নিমতলী ট্রাজেডি! নিমতলী ট্রাজেডির সময় ফেসবুকে বহু লেখালেখি হল।
সরকারের এই করা উচিত, সেই করা উচিত। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে জন্য সরকারকে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছিল, তার নমুনা ত চকবাজারে আমরা দেখেছি।
বনানীর কি অবস্থা, দেড় ঘন্টা পর পালোয়ান বাহিনীর আগমন। তারপর, ব্যাটারি নেই, হাইড্রলিক পাম্প নেই, পানি নেই, মইনেই।
তারপর, এলো বিমানবাহিনী নাটক, ফুটো বালতিতে পানি ঢালা। এটা না হলেও চলতো।
এরপর ও অভিজান সফল ...
আজ সকালে আবারও গুলশানে...
এরপর কোথায় ...
এসব কি হচ্ছে আল্লাহ ভালো জানেন।
তারপরও আমরা কথা বলি এবং বলছি। শুধুই কথা বলি।
ফেসবুকে বিজ্ঞ বিজ্ঞ কথা কই।
স্ট্যাটাসে সব একাকার করে ভাসিয়ে দেই। রাত দিন প্রায় ২৪ ঘন্টা ফেসবুকে এসব নিয়ে জিহাদ করি। তারপর একসময় ক্লান্ত হয়ে মোবাইলটা চার্জে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। যাই ঘটুক, রাতেই মোবাইল চার্জ দিতেই হবে। কারণ, আগামীকাল যে আমাকে নতুন কোনো ইস্যু নিয়ে বিজ্ঞ সূচক পোস্ট লিখতে হবে!
আর দিনশেষে আমার সবচেয়ে বড় স্বস্তি, আমার ভাই ব্রাদার ভালো আছে এবং নিরাপদে আছে। ঠিক তেমনই বাংলার কোটি জনতাও আজ ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভাববে, মৃত ২৫ জনের মধ্যে ত আমার ছেলেটা নেই। অতএব আমার কীসের এতো ভাবনা! জুম্মাবার এলে, নামায শেষে একটা লম্বা দোয়া কইরা দিবো। খেল খতম..."
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ১০:২৪