রিপাবলিক বাংলার ময়ুখের চট্টগ্রাম দখলের কথা তুলে হাসাহাসি করতেছিলাম।
ঠিক তখন বিসিএস প্রিপারেশান নেওয়া বন্ধু ভয়ঙ্কর একটা তথ্য দিলো।
চট্টগ্রাম দখলের ব্যাপারটা ভারতের ইউপিএসসি পরীক্ষাতেও আসে। এইটা নাকি ওদের ক্লাসে পড়ানো হয়।
ভারতের সমস্যার সমাধান হিসেবে ভারতের সিভিল সার্ভিসের লোকজন নাকি পরীক্ষার খাতাতে লেখে, চট্টগ্রাম দখল করতে হবে। রংপুর দখল করে ভারতের সমস্যা সমাধান করতে হবে।
ইভেন ওদের কোচিং এর মডেল টেস্টে প্রশ্ন আসে, বাংলাদেশকে কীভাবে কন্ট্রোল করা যায়? উত্তর শেখায়, সংখ্যালঘুদের ইউজ করতে হবে। সীমান্তে অস্থিরতা তৈরি করতে হবে।
এইগুলা অফিশিয়ালি ভারত তাদের কর্মচারীদের শেখায়। মানে ধরেন যে ভারতের পুলিশ হচ্ছে, ম্যাজিস্ট্রেট হচ্ছে, কূটনৈতিক হচ্ছে, সবাই পরীক্ষা আর ভাইবাতে বলতেছে চট্টগ্রাম দখল করতে হবে। বাংলাদেশ অস্থির করতে হবে।
আর আমাদের ছোটবেলা থেকে পড়ানো হয়, ভারত বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু।
আমি রিপাবলিক বাংলার নিউজের নিচে ভারতীয়দের কমেন্ট পড়ি। ওখানে বাংলাদেশের লোকজন হাসাহাসি করলেও ভারতের কাউকেই আমি হাসতে দেখিনি। বরং ওরা সিরিয়াসলিই চট্টগ্রাম দখলের আলাপ করে।
আপনার কি মনে হয় ভারতের সব মানুষ স্টুপিড? এতো লেইম জিনিস দেখে ওরা সিরিয়াসলি নেয় কেন, প্রশ্নটা করতে মন চায়নি? কারণ, ওদের এসব অত্যন্ত সিরিয়াসলি পড়ানো হয়।
এই আলাপগুলো আমাদেরও আসলে সিরিয়াসলি করা উচিত।
ভারত তার কর্মচারীদের শেখাচ্ছে, বাংলাদেশ আনস্টেবল করো। সংখ্যালঘু কার্ড খেলো। আর বাংলাদেশ শেখাচ্ছে, সবাই আমাদের বন্ধু।কেউ কারো শত্রু না। সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা না।
এই যে ভারতের আমলা আর আফিশিয়ালরা এখন সিরিয়াসলি বাংলাদেশে সামরিক অভিযান নিয়ে আলোচনা করছে, কথা বলছে, রিসার্চ করছে, এগুলো একদিনে আসেনি।
ওদের এভাবেই তৈরি করা হয়েছে।
বাট আমরা কি নিজেদের ঐভাবে তৈরি করেছি?
(ফেসবুক থেকে কপিকরা)
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:৩১