১।
ঝুলবারান্দায় ঝুলে আছে রাত
একটা ক্ষয়িষ্ণু চাঁদ অবসন্ন জ্যোৎস্নায়,
অভিশপ্ত মৃত নষ্ট নগরে
আত্মকথনে মেতেছে সময়।
২।
পতনের ভেতর থেকে পড়ে গেছি আর এক পতনে।
এবং তার ভেতর থেকে আরো একটা.. এভাবে কয়েক সহস্র..!
চোখ বন্ধ করো -
হাতের তালু বন্দি মিছে ভর শূন্যতার সুখ!
৩।
পুড়ে ছাই হয়ে গেছে স্বপ্নের দু'টি পাখা
যদিও টেবিলে কিছু অক্ষত পালক এখনো পড়ে আছে
জানালায় রোদ
পালক রা চিৎকার করছে গারদ, গারদ, গারদ মুক্ত করো..
আমার পিঠ বেয়ে দু হাতে নেমে আসছে রোদচকচকে পালকের ডানা!
৪।
আয়নায় যে প্রতিচ্ছবি সেটা যে আমার তার সত্যতা কি?
ভাবলে অবাক লাগে, যে আমি নিজেকে পর্যন্ত বিশ্বাস করি না
সে বিশ্বাস রেখেছে ভঙ্গুর কাঁচের আয়নায়!
৫।
এমন দুপুরে ছাদে চুল শুকাচ্ছে মেয়ে
আর তুমি তোমার অলস সাইকেলে,
যতীন সাহেবের রোডে এমন রঙিন দিন আর ফিরবে না,
ফেরাতে দ্বিতীয়বার জন্ম নেয়া লাগে!
৬।
সব সহজ মিথ্যা দিয়ে কঠিন সত্যের পথ রোধ করে দাঁড়াও
(কেউ) তুমি, যার পরিচয় শুধু তুমি,
অস্পষ্ট একটা প্রিয় অবয়ব।
৭।
আয়নার সামনে মোমবাতিটা কেঁদে উঠলো,
শেষটায় তবু দপ করে জ্বলে তুলে ধরলো শিখাটাকে,
তারপর সব অন্ধকার!
মানুষগুলোও তাই, শুধু আশা করে কিছু আলো পেছনে রেখে যাই!
৮।
পতনের ভিন্নতার ভেতর থেকে
অবিরাম অর্কেস্ট্রার সুরে ভেসে যাচ্ছে সময়,
আত্মবিনাশে মেতেছে মেঘেরা
বৃষ্টি আজ পতনন্মুখ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫৩