দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)
সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত দিয়ে জলস্রোত ঠেকানোর মতো, বললেই চলে এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে যুগের এসব ফেতনা থেকে বাচিয়ে রাখা অসম্ভব।
আর এই গুনাহ সমুহের অধিকাংশই নারী সংশ্লিষ্ট, অর্থাৎ নারীকে দিয়েই সুচনা করে থাকে নষ্টামির যত সব আয়োজন। খুঁজে দেখবেন পুরুষ জাতির চরিত্রের অধঃপতনেও এই নারী। এই নারী-ই আবার যদি হয় দ্বীনদার, পরহেজগার মুত্তাকী, তবে সে হয়ে উঠে পুরুষের ইমান আমল রক্ষা ও জান্নাতের পথে চলার অন্যতম পাথেয়।
শুধু তাই নয় পরিবারে ইসলামি অনুশাসন রক্ষা ও দ্বীনি পরিবেশ তৈরিতেও নারীর ভূমিকা অনুস্বীকার্য। কারণ বললেই চলে সন্তানকে সম্পদে রূপান্তিত করার অন্যতম কারিগরও এই নারী অর্থাৎ মা। কারণ প্রতিটা মানুষেরই প্রথম শিক্ষক তার মা। সন্তান মায়ের কাছ থেকেই চলার বলার অধিকাংশ বিষয় শিক্ষা নিয়ে থাকেন। মা ছোট থেকে যেভাবে শিখাবে বাচ্চারা সেভাবেই বেড়ে উঠবে।
এমন পরিস্থিতিতে দ্বীনদার একজন জীবনসঙ্গীনী যেন, অন্ধকার রাস্তায় এক আলোর প্রদীপ। মনে রাখতে হবে পুরুষের চরিত্র ঠিক রাখার অন্যতম পাথেয় হলো বিয়ে, এর মাধ্যমেই পুরুষ তার চরিত্র নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা পায়। কারণ আমাদের পিছু নিয়ে আছে, সব সময়ই থাকবে আজাজিল। আর মানুষ যখন বৈধ পান্থায় তার চাওয়া পূর্ণতায় ব্যর্থ হয়, তখনই সে হারামের দিকে ঝুকে বা শয়তান ঝুকায়।
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَٰجِنَا وَذُرِّيَّٰتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍۢ وَٱجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
✍️আবুল কাসেম
১লা নভেম্বর, ২০২৪