অপারেশনের পর টানা ১৪ দিন পর গতকাল (২৮ জুন)জ্ঞান ফিরেছে কবি সগুদ্র গুপ্তর। প্রাথমিক খরচ বাদে ব্যাঙ্গালোরে নারায়ওনা রুদালয় ইন্সিটিটিউট সাইন্সেস-এ চিকিৎসা বাবদ তার বিল এসেছে ৭ লাখ রুপি।পরিবারের সদস্যরা ২ লাখ রুপি পরিশোধ করে বাকিটা জোগার করতে পারছেন না।টাকা জোগার করে পাঠানোর জন্য দেশে খবর পাঠিয়েছেন। এই অংকটা দেশে অবস্থানকারী পরিবারের অন্য সদস্যদের জন্য সাধ্যের বাইরে!
এদিকে কবির অবস্থা শংকা মুক্ত নয় বলে চিকিৎসা জানিয়েছেন ।
আগের কথা:
মূলত জন্ডিস নিয়েই ভর্তি হয়েছিলেন বারডেম হাসপাতালে। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর চিকিৎসকরা তার লিভার, যকৃত এবং অগ্ন্যাশয়ের তিনটি নালীকে ঘিরে একটি টিউমারের আশংকা করেন। সেখানকার চিকিৎসকরা জটিল স্থানে টিউমার হওয়ায় কেটে ফেলতে ভয় পান। তারা একটি কৃত্রিম নল দিয়ে লিভারের সঙ্গে সংযুক্ত করতে চাইলে রোগীর অবস্থা ক্রমেই অবনতির দিকে যেতে থাকে।সেখানকার চিকিৎসকরা তিনবার সেই নল ঢুকানোর বৃথা চেষ্টা করলে তাকে সিসিইউতে নিতে হয়। পরে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে সেখানকার চিকিৎসকরা নল ঢুকাতে সক্ষম হন ঠিকই কিন্তু তার অবস্থা ক্রমেই অবনতি ঘটতে থাকে। বিলুরুবিন আরো বাড়তে থাকে। কয়েকদিন পর বিলুরুবিন কমার পর তাকে নিয়ে ...
উন্নত চিকিৎসা নিতে ২ জুন ভারত নেয়া হয় কবি সমুদ্র গুপ্তকে। তাকে ব্যাঙ্গালোরে নারায়ওনা রুদালয় ইন্সিটিটিউট সাইন্সেস-এ চিকিৎসা ভর্তি করা হয়। এর আগে ১৮ই মে তিনি স্কয়ার হসপিটালে ভর্তি হন। চিকিৎসকরা ধারণা করছেন, সমুদ্র গুপ্ত ক্যান্সারে আক্রান্ত।তার সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী সোহানা হ্যাপী এবং ভাই তরঙ্গ আনোয়ার। সোহানা হ্যাপী সবার কাছে তার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন।
ব্যাঙ্গালোরে নারায়ওনা রুদালয় ইন্সিটিটিউট সাইন্সেস-এ টিউমারটি অপারেশন কেটে ফেলা হয়। দুই তিন দিন পরে আবার ব্লেডিং শুরু হলে আবার তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়।এখনও তিনি হাসপাতালের সিসিইউতে আছেন। অপারেশনের ৮ দিন পর তার জ্ঞান ফিরতে শুরু করলেও আবার জ্ঞান হারন তিনি।কবি সজ্ঞা পুরোপুরি ফিরে পান গতকাল টানা ১৪ দিনে মাথায়। তিনি এখনো সিসিইউতে রয়েছেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




