somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাগো নারী, জাগো দুর্গতিনাশিনী

০৬ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যা দেবী সর্বভুতেষূ শক্‌তিরূপেণ সংস্‌থিতা
নমতৈস্য নমতৈস্য নমতৈস্য নম নমঃ


কয়েকদিন ধরে অসুস্থতাজনিত কারণে বিছানাবন্দী।অফুরন্ত অবসরে সংগী মুঠোফোন।একটু আনন্দ আর বিনোদনের আশায় ফেসবুক আর অনলাইন পোর্টালগুলোতে ছোটাছুটি।বিনোদন - ছাগল মরিবার পর তাহাদের আসল ছাগলামি শুরু হইল। আনন্দ? আনন্দ? ???.....বগুড়ায় মা-মেয়ের জোড়া ধর্ষণের পর ঢাকায় শিশু তানহা অতঃপর চাচা কর্তৃক ভাতিজী, ইরানি রেহানে জাব্‌বারির আত্মরক্ষার জন্য মৃত্যুদণ্ড.... এরই মাঝে একটুখানি শান্তির সুবাতাস ইয়েমেনে শিশু ধর্ষককে জনসমক্ষে গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর। ইশ একবার শুধু একবার যদি কোনভাবে সুপারম্যান টাইপ কিছু হয়ে যেতে পারতাম!...একটাকেও ছাড়তাম না। একেবারে ইয়ামেনীয় পদ্ধতিতে না না আমি অবশ্য অতটা নিষ্ঠুর হতাম না শুধু বিশেষ অঙ্গটি ছেদ করে জনসমক্ষে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতাম। আমি নিশ্চিত একটাও যদি করতে পারতাম আমাদের দেবশিশুরা, মা-বোনেরা কিছুটা হলেও নিশ্চিন্তে কয়েকটাদিন চলাফেরা করতে পারতো।

ভাবতে অবাক লাগে এদেশের প্রধান নারী,বিরোধীদলীয় নেতাগণ নারী,স্পিকার নারী এছাড়াও অনেক গুরুত্বপূ্র্ণ পদে রয়েছে নারীরা, তাদের কোমল হৃদয়ে কি একটুও আচঁড় কাটেনা এ দেবশিশুগুলোর আর্তনাদ! দেয়ালে যখন পিঠ ঠেকে যায় তখন ঘুরে দাঁড়াতে হয়। ইচ্ছে হচ্ছে এই মুহূর্তে মহল্লায় মহল্লায় নারীরক্ষী বাহিনী গড়ে তুলি যারা এ জাতীয় ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অপরাধীকে ধরে সরাসরি ইয়ামেনীয় পদ্ধতিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

খুবই হতাশ লাগে যখন এগুলো নিয়ে শুরু হয়ে যায় নারীবাদী পুরুষবাদী কচকচানি। হা ইশ্বর! মানুষ কেন বোঝে না নারী - পুরুষ কিছু ভিন্ন শারীরিক বৈশিষ্টের মানুষ যারা কেউ কখনো কারও অবস্থান গ্রহণ করতে পারবেনা।যেখানে কাউকে সমান মানদণ্ডে দাড় করানো যায় না, সেখানে কে আশরাফ কে আতরাফ এ প্রশ্ন আসে কোথ্থেকে?খুবই কুণ্ঠিত হই যখন নারীমুক্তি,নারী অধিকার এই কথাগুলি শুনি--
নারী কি ভিনগ্রহবাসী এলিয়েন?

বেগম রোকেয়ার মত আজ আবার ডাক দিতে ইচ্ছে করছে আর কত ঘুমাবে ভগিনীগণ! জাগো, সময় হয়েছে জাগবার। বাংলা সিনেমায়ও শাবানা যুগের অবসান হয়েছে অনেক আগেই।খোদা এ দৃশ্য দেখার আগে আমার মরণ হলো না কেন টাইপ থেকে বেরিয়ে এসে এ যুগের ড্যাশিং নায়িকা হতে হবে যার ক্ষমতা আছে নিজেকে রক্ষা করার। আসুন আমরা আমাদের নারী দায়িত্ব আরো সঠিকভাবে পালন করি-সংসারে পুত্রের করণীয়,ভাইয়ের করণীয়, স্বামীর করণীয় সম্পর্কে শিক্ষা দিই-তাদেরকে একটু মানুষ হতে শেখাই।যার যার অবস্থানে থেকে গণমাধ্যমকর্মীগণ গণসচেতনতামূলক বিষয়গুলো সম্প্রচার করি,শিক্ষকগণ শিশুদের সচেতন করি,এনজিও ও বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর্মীগণ মাঠ পর্যায়ে ঘনবসতিপূর্ণ স্থানগুলোতে শিশু ও নারীদের ঝুঁকির বিষয়ে সচেতন করি, যার যার কর্মস্থলে,গৃহে কর্মীদের সচেতন করি, সোচ্চার হই। আসুন সবাই মিলে আরেকটি বার চেষ্টা করি,সোচ্চার হই কফিনে শেষ পেরেকটি পড়ার আগে।

পুন্শচ: এত কিছুর মাঝেও একটি আশা জাগানিয়া খবর দেশেই জোড়াশিশু তোফা আর তহুরার সফল অস্ত্রোপচার! আশা আছে,এখনও মানুষ আছে মানুষের জন্য :)
০৩ আগস্‌ট ২০১৭
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:১৫
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×