“ইলোরা আমার নাম।”
“ও আচ্ছা তুমি সেই- আমি দু:খিত, তোমাকে অনেক দূ:খ দিয়েছি। তবে ইচ্ছে করে দেইনি। তখন আমরা এত কিছু বুঝতাম না। আসলে সেটা বয়সের দোষ ছিল। তুমি ক্যাট্সআই এর কথা বল্লে কেন, এর পরেও তো এক রেস্টরায় এ তোমার সাথে দেখা হয়।” -অভ্র বলে।
“তাহলে তুমি আমাকে চিনলে।”
“কতদিন পর দেখা হল, পৃথিবী কত ছোট। এভাবে আমাদের অাবার ভিন দেশে দেখা হবে ভাবতেই পারিনি....।”
আবল তাবল কি বলছে। আমার মাথায় কিছুই ঢুকছে না আমার মাথায় এখন একটাই প্রশ্ন ও আমার সাথে এমন করল কেন। একবার মনে হচ্ছে জিজ্ঞেস করি একবার মনে হচ্ছে না করি। আমি বলি,
“বত্রিশ বছর পর দেখা হল।”
এরপরের প্রশ্নটা স্পষ্ট শুনলাম। প্রশ্নটা শুনে মনে মনে হাসছি, আমার ছেলেমেয়ে কয়েটা আমার বর কই...
“তোমাকে নিয়ে লেখা সব গান, কবিতা আমি এখনো গুছিয়ে রেখেছি। তোমার প্রতিটি কথা আমার মনে আছে।”-অামি বলি।
“কি পাগলামিটা তখন করেছি। এখন তুমি একজনের ঘরের বউ, আমার এক ছেলে এক মেয়ে।”
“এটাকে যদি তুমি পাগলামি বল তাহলে আমি পাগলামি করেছি। কারণ আমি এখনো বিয়ে করিনি।”
অভ্র বিশ্রি ভাবে হাসছে। শুনতে ভাল লাগছেনা। কিছুই করতে পারছিনা কারণ ওর উপর আমার কোন অধিকার নেই। অভ্র হাসতে হাসতে বলে ওর সাথে শেষ দেখাতে নাকি বলেছিলাম- আমি বিবাহিত।
আমি বলি,
“মিথ্যে বলেছিলাম, জানাতে চাচ্ছিলাম- ভালো আছি তোমাকে ছাড়া। একটু কষ্ট দিতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু তুমি কষ্ট পেলেনা।”
হাসিটা থামিয়ে অভ্র বলে- “কারণ তখন আমার পাশে অন্য কেও ছিল। তাই তোমাকে ভুলতে বাধ্য হয়েছিলাম।”
আমি অনেক কষ্ট পেলাম ওর এই কথা শুনে। প্রকাশ করতে পারছিনা। এই সব কথা শুনার আগে আমি মরে গেলাম না কেন? হোক না আমি পাগল, হোক না এটা একতরফা ভালোবাসা তাও আমি অভ্রকে ভালোবাসি। সামনে বসা এই লোকটি অভ্র না তারপরও তার কাছে বারে বারে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে হচ্ছে, কেন সে আমার সাথে এমন করল। আমি বলি,
“কি সুন্দর করে তুমি এই কথাগুলো বলছ। ইচ্ছা ছিল যাকে ভালোবেসেছি তাকেই বিয়ে করব। কারণ সে আমাকে বলেছিল সে আমাকে ছাড়া আর কেওকে বিয়ে করবেনা। আমি ভেবেছিলাম সে সত্যি বলেছিলো। আমি তাকে অনেক ভালোবাসতাম, এখনও বাসি।”
শেষ বেদনা১
শেষ বেদনা৩
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




