বিশ্বের মাঝে ইসলাম আজ সন্ত্রাস, ধর্ম হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে কেন? বারবার ধর্মের নামে বোমা মেরে মানুষ হত্যা করা এসব কি শান্তির ধর্ম ইসলামে আদৌ বলা হয়েছে? দেশে বিদেশে একের পর এক বোমা ও গ্রেনেড হামলা চালানো হচ্ছে। মানুষ আজ এক ভয়াবহ ক্ষমতায় দিন কাটাচ্ছে। কেন এমন হবে? কেন আজ এতো শঙ্কার মধ্যে প্রতিটি মানুষ জীবনযাপন করছে? ইসলামের মূল শিক্ষার সঙ্গে আজকের ইসলামের কেন এতো প্রভেদ? কেন আজ সবাই ইসলামকে সন্ত্রাসী ধর্ম হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে?
আমাদের দেশের কথাই ধরি, ধমর্ীয় সন্ত্রাসীরা কয়েকদিন বা কয়েক বছরে তৈরি হয়নি বরং এ দেশে সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম হয়েছে বহু বছর পূর্বে থেকেই। কিন্তু ইতিপূর্বে তারা সাহস করতে পারেনি কিন্তু বর্তমানে তাদের ক্ষমতা ও সাহস বেড়ে গেছে বলেই বারবার বোমা হামলা করে যাচ্ছে আর মুক্তি পেয়ে যাচ্ছে। যারা এ দেশে সরাসির বলেছিল যে বাংলাভাই , আব্দুর রহমান যা করছে তা ভালো কাজ করছে তারাই আসলে এই আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীদের মদদদাতা, তাদের ছত্রছায়ায় থেকে এই বোমা হামলাকারীরা লালিত-পালিত হয়েছে।
যারা ধর্মের নামে আত্মঘাতীমূলক হামলার জন্য প্রস্তুত হয়, তারা ভাবে যে হুজুর যেহেতু বলেছে বোমা হামলা করে প্রাণ দিলে বেহেস্তে যাওয়া যাবে ও শহীদ হওয়া যাবে তা হলে আর কীসের দরকার এই জীবন রেখে। হায়রে অন্ধরা! শহীদ হওয়া কি এতোই সহজ যে আত্মহত্যা করে হওয়া যায়? বরং আত্মহত্যা তো মহাপাপ।
দেশে আত্মঘাতী বোমা হামলার পিছনে কিছু কারণ রয়েছে তা হলো মাদ্রাসাগুলোতে অতি শৈশবকাল থেকেই ইসলামি শাসন, কল্পকথা এবং জিহাদ সম্পর্কে ভুল ধারণা তাদের কর্ণে এমনভাবে প্রবিষ্ট করানো হয় এবং তাদের হৃদয়ে তা এমনভাবে গেঁথে দেওয়া হয় যার ফলে তাদের নৈতিকতা মরে যায় এবং তারা তাদের ঘৃণা কার্যে- খারাপি সম্পর্কে উপলব্ধি করতে পারে না। বরং কোনো ব্যক্তি অজ্ঞাতসারে অন্য একজনকে হত্যা করে নিহত ব্যক্তির পরিবারে যে ধ্বংস ডেকে আনবে তাতে সে মনে করে যে, সে একটি অতি উত্তম কাজ করেছে। বরং সে ভাবে যে, সে তার সমপ্রদায়ের অনুগ্রহ অর্জনের একটি সুযোগ লাভ করেছে। আত্মঘাতীদেরকে ছোটবেলা থেকেই এই ধরনের শিক্ষা দিয়ে তৈরি করা হয় যে, বোমা মেরে লোকদের হত্যা করার মাধ্যমেই ইসলামি শাসন কায়েম হবে আর আলাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যাবে।
লেখার শেষদিকে আবার বলতে চাই ইসলাম পরিপূর্ণভাবে শান্তির ধর্ম এটা বলার কোনো অবকাশ রাখে না। ইসলাম ধর্মের নামে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানো নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও ইসলামি সন্ত্রাসবাদীরা তাদের ন্যক্কারজনক কার্যকলাপ করা থেকে বিরত না হয়ে আরও ব্যাপক হারে নাশকতা করেই যাচ্ছে। তাই যখন ইসলামের নাম পরিচয় প্রদান করে কেউ অনৈসলামিক কাজে লিপ্ত হয়, তখন তার কর্মের জন্য শান্তির ধর্ম ইসলামকে দায়ী করে। তাই যারা বোমা মেরে মানুষ হত্যা করছে তাদেরকে আমরা ধিক্কার জানাই, তাদের প্রতিবাদ করি। কিন্তু ইসলামকে কেউ যেন সন্ত্রাসী ধর্ম হিসেবে মনে না করি, কারণ ইসলাম পৃথিবীতে এসেছে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য, কোনো বিশৃঙ্খলার জন্য নয়।
আজ কতিপয় সন্ত্রাসীদের কার্যকলাপে দেশের শান্তিকামী মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং এ সকল যন্ত্রণায় জাতি ভুগবে তা মেনে নেওয়া কারো জন্য উচিত হবে না। তাই দেশের ধমর্ীয় সন্ত্রাসবাদ জঙ্গিদের উচ্ছেদে সমাজের সকল শুভ শক্তি এগিয়ে আসতে হবে।
দ্রষ্টব্যঃ বানান ভুল পরিলক্ষিত হলে ক্ষমাপ্রাথর্ী। লেখাটির লিখতে অনুপ্রেরণা পেয়েছি আজকের প্রথম আলো পত্রিকার শিরোনাম " হরকাতুল জিহাদের বাংলাদেশী জঙ্গিরা লড়ছে দেশে দেশে; নিষিদ্ধ এই সংগঠনের ব্যাপারে উদাসীন সরকার" এর জন্য ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


