নড়াইলে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে এক শিক্ষার্থীর ঘরের খাটের ভেতর লুকানো অবস্থায় স্নাইপার রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে।
আমরা শুরু থেকেই বলে এসেছিলাম, আবু সাঈদ-মুগ্ধদের মৃত্যু পুলিশের গুলিতে হয়নি, হয়ে থাকতে পারে স্নাইপারের গুলিতে। কেননা পুলিশের রাবার বুলেটের ব্রাশ ফায়ারে মানুষ মরা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার, যা রংপুরে আবু সাঈদের বেলায় সম্ভব বলে বলা হয়েছে।
আবার মুগ্ধর মৃত্যুর ফুটেজে দেখা যায়নি তার আশপাশে নরমাল বন্দুকের রেঞ্জের মাঝে কোনো বন্দুকধারীকে, পুলিশ তো ছিলই না। আগের রাতেই বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে আন্দোলন ছিনতাই না করার হুঁশিয়ারি দেওয়া মুগ্ধকেও হয়তো স্নাইপার রাইফেল দিয়েই মারা হয়েছে।
কয়েক মাস আগে ৭.৬২ বোরের স্নাইপার রাইফেলের গুলি উদ্ধার করা হয়েছিলো, এখন উদ্ধার হলো স্নাইপার রাইফেল, যার সাহায্যে অনেক দূর থেকেই গুলি করা মানুষ মারা সম্ভব। সেই রাইফেলের কথা প্রেসের সামনে বলার পর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদ হারিয়েছিলেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন।
তবে কি হাসনাত-সার্জিসদের নিরাপত্তা দেওয়া ক্যাপ পরিহিত চাপ দাঁড়ির সেনাবাহিনীর সেই বরখাস্ত হওয়া ক্যাপ্টেনের হাতের সেই স্নাইপারের মতো এমন অনেক রাইফেল ছড়িয়ে আছে দেশ জুড়ে?
আস্তে আস্তে এমন অনেক কিছুই বেরিয়ে আসবে।
আমরা সাধারণ জনতা দেশ ও আমাদের নিরাপত্তা চাই।
এমন অভিযান অব্যাহত থাক।
স্নাইপার রাইফেল উদ্ধারের ভিডিও: https://www.facebook.com/share/v/16cjfJMbX1/
দেব দুলাল গুহ -- দেবু ফরিদী