ইংল্যান্ডে 1928 সালের ব্যাংক নোটস অ্যাক্টে (সেকশন-12) উল্লেখ আছে, কেউ যদি মুদ্রার ওপর ঘষা-মাজা, লেখা-জোখা কিংবা অন্য কোনোভাবে বিকৃত করে, তাহলে তা পুলিশি কেস হিসেবে বিবেচিত হবে। আমাদের দেশে সেরূপ কোনো আইন না থাকায় ব্যাংক কর্মীরাই প্রথমে নোট ছিদ্র করে ও নোটের গায়ে লেখা-জোখা করে বিকৃত করা শুরু করে। সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন না হওয়ায় তারা থুথু কিংবা নোংরা পানি দিয়ে টাকা গোনার কারণে কাগুজে নোটগুলো সহজেই ময়লাযুক্ত তথা জীবাণুযুক্ত হয়ে পড়ে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অণুজীব বিজ্ঞানাগারে এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, ময়লা টাকায় সালমোনেলা, মিগেলা ও সদ্বাইফিলোফোকাস নামক অনেক ভয়ানক ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া কিলবিল করছে। আমরা অনেকেই টাকা নাড়াচাড়া করে ভালো করে হাত ধুয়ে খাবার গ্রহণ করি না। ফলে ওইসব রোগজীবাণু আমাদের দেহে প্রবেশ করে মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে। যেমন_ সব অচল ও ময়লাযুক্ত টাকা জমা দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিতে পারে এবং ঘোষিত তারিখ উত্তীর্ণের পর কেউ যদি বিকৃত ও ময়লাযুক্ত টাকা ব্যাংকে জমা দেয় তাহলে শতকরা 10 কিংবা 5 টাকা হারে কর্তন করে বিনিময় মূল্য প্রদান করা হবে মর্মে নির্দেশ জারি হতে পারে। এতে করে ধীরে ধীরে টাকার নোটের সৌন্দর্য রক্ষায় মানুষ সচেতন হবে।
মনে রাখা দরকার, কাগুজে নোট সাধারণ মানুষের কাছে বিনিময়মূল্যের একমাত্র বাহন হওয়ায় তাদের কাছে কাগুজে নোট অতি আদুরে ও মূল্যবান বস্তু হিসেবে সমাদৃত।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


