চন্দ্রাহত বেলাভূমিতে লোনা স্বপ্নদের পিছনে ফেলে ঢেউ ছুঁয়ে আসি। ঠোঁটের কোনে লেগে থাকে মৃদু বালি , চোখের কোনে হাসি। এক একটা জীবন , এক একটা পদচিহ্ন দুর্বৃত্তের! মুছে যাবে জেনেও , কি হাস্যকর চেষ্টা অমরত্বের ! পরিপূর্ণ শূন্যতায় পৌঁছবো বলে হেটে যাই শব্দের হাত ধরে।নৈঃশব্দকেই খুঁজে ফিরি , দিশেহারা ঘুরোঘুরি , নিজেকে শূন্য করে।
শূন্যতাকে খুঁজে খুঁজে নিজেকেই ভাঙতে থাকি, দেহ মানে সীমাবদ্ধতা। একে একে খসে পড়ে শাড়ি, ভাঙা চুড়ি, কন্ঠীহার- ছিন্নভিন্ন করে দেয় জৈবিক ক্রুদ্ধতা। সম্পূর্ণ নগ্নিকা হেঁটে যাই কাদাটে ঘোলা জলে । অনেক দূর পরে ছেড়াদ্বীপে শুদ্ধতা পাব বলে।
সূর্যের আলো পাইনি, পেয়েছি তাকে দহনে , অঙ্গারী আগ্রাসনে। চাঁদ ও পুড়িয়ে দিলো , বুঝিয়ে দিলো আগুন জোছনা মন্থনে। পুড়ে যায় চুল , ভুল সময়ের ভ্রু , কপোল, উরুসন্ধি । একে একে খসে, গলে , ধুলো ধুলো হয়ে যায় ঐশ্বরিক তিলোত্তমা নাকাবন্দী।
চারিদিকে নৈঃশব্দ , আঁধার , কথা নেই, নেই চিন্তা বাধার। উল্লাসে কাঁপে বিভৎসতা যত। সব হারিয়েও পূর্ণ থাকে ক্ষত!
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




