বছর ঘুরে আবারো মানবতার সুমহান আদর্শ নিয়ে মুসলমানদের দরবারে হাজির হল পবিত্র রমজান। শান্তি, সমপ্রীতি, ত্যাগ, তিতিক্ষা ও সংযমের বার্তা নিয়ে প্রতি বছর বিশ্ববাসীর কাছে হাজির হয় কুরআন ঘোষিত শ্রেষ্ঠ মাস পবিত্র রমজান। অসীম রহমত, ফজিলত ও বরকতে পরিপূর্ণ এ মাস হিজরি সনের 12 মাসের মধ্যে সর্বোত্তম হওয়ার কারণ স্বয়ং আল্লাহ্ এ মাসকে নিজের মাস হিসেবে পবিত্র কুরআনে ঘোষণা দিয়েছেন। মর্যাদা ও মাহাত্ম্যের দিক দিয়ে আল্লাহ পবিত্র রমজানকে অভিষিক্ত করেছেন শ্রেষ্ঠত্বের শীর্ষ স্থানে।
ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভের মধ্যে নামাজের পরেই রোজার স্থান। সু প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিছগনের মতে বিশ্বনবী হজরত মোহামমদ (সাঃ) এর হিজরতের 2য় বৎসর থেকেই রমজানের রোজাকে ফরজ করা হয়। আলাহ্ মহাগ্রন্থ আল কোরআনে এরশাদ করেন, "হে ঈমানদারগণ তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেরুপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেমন তোমরা হরহেজগারী অর্জন করতে পার"। (সুুরা আল-বাকারা 183আঃ)
প্রতিপালকের বশ্যতা স্বীকার করার উপযুক্ত মাধ্যম হলো কৃচ্ছ্রসাধন। রমজানের রোজা সবার জন্য বাধ্যতামূলক করা হলেও বিশেষ ক্ষেত্রে এর ওপর কিছুটা শিথিলতা আরোপ করা হয়েছে। পুরুষের ক্ষেত্রে সবক'টি রোজা অবশ্য পালনীয় হলেও মহিলাদের ক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম রয়েছে।
আরবি চান্দ্রমাসের মধ্যে রমজানকে সর্বোত্তম মাস করার পাশাপাশি আল্লাহতালা মানব জাতিকে আত্মশুদ্ধি এবং আত্মোৎসর্গ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। এ সুবর্ণ সুযোগকে কাজে লাগাতে বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মানুষ অধীর আগ্রহে সারাবছর অপেক্ষায় থাকেন পবিত্র রমজানের শুভাগমনের।
সবাইকে পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


