somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম; দেশের ধমর্ীয় সন্ত্রাসবাদ জঙ্গিদের উচ্ছেদে সমাজের সকল শুভ শক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে

২২ শে জুন, ২০০৬ রাত ২:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। ইসলাম সন্ত্রাসের ধর্ম নয়। এই শান্তির ধর্মে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও জনজীবনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী নাশকতামূলক কাজে লিপ্তকারী কোনো অপশক্তির স্থান নেই। বর্তমানে দেশের যে অবস্থা তা থেকে প্রতীয়মান হয় শান্তির ইসলাম আর শান্তিতে নেই। আজ ইসলামে প্রবেশ করেছে অশান্তি, অরাজকতা, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড। ইসলাম নিয়ে করা হয় রাজনীতি, আজ ইসলামের নামে মানুষ হত্যা করছে আর বলছে আমরা ইসলামের হেফাজত করছি।

বিশ্বের মাঝে ইসলাম আজ সন্ত্রাস, ধর্ম হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে কেন? বারবার ধর্মের নামে বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা এসব কি শান্তির ধর্ম ইসলামে আদৌ বলা হয়েছে? দেশে বিদেশে একের পর এক বোমা ও গ্রেনেড হামলা চালানো হচ্ছে। মানুষ আজ এক ভয়াবহ ক্ষমতায় দিন কাটাচ্ছে। কেন এমন হবে? কেন আজ এতো শঙ্কার মধ্যে প্রতিটি মানুষ জীবনযাপন করছে? ইসলামের মূল শিক্ষার সঙ্গে আজকের ইসলামের কেন এতো প্রভেদ? কেন আজ সবাই ইসলামকে সন্ত্রাসী ধর্ম হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে?

আমাদের দেশের কথাই ধরি, ধমর্ীয় সন্ত্রাসীরা কয়েকদিন বা কয়েক বছরে তৈরি হয়নি বরং এ দেশে সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম হয়েছে বহু বছর পূর্বে থেকেই। কিন্তু ইতিপূর্বে তারা সাহস করতে পারেনি কিন্তু বর্তমানে তাদের ক্ষমতা ও সাহস বেড়ে গেছে বলেই বারবার বোমা হামলা করে যাচ্ছে আর মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। যারা এ দেশে সরাসির বলেছিল যে বাংলাভাই , আব্দুর রহমান যা করছে তা ভালো কাজ করছে তারাই আসলে এই আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের মদদদাতা, তাদের ছত্রছায়ায় থেকে এই বোমা হামলাকারীরা লালিত-পালিত হয়েছে।

যারা ধর্মের নামে আত্মঘাতীমূলক হামলার জন্য প্রস্তুত হয়, তারা ভাবে যে হুজুর যেহেতু বলেছে বোমা হামলা করে প্রাণ দিলে বেহেস্তে যাওয়া যাবে ও শহীদ হওয়া যাবে তা হলে আর কীসের দরকার এই জীবন রেখে। হায়রে অন্ধরা! শহীদ হওয়া কি এতোই সহজ যে আত্মহত্যা করে হওয়া যায়? বরং আত্মহত্যা তো মহাপাপ।

দেশে আত্মঘাতী বোমা হামলার পিছনে কিছু কারণ রয়েছে তা হলো মাদ্রাসাগুলোতে অতি শৈশবকাল থেকেই ইসলামি শাসন, কল্পকথা এবং জিহাদ সম্পর্কে ভুল ধারণা তাদের কর্ণে এমনভাবে প্রবিষ্ট করানো হয় এবং তাদের হৃদয়ে তা এমনভাবে গেঁথে দেওয়া হয় যার ফলে তাদের নৈতিকতা মরে যায় এবং তারা তাদের ঘৃণা কার্যে- খারাপি সম্পর্কে উপলব্ধি করতে পারে না। বরং কোনো ব্যক্তি অজ্ঞাতসারে অন্য একজনকে হত্যা করে নিহত ব্যক্তির পরিবারে যে ধ্বংস ডেকে আনবে তাতে সে মনে করে যে, সে একটি অতি উত্তম কাজ করেছে। বরং সে ভাবে যে, সে তার সমপ্রদায়ের অনুগ্রহ অর্জনের একটি সুযোগ লাভ করেছে। আত্মঘাতীদেরকে ছোটবেলা থেকেই এই ধরনের শিক্ষা দিয়ে তৈরি করা হয় যে, বোমা মেরে লোকদের হত্যা করার মাধ্যমেই ইসলামি শাসন কায়েম হবে আর আলাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যাবে।

লেখার শেষদিকে আবার বলতে চাই ইসলাম পরিপূর্ণভাবে শান্তির ধর্ম এটা বলার কোনো অবকাশ রাখে না। ইসলাম ধর্মের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানো নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও ইসলামি সন্ত্রাসবাদীরা তাদের ন্যক্কারজনক কার্যকলাপ করা থেকে বিরত না হয়ে আরও ব্যাপক হারে নাশকতা করেই যাচ্ছে। তাই যখন ইসলামের নাম পরিচয় প্রদান করে কেউ অনৈসলামিক কাজে লিপ্ত হয়, তখন তার কর্মের জন্য শান্তির ধর্ম ইসলামকে দায়ী করে। তাই যারা বোমা মেরে মানুষ হত্যা করছে তাদেরকে আমরা ধিক্কার জানাই, তাদের প্রতিবাদ করি। কিন্তু ইসলামকে কেউ যেন সন্ত্রাসী ধর্ম হিসেবে মনে না করি, কারণ ইসলাম পৃথিবীতে এসেছে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য, কোনো বিশৃঙ্খলার জন্য নয়।

আজ কতিপয় সন্ত্রাসীদের কার্যকলাপে দেশের শান্তিকামী মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং এ সকল যন্ত্রণায় জাতি ভুগবে তা মেনে নেওয়া কারো জন্য উচিত হবে না। তাই দেশের ধমর্ীয় সন্ত্রাসবাদ জঙ্গিদের উচ্ছেদে সমাজের সকল শুভ শক্তি এগিয়ে আসতে হবে।

দ্রষ্টব্যঃ বানান ভুল পরিলক্ষিত হলে ক্ষমাপ্রাথর্ী। লেখাটির লিখতে অনুপ্রেরণা পেয়েছি আজকের প্রথম আলো পত্রিকার শিরোনাম " হরকাতুল জিহাদের বাংলাদেশী জঙ্গিরা লড়ছে দেশে দেশে; নিষিদ্ধ এই সংগঠনের ব্যাপারে উদাসীন সরকার" এর জন্য ।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০০৬ রাত ৩:৩২
১৭টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

প্রকৌশলী এবং অসততা

লিখেছেন ফাহমিদা বারী, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৫৭


যখন নব্বইয়ের দশকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং পছন্দ করলাম পুরকৌশল, তখন পরিচিত অপরিচিত অনেকেই অনেকরকম জ্ঞান দিলেন। জানেন তো, বাঙালির ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারিতে পিএইচডি করা আছে। জেনারেল পিএইচডি। সবাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুসের উচিৎ ভারতকে আক্রমন করা , বিডিআর হত্যাকান্ডের জন্য

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৭


ইউনুসের উচিৎ ভারতকে আক্রমন করা , বিডিআর হত্যাকান্ডের জন্য

পহেল গাঁয়ে পাকিস্থানি মদদে হত্যাকান্ডের জন্য ভারত পাকিস্থানে আক্রমন করে গুড়িয়ে দেয় , আফগানিস্থান তেহেরিক তালেবানদের মদদ দেওয়ার জন্য, পাকিস্থান... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:১৫

আমি ভারতকে যাহা দিয়াছি, ভারত উহা সারা জীবন মনে রাখিবে… :) =p~

ছবি, এআই জেনারেটেড।

ইহা আর মানিয়া নেওয়া যাইতেছে না। একের পর এক মামলায় তাহাকে সাজা দেওয়া... ...বাকিটুকু পড়ুন

এমন রাজনীতি কে কবে দেখেছে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২০


জেনজিরা আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনামল দেখেছে। মোটামুটি বীতশ্রদ্ধ তারা। হওয়াটাও স্বাভাবিক। এক দল আর কত? টানা ১৬ বছর এক জিনিস দেখতে কার ভালো লাগে? ভালো জিনিসও একসময় বিরক্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযুদ্ধের কবিতাঃ আমি বীরাঙ্গনা বলছি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১৫


এখনো রক্তের দাগ লেগে আছে আমার অত্যাচারিত সারা শরীরে।
এখনো চামড়া পোড়া কটু গন্ধের ক্ষতে মাছিরা বসে মাঝে মাঝে।

এখনো চামড়ার বেল্টের বিভৎস কারুকাজ খচিত দাগ
আমার তীব্র কষ্টের দিনগুলোর কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×