বিয়ের আগে শীলা রেপড হয়। সেই ধর্ষনের শিকার হওয়ার পর থেকেই শীলা বিকার গ্রস্থ । শীলার বাবা ধর্ষনের বিচারের চেষ্টাই করেননি। ধর্ষক সবার চেনা, পারিবারিক আত্মীয় । টাকা পয়সা, ব্যবসা , আত্মীয়তা -সব দিক থেকে ধর্ষকের সাথে তারা যুক্ত । শীলার মা নিরব দর্শক। সাত তাড়াতাড়ি তারা শীলাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেন, "নতুন করে জীবনকে গড়ে নাও। যা হয়েছে সব ভুলে যাও।"
সব বেশ সুন্দর গোপন ছিলো । জগতে কিছু সহানুভূতিশীল , নরম মনের পুরুষ থাকে , যারা চিরকালই শীলার বাবা জাতীয় পুরুষদের দুরভিসন্ধির শিকার হয়। কামাল কিচ্ছু না জেনেই বিয়ে করে শীলাকে। তার ভয়াবহ অপমান ,অত্যাচারের কথা জানার পর মমতা দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে চেষ্টা করে শীলাকে স্বাভাবিক করতে । হয় না।
শীলা প্রতিদিন বোতল বোতল এ্যান্টি ডিপ্রেসেন্ট খায়। যৌন মিলনে তার কোন আগ্রহ নেই, আছে আতঙ্ক । স্পর্শে যৌনতার লেশ মাত্র টের পেলে শীলা চিৎকার , গালাগালি , জিনিস পত্র ভাংচুর শুরু করে । ওকে দোষ দিতে পারে না কামাল। মেনে নেয়। কিন্তু যখন দেখে , শীলা প্রতিনিয়ত তাকে সন্দেহ করছে , কাল্পনিক মেয়ে বান্ধবীদের খোঁজ নিতে ভাড়া করছে গোয়েন্দা , তারও ধৈর্য হারায়। আর কত? শীলার দরকার মানসিক হাস্পাতালে থেকে নিয়মিত চিকিৎসার ।
"দা জেনারেল'স ডটার" ছবিটা দেখতে দেখতে কামাল দীর্ঘশ্বাস ফেলে । ছবির মেয়েটাও শীলার মতই বাবার নাম , পসার , প্রোমোশনের লোভের কাছে হেরে গিয়ে মরেই গেলো।
কামাল ডিভোর্সড । ফিরে এসেছে দেশে ।শীলার বাবা ওকে ভাড়াটে খুনী দিয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছেন। বেকার , তছনছ জীবনের দিকে তাকিয়ে ওর কানে ভাসতে থাকে ছবির ৩টা লাইন ,
: What happened to her is worse than rape .
: What is worse than rape!!!!!
: Betrayal.
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




