somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রজব মাসের বেদআয়াত শরীয়তের দৃষ্টিভঙ্গি

০৪ ঠা জুলাই, ২০১০ রাত ২:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রজব মাস পালন, তার ফযীলত, তাতে রোযা রাখা ইত্যাদি বিষয়ে শরিয়তের দৃষ্টিভঙ্গি যাচাই, এই সময়ের একটি বহুল উচ্চারিত প্রশ্ন। বিষয়টি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ, তাই আমি এ মাসের সাথে সম্পর্কিত কিছু আহকাম বিষয়ে সংক্ষেপে আলোকপাত করার প্রয়াস পাব, আল্লাহ আমাকে সাহায্য করুন।
রজব : হারাম মাসের একটি
আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন : ‘‘আসমান-জমিনের সৃষ্টি ও সূচনা লগ্ন হতেই আল্লাহর বিধান মতে মাসের নিশ্চিত সংখ্যা বারটি। তার মাঝে চারটি সম্মানিত। এ অমোঘ ও শাশ্বত বিধান ; সুতরাং এর মাঝে তোমরা (অত্যাচার-পাপাচারে লিপ্ত হয়ে) নিজেদের ক্ষতি সাধন করো না। তোমরা সম্মিলিতভাবে মুশরিকদের সাথে লড়াইয়ে লিপ্ত হও, যেভাবে তারা সম্মিলিতভাবে তোমাদের সাথে লড়াইয়ে লিপ্ত হয়। আর জেনে রাখ, আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে আছেন।’’ (তওবা-৩৬)
চার হারাম মাস হচ্ছে : মুহাররম, রজব, জিলকদ ও জিলহজ্জ। আবু বকর (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ‘‘জমানা কাল-চক্রাকারে ঘুরে আসমান-জমিন সৃষ্টির প্রথম দিনের অবস্থায় ফিরে এসেছে। বারো মাসে বৎসর, তার ভেতর চারটি সম্মানিত। তিনটি একসাথে জিলকদ, জিলহজ, মুহররম। অপরটি মুদার সম্প্রদায়ের পঞ্জিকা মতে জুমাদা ও শাবানের মধ্যবর্তী রজব।’’ (বুখারী-মুসলিম)
রজবকে হারাম নামে নামকরণের কারণ
কারণ, তাতে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষিদ্ধ। তবে, শত্র“ প্রথমে আক্রমণ করলে প্রতিরোধ করা বৈধ। এ কারণেই তাকে বলা হত বোধির রজব তাতে হাঁক দেয়া হত না যোদ্ধাদের সমবেত হওয়ার জন্য কিংবা তাতে শোনা যেত না অস্ত্রের ঝঙ্কার। কিংবা তাকে হারাম বলা হয় এ কারণে যে, অন্যান্য মাসের নিষিদ্ধ কর্মের তুলনায় এ মাসের নিষিদ্ধ কর্ম অধিক দূষণীয়। রজব মাসকে রজব বলা হয়, কারণ তা সম্মানিত। তারহীব মানে সম্মান জ্ঞাপন করা। শব্দটি এখান থেকেই উদ্ভূত। (লাতাইফুল মাআরেফ ২২৫)
রজবে প্রবেশের দোয়া
আনাস (রা:) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) যখন রজব মাসে উপনীত হতেন, তখন এই দোয়া পাঠ করতেন, যখন রজব মাস এসে যেত তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন, ‘হে আল্লাহ আপনি আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকত দান করেন এবং রমযান পর্যন্ত পৌঁছে দেন।’ ইবনে হাজার ও ইবনে রজব উক্ত হাদীসের সনদ দুর্বল বলে আখ্যায়িত করেছেন।
রজবের দশ তারিখে উপাস্যের উদ্দেশ্যে পশু জবাই
কোন কোন আলেম রজব মাসে পশু জবাই মোস্তাহাব বর্ণনা করেছেন, প্রমাণ হিসেবে তারা উপস্থাপন করেন মাখনাফ বিন সালিম (রা:)-এর হাদীস। মাখনাফ বিন সালিম (রা:) বলেন, আমরা রাসূলের সাথে আরাফার মাঠে অবস্থান করছিলাম, আমি শুনলাম তিনি বলছেন প্রতিটি বাড়ির অধিকারীদের উপর প্রতি বছর কুরবানী ও রজব মাসের আতীরা কর্তব্য। তোমরা কী অবগত আতীরা কি ? তা হল যাকে তোমরা রজবিয়া বল (অর্থাৎ রজবে জবেহ করার পশু)। আহমদ ৫/৭৬। ইমাম তিরমিজি বলেন হাদীস টি ‘হাসান’ ও ‘গরিব’। আমরা হাদীসে ইবনে আউনের সূত্র ব্যতীত ভিন্ন কোন সূত্রে হাদীস টি পাই না। মুহাদ্দিস ইবনে হাযম ও আব্দুল হক একে দুর্বল হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। ইবনে কাসীর বলেন হাদীসটির সনদের ব্যাপারে নানা সংশয় রয়েছে।
অধিকাংশ বিজ্ঞজনের মত এই যে, হাদীসটি মনসূখ (রহিত)। আবু হুরায়রা (রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন ‘ইসলামে ফারা’ আতীরার অস্তিত্ব নেই।’ (বুখারী ৪৭৪৫)
হাদীসটির ব্যাখ্যায় আবু দাউদ বলেন, কেউ কেউ বলেন ফারা’ বলা হয় উটের প্রথম ভূমিষ্ঠ বাচ্চাকে, প্রাচীন আমলে লোকেরা তাদের উপাস্য তাগুতের জন্য একে বলি দিত। অতঃপর তার মাংস খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করত, চামড়া ঝুলিয়ে রাখত গাছের ডালে। আতীরা বলা হয় রজবের দশ তারিখে উপাস্যের উদ্দেশ্যে যে পশু বলি দেওয়া হয়, তা। (আস সুনান ৩/১০৪)
ইবনে সীরীন, আবু উবাইদ ও ইসহাক বিন রাহওয়াই প্রমুখ আলেমের মত এই যে, হাদীসটিকে মানসূখ (রহিত) হিসেবে গ্রহণ করাই ওয়াজিব বা আবশ্যক।
রজবে উমরা পালন
মুসলমানদের কোন কোন উপদল রজব মাসকে বিশেষভাবে উমরা পালনের মাস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। তাদের বিশ্বাসের মধ্যে রয়েছে প্রভূত ফযীলত এবং পরকালীন পুরস্কার। প্রকৃত সত্য ও শুদ্ধ মত হল রজব অন্যান্য মাসের অবিকল, তার বিশেষত্ব নেই অন্য মাসের তুলনায়। তাতে উমরা পালনের বিশেষ কোন ফযীলত বর্ণনা করা হয়নি। উমরা পালনের ক্ষেত্রে সময় সংশ্লিষ্ট আলাদা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী রমযান মাস এবং হজ্জে তামাত্তুর জন্য হজ্জের মাসগুলো। এ মাসগুলোয় উমরা পালনের বিশেষ ফায়দা হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত ও প্রমাণিত। হাদীসের কোথাও এ স্বীকৃতি পাওয়া যায় না যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মাসে উমরা পালন করেছেন। তাছাড়া, বিষয়টিকে আয়েশা (রা:) সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন।
রজব মাসের বেদআত
রজব মাসে মানুষের আবিষ্কৃত এবাদতগুলো নিম্নরূপ :
প্রথমত: সালাতুর রাগায়েব। তা হচ্ছে প্রথম জুমায় বাদ মাগরিব সাতটি সালামের মাধ্যমে বার রাকাত সালাত আদায় করা। প্রতি রাকাতে সূরাহ ফাতেহা পাঠের পর সূরাহ কদর তিনবার পাঠ করবে এবং সূরাহ ইখলাস পাঠ করবে বারো বার। সালাত হতে ফারেগ হবার পর সত্তর বার দরূদ পাঠ করবে, এরপর দোয়া করবে ইচ্ছামত। সন্দেহ নেই এবাদতের এ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে বেদআত, বর্জনীয়। এ সম্পর্কিত হাদীসটি সন্দেহাতীতভাবে মাওজু। ইবনে জাওজি তার এক রচনায় ইমাম নববীর বরাতে উল্লেখ করেন যে, আলেমগণ এর মাধ্যমে সালাতের কারাহাত প্রমাণ করেছেন আল্লাহ তা’আলা এর উদ্ভাবক ও উদ্পাদককে ধ্বংস করুন। এ নিশ্চয় বেদআত, সুতরাং, সর্বার্থে বর্জনীয়। তা নিশ্চয় পথভ্রষ্টতা, মূর্খতা তাতে পালন করা এমন কিছু, যা বর্জনীয়। আলেমদের একটি বৃহৎ শ্রেণী একে ভ্রান্ত প্রমাণ করে নানা গ্রন্থ সংকলন করেছেন, এ সালাত আদায়কারীকে পথভ্রষ্ট হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। খাত্তাবী (রহ:) বলেন, সালাতুর রাগায়েব সংক্রান্ত হাদীসটি মিথ্যার অপলাপ বৈ নয়। হাফেজ ইবনে রজব (রহ:) বলেন : রজব মাসের সাথে বিশিষ্ট কোন সালাত নেই। সালাতুর রাগায়েবের ফযীলত সংক্রান্ত যাবতীয় হাদীস মিথ্যা, ভ্রান্তিপ্রসূত যা কোন ভাবেই শুদ্ধ হতে পারে না। অধিকাংশ আলেমের সক্রিয় রায় অনুসারে এ সালাত বেদআত। হিজরী চার শতকের পরে এ সালাতের অস্তিত্ব ইতিহাসে পাওয়া যায়, তাই আমরা দেখতে পাই, প্রথম যুগের আলেমগণ এ ব্যাপারে কিছুই উলে−খ করেননি।
দ্বিতীয়ত: মধ্য রজবের সালাত। এ সংক্রান্ত যাবতীয় হাদীস মওজু।
তৃতীয়ত: মেরাজের রাত্রির সালাত। তা রজবের সাতাশ তারিখে আদায় করা হয়। একে বলা হয় লাইলাতুল মেরাজের সালাত। এ এমন বেদআতী সালাত, যার কোন শরয়ি ভিত্তি নেই। রজব মাসেই মেরাজ সংগঠিত হয়েছে এ দাবিরও কোন জোড়ালো ভিত্তি পাওয়া যায় না। আবু শামাহ (রহ:) বলেন, কিছু কিছু গল্পকার বলেছেন যে, রজব মাসেই মেরাজ সংগঠিত হয়েছে। সঠিক পথের অনুসারীদের কাছে এ নিশ্চিত বিভ্রান্তি, মিথ্যা-প্রসূত। পক্ষান্তরে আবু ইসহাক উলে−খ করেন যে, রবিউল আউয়ালের সাতাশ তারিখে রাসূলের মেরাজ সংগঠিত হয়। যারা এ হাদীসের মাধ্যমে দলিল প্রদান করে সালাত আদায় করেন যে, রাসূল বলেছেন রজব মাসে এমন এক রাত্রি রয়েছে, যে রাতের আমলকারিকে ১০০ বছরের পুণ্য প্রদান করা হয়। তা হচ্ছে রজবের ২৭ তারিখ। হাফেজ ইবনে হাজার, ইমাম বায়হাকী প্রমুখ আলেম একে দুর্বল হাদীস হিসেবে বর্ণনা করেছেন। উক্ত রাত্রির আরো বেদআত এই যে, সম্মিলিতভাবে উদযাপন, মুমূর্ষু ব্যক্তিদের জেয়ারত, খাদ্যোৎসব ইত্যাদি। শায়েখ আলী ক্বারী বলেন সন্দেহ নেই, এ খুবই মন্দ বেদআত, গর্হিত কর্ম, কারণ, তাতে অকারণে সম্পদের অপচয় করা হয়, পৌত্তলিকদের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ আচরণ করা হয়।
রজবের রোযা
রজব মাসে রোযা পালনের ব্যাপারে স্বতন্ত্র কোন ফযীলত বর্ণনা করা হয়নি। বরং অন্যান্য মাসের মতই তাতে এবাদত করা হবে, রোযা রাখা হবে যেভাবে রাখা হয় অন্যান্য মাসে। পেশাদার ওয়ায়েজ ও গল্পকার ভণ্ড ধার্মিকরা এর ফযীলত বর্ণনা প্রসঙ্গে যে হাদীস বর্ণনা করেন রাসূল বলেছেন : রজবে রয়েছে একটি নহর, যার পানি বরফের তুলনায় সফেদ-শুভ্র, মধুর তুলনায় মিষ্ট, রজব মাসে যে একটি রোযা রাখবে, সে তা হতে পান করবে। উক্ত হাদীসটি বাতিল ও অগ্রহণযোগ্য। অন্য হাদীস , যা বর্ণিত হয়েছে এভাবে : অর্থ : রজব এক মহৎ ও মহান মাস। আল্লাহ তাতে পুণ্য দ্বিগুণ করে দেন। যে রজবের এক দিন রোযা রাখবে সে যেন পুরো বছরই রোযা পালন করল। আর যে সাত দিন রোযা রাখবে তার জন্য জাহান্নামের সাতটি দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে। আর যে ব্যক্তি পনেরো দিন রোযা পালন করবে, আকাশের একজন ঘোষক তাকে ডেকে বলবে: তোমার ইতোপূর্বের সমস্ত পাপ ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে, সুতরাং নতুনরূপে আমলের সূচনা কর। আর যে এরও অধিক করবে, আল্লাহ তাকে আরো অধিক পুরস্কারে ভূষিত করবেন। একে ইবনে হাজার আসকালানী বাতিল বলে সাব্যস্ত করেছেন।
আমি নিবন্ধটির সমাপ্তি করছি হাফেজ ইবনে কায়্যিম ও ইবনে হাজার রহ: মন্তব্য দ্বারা, ইবনে কায়্যিম বলেন : রজবের রোযা ও সালাতের ব্যাপারে যে হাদীসগুলো উল্লেখ করা হয়, তা- সবই মিথ্যা, অগ্রহণযোগ্য, সুতরাং বর্জনীয়। পক্ষান্তরে ইবনে হাজারের মন্তব্য ছিল রজব মাসের ফযীলত, তাতে রোযা পালন, কিংবা নির্দিষ্ট কোন অংশে ও রাতে রোযা ও সালাত আদায় ইত্যাদি বিষয়ে প্রামাণ্য কোন শুদ্ধ হাদীস পাওয়া যায় না, যার মাধ্যমে বিষয়টি প্রামাণ্যতার মানদণ্ডে উন্নীত হবে। আমরা যে কোন বিদ’আতি কর্মকাণ্ড থেকে বেঁচে থাকার জন্য আল্লাহর তওফীক কামনা করি। আল্লাহ যেন আমাদেরকে সঠিকভাবে আমল করার তাওফীক দান করেন। আমীন


৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×