এক বছর ধরে বোমাটোমা ফেলেও আইএস এর যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি করতে পারেনাই মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট, রাশিয়া এসে দুই-তিনদিনেই তার চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি করে ফেলেছে। আইএস দিশেহারা। এটাকে আপনি কী বলবেন? যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চেয়ে রাশিয়া একাই বেশি শক্তিশালী? হতেও পারে! অসম্ভব কিছু নয়। অনেকদিন রাশিয়া চুপ ছিলো, বাইরে শক্তি দেখায় নাই। তাই সবাই রাশিয়াকে বলতো, ওরা শেষ হয়ে গেছে, সোভিয়েত ইউনিয়ন নেই, তো রাশিয়াও নখদন্তহীন ব্যাঘ্র! না ভাইয়া, পুনরায় চিন্তা করে দেখুন!
পুতিন কোন ছাড় দিচ্ছেন না। মিত্র আসাদকে সহায়তা দেয়াটা এখানে মুখ্য নয়, মুখ্য হলো ক্ষমতার প্রদর্শন। ক্ষমতার লড়াইয়ে এগিয়ে থাকা। কাজের কাজ তিনি এই কয়েক ঘন্টাতেই করে ফেলেছেন এবং করছেন। আইএস এর নাকি এত এত অস্ত্র, এত তেলের টাকা? এসব গেলো কই? নাকি সব আমেরিকার দেখানো জুজুর ভয় ছিলো? এক বছর ধরে হামলা চালালো ওবামা ও মিত্ররা, সেটা নিয়ে কেউ কোন কথা বললো না, কিন্তু আজ যেই রাশিয়া নেমেছে এবং সফলভাবে অভিযান পরিচালনা করছে, সেই সবাই কথা বলতে শুরু করেছে! যুক্তরাষ্ট্র আশংকা প্রকাশ করে বলছে, আইএস নয়, বেসামরিক নাগরিক ও মূলত প্রেসিডেন্ট মার্শাল বাশার-আল-আসাদের বিরোধীদেরকেই খুঁজে খুঁজে নিশ্চিহ্ন করছেন পুতিন! কী জানি? আমরা তো আর নিজেরা গিয়ে দেখে আসতে পারছি না, যে আসলে কী হচ্ছে তা জানবো। আমাদেরকে জানতে হলে ঐ বাইরের মিডিয়ার ওপরেই নির্ভর করতে হয়। কিন্তু, এতদিন মার্কিনীরা যে শুধু আইএস ঘাটিতেই হামলা চলিয়েছে, আর এত বড় বিশ্বশাসক শক্তি হয়েই আইএস এর কিছু করতে পারছে না, এটাই বা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য?
যা বলেছিলাম তাই! স্নায়ুযুদ্ধ পরিণতি পাচ্ছে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশংকা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। সত্যিই যদি বিশ্বযুদ্ধ আরেকটা বেধেই যায়, আমরা কোন পক্ষে থাকবো বলুন তো?
-দেব দুলাল গুহ।