তারিখ: ০৩।০৬।২০১৪
সময়: রাত ০৩.৪৪ মিনিট
নিজেকে নিয়ে খুব একটা লেখি না আমি। বিষয়টা এমন নয় যে চেষ্টা করি না। অনেকবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ব্যর্থ হতে বারবার কার ভালো লাগে বলুন? থাক সে কথা। আজ আরেকবার চেষ্টা করে দেখি। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে থামে এই লেখা।
আমি যে কি করতে ভালোবাসি তা আমার নিজের কাছেও এক রহস্য মনে হয়। তবে আমার ঘরের ছোট্ট বারান্দাটায় বসে, কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে নির্ঘুম রাত্রিযাপন করতে ভালো লাগে। এই ভালোলাগাটা অন্য রকমের। ভালোলাগে খুব সুন্দর কিছু শব্দ দিয়ে খুব সুন্দর কিছু বাক্য লিখতে। ভালোলাগে সেই বাক্যের মাধ্যমে মানুষকে অন্য জগতে ভ্রমণ করাতে।
আমি খুব একটা মিশুক ধরনের না। তবে একবার কারো সাথে মিশতে শুরু করলে তার মাঝে মিশে যেতেই আমি বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তবে সমস্যা হলো, কারো সাথে সাধারণত খুব একটা মিশি না (একেবারেই দরকার ছাড়া)। আর সেই জন্যেই হয়তো "না বলা কিছু কথা" বলার মত মানুষ আমার চেনা জানায় নেই বললেই চলে। যারাও আছে তাদের সাথে খুব একটা কথা হয়না। মাঝে মাঝেই এর জন্য অভিমান হয়। কিন্তু "কার ওপর এই অভিমান" তা বুঝার ক্ষমতা আমার নেই, কখনো ছিলোও না।
আমার নিজের একটা ঘর আছে। যেটা আমার সাথে প্রতি নিয়ত কথা বলে। ঘরটাকেই তাই বেশি আপন মনে হয়। আর আপন জিনিস ছেড়ে যেতে কার ভালোলাগে আপনি-ই বলুন? তাই আজ আমার রাজ্য হলো আমার এই "ঘর"। আমি এর একনিষ্ঠ রাজা।
এসব পড়ে অনেকেই ভাবছেন হয়তো, আমি হলাম প্রেমে ব্যর্থ কোনো মহাপুরুষ যার লেখালেখি করার বা কবিতার মত বিরক্তিকর জিনিস তৈরি করার বিশেষ গুণ রয়েছে। তাদের জন্য এই কথাগুলো-
প্রেমে ব্যর্থ হলেই যে মানুষ হতাশাগ্রস্থ হবে এমন কোনো নিয়ম কোথাও লেখা আছে কি? আবেগময় কিছু ঘটলেই মানুষ সেই ঘটনা আরেকজনকে জানানোর জন্য উদ্ধত হয়। আবেগটা সুখেরও হতে পারে, কষ্টেরও হতে পারে, হতে পারে উত্তেজনার। এই বৈশিষ্ট্য সকল মানুষের নিউরনে ও DNA তে খুব সূক্ষ্ম এবং জটিল ভাবে সাজানো। আর এই বৈশিষ্ট্য মেয়েরা বেশি প্রদর্শিত করে বলেই তারা সচরাচর কোনো কথা গোপন রাখতে পারে না। আরেকজনকে বলে দেয়। অনেক সময় নিজের অনিচ্ছায় এবং অজানতে। আর যখন মানুষ এই আবেগময় ঘটনা গুলো কাউকে বলতে পারে না তখন সৃষ্টি হয় হতাশার। এই হতাশা চরম আকার ধারণ করে যখন বলার মত ঘটনা জমতে জমতে অনেকগুলো হয়ে যায়। ধিরে ধিরে মানুষ নিজেকে একা মনে করে। নিজের ভিতর একাকীত্ব থেকে নিজের জন্য তৈরি করে আলাদা রাজ্য। শেষমেশ নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নেয় স্বভাবিক এবং স্বার্থপর পৃথিবী থেকে।
আমি এখনো সেই পর্যায়ে যাইনি। তবে বুঝতে পারছি, সেই পর্যায় খুব একটা দূরে নয়। আমি পাগল হয়ে গেছি। এখন আমার মাঝে আমার কোনো অস্তিত্ব নেই।
তবে যাই হোক না কেনো, শেষ করবো কাব্যিক ভাবে!
"আজ আমার অস্তিত্ব নেই আমার মাঝে,
হয়তো চলে যাবো একদিন বিচ্ছিন্ন কোনো জগতে!
আমি জানি কষ্ট তোমাদের হবে,
কিন্তু কি করা?
যেতে তো হবে!
তবে আমি এও জানি তোমরা সইতে পারবে।"
কেনো জানি আজ কবিতাও আমার সঙ্গ দিতে চাইছে না।
ভালো থাকবেন। নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নেয়া বোকামি ছাড়া কিছুই না। এমন বোকামির কোনো মানে হয় না।
.......................
.......................
.......................
(অসমাপ্ত)
উৎসর্গ: অনেক মনে পরে, বন্ধু তোকে। জানি সম্ভব না, তবুও বলি "ফিরে আয়"! আর তোকে একা থাকতে দিবো না।
পুনশ্চ: উল্টা-পাল্টা ভাববেন না কেউ। কথা গুলো আমার নয়। এক বন্ধুর। হয়তো এক সময় এই কথা গুলোই ভাবতো সে মনে মনে। শেষ পরিনতি কি ছিলো ইচ্ছা করেই লিখলাম না। ভালোলাগে না মনে করতে।নিজরাজ্য