somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিশুদের জন্য চাই পৃথক মন্ত্রনালয়

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১১:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



যাক শিশুদের বয়স নির্ধারণ নিয়ে যে রাষ্ট্রীয় দ্বিধা-দন্দ্ব ছিল এতদিন তা তাহলে নিরসন হতে যাচ্ছে। শিশুদের বয়স ১৮ পর্যন্ত নির্ধারন করে খসড়া শিশু নীতিমালা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ অনুযায়ী শিশুদের বয়স ১৮ করার জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। পাশাপাশি আবার বলা হয়েছিল যে স্বাক্ষরকারী রাষ্ট্র চাইলে সংসদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থানীয় বাস্তবতার ভিত্তিতে এই বয়স নির্ধারন করা যাবে।

বাংলাদেশে শ্রম আইনে, ফৌজদারী আইনে আর সর্বসাধারনের মধ্যে শিশুর বয়স নিয়ে বিভিন্নতা ছিল।

শিশুরাই জাতির ভবিষ্যত। ভালভাবে বিকশিত একজন শিশুই বড় হয়ে দেশের মেধাবী নীতিনির্ধারক, সৎ রাজনীতিবীদ, সংবেদনশীল ডাক্তার, কিংবা দক্ষ ইন্জ্ঞিনিয়র হবে। আর ত্রুটিপূর্ণ ভাবে বিকশিত শিশুরাই বড় হয়ে মেধাহীন, অসৎ, গলাকাটা আর অদক্ষ পেশাজীবী হিসেবে পরিণত হবে। আমরা শুধু দূর্নীতি, অসৎ আর অদেশপ্রেমী রাজনীতিবীদ নিয়ে চিল্লাচিল্লিই করতে পারি, গোড়া নিয়ে ভাবতে পারি কয়জন?

যদি তাই ভাবতাম তবে নিজ পরিবারের শিশুদের শিশু মনবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বড় করে তোলার চেষ্টা করতাম যেন তাদের মনো-সামাজিক ও মেধাগত বিকাশ সুসম্পন্ন হয়। কিন্তু এখন আমাদের শিক্ষিত মধ্যবিত্তের ধারনা একগাদা প্রাইভেট টিউটর আর স্কুলের দেয়াল গন্ডীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে।

শিশুদের এই পরিপূর্ণ বিকাশ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন একটা পৃথক মন্ত্রনালয়ের। মা ও শিশু মন্ত্রনালয় যেটা রয়েছে তা সম্পর্কে বলা হয় এরা শুধু মা কেন্দ্রীক। বলা হয়ে থাকে মায়ের কোলে শিশু থাকে বলে এর নাম মা ও শিশু মন্ত্রনালয়! এক শিশু একাডেমী পরিচালনা করা ছাড়া এদের শিশু নিয়ে তেমন কোন সিগনিফিকেন্ট কাজ নেই।

যতদিন একটা পৃথক মন্ত্রনালয় গঠন হবে না ততদিন পর্যন্ত দেশের উন্নতি নেই। সরকারকে ধন্যবাদ জানাই এমন একটা জরুরী নীতিনির্ধারণী মূলক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য। এখন দাবী থাকবে শিশুদের জন্য পৃথক মন্ত্রনালয় গঠনের।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৪৬
৬টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×