থানটি বর্তমানে সরগরম হয়ে উঠেছে। সাংবাদিকরা গাদ্দাফির সেবিকা ও প্রেমিকা হিসেবে পরিচিত এই নারীর কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য বের করার চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি ইউক্রেনের টিভিআই টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন গ্যালিনা। তবে এখনো পর্যন্ত গাদ্দাফির ব্যক্তিগত বিষয়ে মুখ খোলেননি তিনি। শুধু জানিয়েছেন গাদ্দাফি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো আছেন এবং তার সঙ্গে খুব ভালো একজন মানসিক ডাক্তার রয়েছেন।
গ্যালিনা কোলোনস্কি। ইউক্রেনের ব্রোভারিতে জন্ম নেয়া এক সাধারণ নারী। কিন্তু এই নারীই আর সাধারণ থাকে না যখন তার নামটি উচ্চারিত হয় লিবিয়ার স্বৈরাচারী শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির সঙ্গে। নিজেকে গাদ্দাফির সেবিকা হিসেবে জাহির করেন তিনি। কিন্তু উইকিলিকসে ফাঁস হওয়া যাবতীয় তথ্য তাকে গাদ্দাফির প্রেমিকা হিসেবেই ইঙ্গিত করে। আর গাদ্দাফির একান্ত ব্যক্তিগত জীবনের নানা অজানা কাহিনী তারই সবচেয়ে ভালো জানা।
তিনি পানির ওপর দিয়ে ভ্রমণে ভয় পান। ভবনের নিচতলায় থাকতে পছন্দ করেন এবং ‘সোনালি চুলের ইন্দ্রিয় পরিতৃপ্তিকর’ ইউক্রেনীয় এক বিশ্বস্ত সেবিকা ছাড়া ভ্রমণ খুব কমই করেন। উইকিলিকসের প্রকাশ করা ত্রিপোলির মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে ওয়াশিংটনের গোপন তারবার্তায় এভাবেই লিবিয়ার নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে তুলে ধরা হয়। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে গাদ্দাফির ভাষণ দেওয়া উপলক্ষে নিউইয়র্ক সফরের আয়োজন নিয়ে ত্রিপোলির দূতাবাস তারবার্তাটি পাঠায়। প্রকাশিত নথির বরাত দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, গত বছর গাদ্দাফির নিউইয়র্ক সফর প্রসঙ্গে লিবিয়ায় নিযুক্ত মার্কিন কূটনীতিকরা এসব তথ্য জানিয়ে ওয়াশিংটনের কাছে বার্তা পাঠান।
২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ত্রিপোলিতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত গেইন ক্রেটজের ওয়াশিংটনে পাঠানো গোপন ওই তারবার্তায় উল্লেখ করা হয়, গাদ্দাফি একজন খ্যাপাটে মানুষ। তিনি কি করতে যাচ্ছেন আগে থেকে তা অনুমান করা যায় না। এছাড়া গাদ্দাফির রয়েছে একদল ইউক্রেনিয়ান সেবিকা। তবে গাদ্দাফি সবচেয়ে নির্ভরশীল থাকেন গ্যালিনা কোলোনস্কির ওপর। গাদ্দাফির নিউইয়র্ক সফরের সময় গ্যালিনার কাগজপত্র ঠিক না হওয়ায় তার যাত্রা বিলম্বিত হয়। গাদ্দাফি রওনা হয়ে যান পর্তুগালে। এদিকে লিবিয়ার কর্মকর্তারা একটি জেটবিমান ভাড়া করে নার্স গ্যালিনাকে পর্তুগালে পাঠান গাদ্দাফির সফরসঙ্গী হতে।
এরপর থেকেই মিডিয়াতে গ্যালিনা হয়ে ওঠেন আলোচিত চরিত্র। গাদ্দাফির সঙ্গে জড়িয়ে তাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের খবর ছাপতে থাকে সংবাদ মাধ্যামগুলো। একমাত্র গ্যালিনাই তার দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। আবার অনেক সূত্রই নিশ্চিত করেছে, গ্যালিনার সঙ্গে গাদ্দাফির রোমাঞ্চকর সম্পর্কের কথা। ইউক্রেনের এক রাজনৈতিক কর্মকর্তা সম্প্রতি বলেছেন, গ্যালিনা সব জায়গায়ই সবসময় গাদ্দাফির সফরসঙ্গী হতেন। তবে গাদ্দাফির সঙ্গে কোনো ধরনের রোমান্টিক সম্পর্কের কথা উড়িয়ে দিয়েছেন গ্যালিনা। ৩৮ বছর বয়সী গ্যালিনার মেয়ে তাতিয়ানাও এ সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, তার মা নয় বছর ধরে লিবিয়ায় বসবাস করছে। তাদের মধ্যে কোনো ধরনের রোমান্টিক সম্পর্ক নেই। তিনি আরো বলেন, অন্য আরো ইউক্রেনিয়ান মহিলাও গাদ্দাফির সেবিকা হিসেবে কাজ করছে। তাদের মধ্যে আমার মা একজন। কোনো এক বিশেষ কারণে গাদ্দাফি লিবিয়ান মহিলাদের বিশ্বাস করতেন না।
গ্যালিনাকে নিয়ে যখন সংবাদ মাধ্যম তোলপাড় তখন তার ছবি নিয়েও তৈরি হয় বিতর্ক। বেশির ভাগ সংবাদ মাধ্যমে গ্যালিনাকে বলা হয়েছে সুন্দরী, আবেদনময়ী আর ছিপছিপে গড়নের। এমন এক নারীর ছবিই দেখা গেছে গাদ্দাফির প্রেমিকা হিসেবে। তবে গাদ্দাফির সঙ্গে গ্যালিনার যে ছবিগুলো রয়েছে তাতে আগের ছবির সঙ্গে তেমন কোনো মিল নেই। অনেকে অবশ্য এটাকে গ্যালিনার আগের ছবি হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।
গ্যালিনার জন্ম ১৯৭২ সালে ইউক্রেনের ব্রোভারিতে। কিয়েভের এক নার্সিং কলেজে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন তিনি। তার স্বামী ছিলেন কারখানার বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি। ১৯৯২ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর অ্যানটার্কটিক রিসার্চ সেন্টারে রাঁধুনির কাজ নেন গ্যালিনা। ২০০১ সালে কাজের উদ্দেশ্যে লিবিয়া আসেন। এর পরই বদলে যায় গ্যালিনার জীবন। গাদ্দাফির সেবিকা হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে তিনি যে হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন সেখান থেকেই গাদ্দাফি তাকে তুলে আনেন রাজপ্রাসাদে।
এরপরই ধীরে ধীরে গাদ্দাফির নির্ভরতা অর্জন করতে থাকেন গ্যালিনা। হয়ত প্রেমও! স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের তোপের মুখে কোণঠাসা গাদ্দাফির সজ্জনরা যখন সবাই তার সঙ্গ ছাড়তে শুরু করেছে, তখন দীর্ঘ নয় বছর ত্রিপোলিতে থাকার পর দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হতে হলো পরম শুভাকাক্সক্ষী গ্যালিনাকে। ত্রিপোলি থেকে সর্বমোট ১৮৫ জনকে নিয়ে ‘ইএল-৭৬’ যানটিতে চড়ে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পৌঁছেন তিনি। দেশে ফিরে গ্যালিনা রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে ব্রোভারিতে একটি অ্যাপার্টমেন্টের নিচতলায় উঠেছেন। কথিত যে, দু’বছর আগে কিয়েভ সফরে এসে গ্যালিনার বাড়িতে রাত্রিযাপন করেছিলেন গাদ্দাফি। তবে এ বিষয়ে গ্যালিনা বলেন, প্রায় ২ বছর আগে কিয়েভে এসেছিলেন গাদ্দাফি। এ সময় তিনি আমার বাসায় আসেননি এমনকি আমরা একসঙ্গে ঘুমাইওনি।
এদিকে গ্যালিনার দেশে ফেরার পর থেকে তার বাসভবনের সামনে সাংবাদিকদের ভিড় লেগেই আছে। ফলে কিয়েভ থেকে ৩০ কি.মি. দূরবর্তী এ স্থানটি বর্তমানে সরগরম হয়ে উঠেছে। সাংবাদিকরা গাদ্দাফির সেবিকা ও প্রেমিকা হিসেবে পরিচিত এই নারীর কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য বের করার চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি ইউক্রেনের টিভিআই টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন গ্যালিনা। তবে এখনো পর্যন্ত গাদ্দাফির ব্যক্তিগত বিষয়ে মুখ খোলেননি তিনি। শুধু জানিয়েছেন গাদ্দাফি শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো আছেন এবং তার সঙ্গে খুব ভালো একজন মানসিক ডাক্তার রয়েছেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৮:৫৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




