somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভারতের বিমানটি ভূপাতিত করা হয়েছে?

১২ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কী হাসিখুশি একটা পরিবার, তাই না? চোখেমুখে কত আনন্দ, যেন দুনিয়ার সব সুখ ঐ চোখগুলি থেকে ছিটকে পড়ছে! এই আনন্দ বৃটিশ সিটিজেন হওয়ার, এই সুখ উন্নত ও নিরাপদ জীবনযাপনের হাতছানির।

কিন্তু হায়, এই আনন্দ আর এই সুখ তাদের কপালে সইলো না ৩০ সেকেন্ডও! উড্ডয়নের মাত্র ৩০ সেকেন্ড পরেই তাদের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। আর বেঁচে নেই কেউ..

প্রতীক জোশি বিগত ৬ বছর ধরেই লন্ডনে বাস করছিলেন। তিনি একজন সফটওয়্যার প্রকৌশলী, অনেক বছর ধরেই স্বপ্ন দেখেছিলেন পরিবার নিয়ে বিদেশে সেটেল করার, যেখানে তাঁর পরিবার তথা স্ত্রী ও বাচ্চারা পাবে উন্নত ও নিরাপদ জীবন!

বছরের পর বছর ধরে সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন। এজন্য যত পেপারওয়ার্ক করা লাগে, তা করেছিলেন। ধৈর্য ধরে বসেছিলেন দেশ থেকে পরিবার নিয়ে চলে আসার, যারা ভারতে ছিলেন।

মাত্র দুদিন আগেই প্রতীকের স্ত্রী ডা: কোমি ভায়াস চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন, লাইফ রিস্ক নিয়েছিলেন সেই স্বপ্নকেই চূড়ান্ত রূপ দেয়ার আশায়। ব্যাগগুলো গোছানোই ছিলো, অপেক্ষায় ছিলো সুন্দর একটা ভবিষ্যত।

কিন্তু কী থেকে যে কী হয়ে গেলো!

আজ সকালে, পরিবারের ৫ জনই একটা প্লেনে উঠে পড়লেন। আপনারা এতোক্ষণে বুঝতে পেরেছেন প্লেনটা টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন এয়ার ইন্ডিয়ার ড্রিমলাইনার-১৭১। আত্মীয়-স্বজনদের থেকে বিদায় নিয়ে হাত নেড়ে স্বপ্নের বিমানে উঠলেন তাঁরা নতুন জীবনের খোঁজে, নতুন এক ভবিষ্যতের হাতছানিতে সাড়া দিয়ে।

কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, ড্রিমলাইনারটি তাঁদের ড্রিমটাকে উড্ডয়নের ৩১ সেকেন্ডও আকাশে ধরে রাখতে পারলো না! উড্ডয়নের মাত্র ৩০ সেকেন্ড পরেই বিমানটিতে বিকট এক শব্দ হলো, যখন বিমানটি মাটি থেকে মাত্র ৭০০ ফুটের মতো উপরে; আর তারপরেই বিমানটি উপরে ওঠার পরিবর্তে নিচে নামতে শুরু করলো! তারপর সেটা গিয়ে আছড়ে পড়লো সামনের লোকালয়ের এক মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে!

আহা, জোশি পরিবারের 'ড্রিম' সেই ড্রিমলাইনারের সাথেই জীবন্ত ভস্মীভূত হয়ে গেলো মুহূর্তেই। এখন নিশ্চয়ই তাঁদের পরিবার-আত্মীয়-স্বজন তাঁদের ভস্ম সামনে রেখে ভাবছে, 'কী দরকার ছিলো উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখার? দেশেই তো ভালো ছিলে!' টাটা গ্রুপের থেকে এই পরিবারটির স্বজনরা ৫ কোটি রূপি পাবে। মৃত প্রত্যকেই এক কোটি করে পাবে। কী করবেন তাঁরা এই টাকা দিয়ে? ফিরে আসবে কি জীবন? না।

এই ঘটনা আমাদেরকে কি শিক্ষা দিলো? এই শিক্ষা দিলো যে, আমরা যারা ভেবে বসে আছি যে আমাদের জীবনে অনেকটা সময় আছে নতুন স্বপ্ন দেখার, নতুন করে জীবন শুরু করার, নতুন পথে চলার, তারা আসলে ভুল করছি। যেকোনো মুহূর্তই হয়ে যেতে পারে আমাদের শেষ মুহূর্ত! তাই যতক্ষণ আছে প্রাণ, জীবনটাকে উপভোগ করুন।

আমার কেন যেন মনে হচ্ছে, ১৯৭১ এর বদলা নিয়েছে প্রতিবেশীরা ১৭১ নম্বরের বিমানটিতে সুইসাইড বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে। উড্ডয়নের ৩০ সেকেন্ড পর সেই বিকট শব্দই হয়তো পেয়েছেন বেঁচে ফেরা একমাত্র যাত্রীটি!

কেননা ভারতের পাইলটরা অনেক দক্ষ হয়। এটা স্বাভাবিক কোনো দুর্ঘটনা হওয়ার কথা না। আমার অভিজ্ঞতা এমনটাই বলে।

ভারতে একবারই বিমানে ওঠার সুযোগ হয়েছিলো আমাদের। চেন্নাই থেকে নয়াদিল্লী ট্রানজিট নিয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের সাথে দেখা করে সেখান থেকে কলকাতা এসেছিলাম ২০২২ সালে। বিমানটি ছিলো স্পাইসজেটের, পাইলটের দুজনই ছিলেন নারী। একটুও টার্বুলেন্স হয়নি।

আমার মা জীবনে সেই প্রথম বিমানে উঠেছিলো, একটুও ভয় পায়নি, বমিও করেনি। আমি রীতিমতো অবাক হয়েছিলাম নারী পাইলটদের দক্ষতা দেখে। ডমেস্টিক ফ্লাইটের পাইলটরাই যদি এতটা দক্ষ হয়, তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের পাইলটদের ভুলে টাটা গ্রুপের মতো বিশাল গ্রুপের বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে এটা আমি বিশ্বাস করি না।

এটা অবশ্যই অস্বাভাবিক কিছু। আশা করি ব্ল্যাকবক্স থেকেই প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে। বন্ধুদেশ দুটির নিহত নাগরিকদের আত্মার চিরশান্তি কামনা করছি।
দেব দুলাল গুহ -- দেবু ফরিদী

Pratik Joshi had been living in London for the past six years. A software professional, he had long dreamed of building a better future abroad for his wife and their three young children, who were staying back in India.

After years of planning, paperwork, and patience, that dream was finally coming true. Just two days ago, his wife, Dr. Komi Vyas, a medical professional, resigned from her job in India. The bags were packed, the goodbyes said, the future waiting.

This morning, all five of them, filled with hope, excitement, and plans, boarded Air India flight 171 to London. Clicked this selfie, sent it to relatives. A one-way journey to begin a new life.

But they never made it. The plane crashed. None of them survived.

In a matter of moments, a lifetime of dreams turned to ash.

brutal reminder, life is terrifyingly fragile. Everything you build, everything you hope for, everything you love, it all hangs by a thread. So while you can, live, love, and don’t wait for happiness to start tomorrow.
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:১৫
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইউনূস সরকার- অন্তবর্তীকালীন, আপদকালীন না কি গণশত্রু রাষ্ট্রযন্ত্র?

লিখেছেন রাবব১৯৭১, ১৯ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ৮:৫০

ইউনূস সরকার –অন্তবর্তীকালীন, আপদকালীন না কি গণশত্রু রাষ্ট্রযন্ত্র?
আজকের বাংলাদেশ এক অস্থির, আতঙ্কিত ও শোষণমুখর সময় পার করছে। রাজনৈতিকভাবে যে সরকার বর্তমানে রাষ্ট্রক্ষমতায়, তারা নিজেদের পরিচয় দিচ্ছে ‘অন্তবর্তীকালীন’ সরকার হিসেবে। আবার... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রিয় কন্যা আমার- ৮০

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৯ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:২৬



প্রিয় কন্যা আমার-
সেদিন খুব সাহসের একটা কাজ করে ফেলেছি। আমি এবং তোমার মা সাতার জানি না। তুমিও সাতার জানো না। বিকেলে আমরা তূরাগ নদীর পাশ দিয়ে হাঁটছিলাম। তোমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ১৬ বছরে রাজনৈতিক স্পেস না পাওয়া জামায়াতের এমন সমাবেশ ‘অবিশ্বাস্য’:

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৯





বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আজকের জাতীয় সমাবেশকে ‘অবিশ্বাস্য’ আখ্যায়িত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ। তিনি মনে করেন, এ সমাবেশ বাংলাদেশের... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিয়মিত জোয়ার ভাটার ঢেউ আর সুনামির ঢেউ আলাদা

লিখেছেন অপলক , ১৯ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৩১



সব কিছু একটা রিদমে চলে। সেই রিদম ভেঙ্গে গেলে ধ্বংস বা পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। তখন শুধু সময়ের অপেক্ষা করতে হয়। নিয়মিত জোয়ার ভাটার ঢেউয়ে পরিবেশ-প্রতিবেশ এবং জীব বৈচিত্র একটা সমন্বয়ের... ...বাকিটুকু পড়ুন

“নুহাশ পল্লীর যাদুকর“

লিখেছেন আহেমদ ইউসুফ, ১৯ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

এইখানে শুয়ে আছে স্বপ্নের কারিগর
আবেগের ফেরি করে, হৃদয়ে ঝড় তুলে
থেমে গেছে এক যাদুকর।
নুহাশ পল্লীতে মিশে আছে একাকার।

হিমুর চোখে জল, মিসিরের শোকানল
শুভ্রর শুদ্ধতা, রুপার কোমল মন,
আজও ঠিক অম্লান।

হাজারো ভক্তের মনে
মিশে আছ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×