কোনো আক্ষেপ থেকে নয়,
সহজ একটা নিঃশ্বাস ফেলে কেবল বলেছি
তোমাকে ভয়ংকর শক্তিতে জাপ্টে ধরে ঝাড়া দুটো মিনিট
নীরবে দাঁড়িয়ে থাকতে চাই।
যে অক্সিজেনের অভাবে পৃথিবী আমার শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে-
তোমাকে আষ্টে পৃষ্ঠে সমস্ত শক্তি দিয়ে আকড়ে ধরে একটা গাছের মত অনড় হয়ে থাকতে চাই।
তুমি ছটফট করো, আমি তোমার সেই মৃদু স্পন্দনটুকু বুকের সঙ্গে লাগিয়ে
আমার পাঁজরের ভেতরেও টের পেতে চাই,
তোমার অস্পষ্ট "ছাড়ো......" পৃথিবীর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে দিক
উড়াল হাওয়ায়, যাতে এক সেকেণ্ডের জন্য পৃথিবীর সমস্ত প্রেমিক
অনুভব করে, তার কাউকে ভয়ংকর, পাগলের মত শক্ত করে জড়িয়ে ধরার প্রয়োজন।
বড্ড বেশি প্রয়োজন, বড় বেশি প্রয়োজন।
না হলে এক যুগের সেই হাহাকারে শরতের মেঘের পিঠে পানকৌড়ি উড়ে যেতে যেতে বলেই বসবে
"আঃ কি নচ্ছার বেহায়া ছেলেরে বাবা! এই ছেলেকে গৃহ বন্দী করে রাখো!
...... আর সাথে একঘরে মেয়েটাকেও!"
আমি তো কেবল বলেছিলাম, আমার শুধু একটাই অসুখ হয়েছে।
আমি তোমাকে বুকের মাঝে শক্ত করে চেপে ধরতে চাই,
পা বাড়িয়েও মাটি ধরতে পারবে না, আড়ষ্ট কণ্ঠে কেবল অবাধ্য নিঃশ্বাসে ভিজে বলবে,
"ছাড়ো! তুমি এতো পাগল কেন? আমাকে মেরে ফেলবে নাকি?"
আমার অট্টহাসির উত্তর তুমি সব জনমেও একই পাবে,
"আমার বুকে মরতে চাও না?"
মরিয়া হয়ে দুহাতের বাঁধন খুলতে গিয়েও ব্যর্থ হবে যখন।
ঘন নিঃশ্বাসে কি আর কিছু শব্দ অহেতুক
আমার কণ্ঠদেশের কাছটায় ঘেষে বলবে না?
"তুমি এতো পাগল কেন? এতো পাগল কেন?" নিস্তেজ হয়ে আসবে না?
আমি তোমার হৃদপিণ্ডের প্রতিটা শব্দ অনুভব করতে চাই।
এতটা শক্ত করে জড়িয়ে ধরার সাধ জেগেছে। সাধ জেগেছে।
গলার কাছে জমাট কোনো কান্নার মত
অবাধ্য এক সাধ জেগেছে।
আসবে না?
"আমি তুমির সরল হিসেব
তোমায় আমায় ডাহুক পাখি
গান গেয়েছে বনে,
আমার ডাকে শুনলো বারি
মাটির ওপর আকাশ ছাড়ি
নীরব কবির কান্না নিথর
গুঞ্জিল নির্জনে......"