মূলকথা হচ্ছে,
"কোন দেশে উন্নয়ন কমবেশী সে দেশে যদি কুকুর বিড়াল সরকার ক্ষমতায় থাকে সেই পশু সরকারও করবে।কিন্তু জনগনের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ জনগনের ব্যাক্তিগত ব্যাবহার বা বাক স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে জনগণের গনতন্ত্র লঙ্ঘন করে উন্নয়নের গীত গাওয়া মূল্যহীন,মনে রাখতে হবে উন্নয়ন এবং গণতন্ত্র দুটোই একসাথে চলতে হবে।"
যাইহোক,বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্রমেই কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠেছে। প্রায়ই ‘মিথ্যা’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে সংসদের বাইরের বিরোধী দলের নেতাদের। এমনকি দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে গুম, খুন, নির্যাতনসহ গুরুতর অভিযোগ থাকলেও তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে না।হাসিনা সরকার সম্পর্কে এই মুল্যায়ন করে আজ নিউইয়র্ক ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইট ওয়াচ "বিশ্ব প্রতিবেদন ২০১৬ " নামে একটি প্রতিবেদন তাঁদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে ।
বিশ্ব প্রতিবেদন ২০১৬ প্রতিবেদনে বিশ্বের ৯০ টির বেশি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে এক পর্যালোচনার ভিত্তিতে সংস্থাটি ৬৫৯ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর গত বছর (২০১৫ সালে) প্রচণ্ড আঘাত হানা হয়েছে। একই বছর উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর হামলার শিকার হয়েছে ধর্মনিরপেক্ষ ব্লগার ও বিদেশি ত্রাণকর্মীরা। সরকার আদালত অবমাননার মামলা কিংবা অস্পষ্ট আইনে বিচারের মাধ্যমে গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে।সমালোচনা ছাড়াও বাংলাদেশের কিছু ইতিবাচক অগ্রগতির কথাও তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। বলা হয়েছে, দেশের পোশাকশিল্পের কর্মীদের অধিকারের প্রতি সমর্থন জোরদার করার প্রচেষ্টা দৃশ্যত বাস্তবে রূপ পাচ্ছে। নিবন্ধিত শ্রমিক ইউনিয়নের সংখ্যাও বেড়েছে। যদিও স্বাধীনভাবে এ রকম ইউনিয়ন গঠন এবং তাতে অংশগ্রহণ প্রশ্নে কর্মীদের সক্ষমতার বিষয়ে উদ্বেগ রয়েই গেছে। ২০১৫ সালে উগ্রপন্থীদের হাতে পাঁচ ব্লগার খুন হন। এ ছাড়া উগ্রপন্থীরা হামলার লক্ষ্য হিসেবে অন্যান্য ব্লগার, লেখক ও প্রকাশকদের তালিকা করায় তাঁরা আত্মগোপন করেছেন। উদ্বেগের বিষয় হলো, সরকার হয় তাঁদের সুরক্ষায় ব্যবস্থা নেয়নি, না-হয় যা নিয়েছে তা ছিল অপর্যাপ্ত। শিয়া সম্প্রদায়ের মিছিল এবং মন্দিরে হামলার ঘটনাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
প্রতিবেদনে দাবি নকরা হয়েছে, নির্বিচারে গ্রেপ্তার বা ‘বিচারবহির্ভূত হত্যার’ শিকার হওয়ার আতঙ্কে আছেন বলে বিএনপি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতারা জানিয়েছেন। এইচআরডব্লিউ বলেছে, নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যম এখন রূঢ় পরিস্থিতির শিকার। যুদ্ধাপরাধের বিচারকাজ নিয়ে একজন সাংবাদিকের সুষ্ঠু সমালোচনা প্রকাশের অধিকারের প্রতি সমর্থন দেওয়ায় ৪৯ জনকে বিচারের সম্মুখীন করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারের সমালোচনাকারী গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। গ্রেপ্তার এবং অভিযোগের সম্মুখীন করা হচ্ছে সম্পাদক ও সাংবাদিকদের। সরকারের সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে লেখায় বিচার করা হয়েছে দুজনের। যুদ্ধাপরাধের দায়ে দুজনের ফাঁসি কার্যকরের সাম্প্রতিকতম ঘটনার পর সরকার ফেসবুকসহ আরও কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেয়। ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, ‘যেসব সমস্যা আমরা গত বছর দেখেছি, সেগুলোর অনেকগুলো এ বছরও রয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে তা আরও খারাপ হয়েছে।’
বিঃদ্রঃ দেশে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলেও কোন সমস্যার সুরাহা হবে না বরং বর্তমান সরকার যা যা শিখিয়ে যাচ্ছে তাঁর পুনরাবৃত্তি আরও ভয়ঙ্কর ভাবে প্রতিফলন হবে।আমরা জনগন শুধু তাঁদের করা কুফল ভোগ করব,তাই বিএনপি আওয়ামীলীগ এই দুই দলের বাইরে তৃতীয় কোন ধর্মনিরপেক্ষ যোগ্য দল হলে হয়ত এই দেশের জনগন ভালো ফল ভোগ করলেও করতে পারে।
তথ্যসুত্রঃ প্রথম আলো।
লেখাটির ফেবু লিংকঃ ক্লিক হিয়ার।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৪