somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করা আরো ৫টি রহস্যময় ঘটনা

০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ১২:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Frederick Valentich’s Disappearance

১৯৭৮ সালের অক্টোবর মাসের ২১ তারিখের ঘটনা। ২০বছর বয়সী Frederick একটি হালকা Cessna 182L বিমান চালিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কিং আইল্যান্ডের উপর দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে সেই সময় কোন কথাবার্তা ছাড়াই বিমানসহ Frederick গায়েব হয়ে যায়! একেবারেই লাপাত্তা! কোন চিহ্নই নেই তার! গায়েব হবার আগে রেডিওতে সে জানিয়েছিল একটি অপরিচিত আকাশযান সে দেখেছে। সেটি তার বিমানের গতিতেই তার দিকে ধেয়ে আসছে। এই তার শেষ যোগাযোগ পৃথিবীর কারো সাথে। এরপর সে আকাশ থেকে বিমানসহ একেবারেই গায়েব! রেডিওতে তার শেষ কথা ছিলো "ওহ!! বস্তুটা আমার কাছেই চলে এসেছে!!! কিন্তু এটা তো কোন আকাশযান নয়....."। এখানেই শেষ পৃথিবীর সাথে তার যোগাযোগ। অনেক খুজেও তাকে এবং তার বিমানের কোন চিহ্নই আর পাওয়া যায়নি।

Shag Harbour Incident

জায়গাটি হলো কানাডার Shag Harbour, Nova Scotia। ১৯৬৭সালের অক্টোবর মাসের ঘটনা। হঠাৎ করেই সেদিন এই এলাকার মানুষ এক অদ্ভূত বস্তু আকাশ থেকে সেখানে পড়তে দেখে। বস্তুটি কি ছিলো সঠিক করে কেউ বলতে পারলো না। কানাডার সরকারী অনেক সংস্হা এই ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে এমনকি সরকারীভাবে পানির নীচে সেই বস্তুটির খোজে অভিযান চালানো হয়। এমনকি আমেরিকার বিখ্যাত U.S. Condon Committee UFO study এই আকাশযানটির রহস্য উদ্ধারের জন্য বিস্তারিত অভিযান চালায়। কিন্তু কোন ব্যাখ্যাই পাচ্ছিল না কেউ। অবশেষে কানাডিয়ান সরকার ঘোষণা দেয় অপরিচিত একটি আকাশযান এই ঘটনার সাথে জড়িত এবং এই আকাশযানটি পৃথিবীর কোন বস্তু নয়। কিন্তু তারপরওই শুরু হলো সত্য লুকোনোর চেষ্টা এবং একেক সময় একেক মনগড়া ব্যাখ্যা সরকারের তরফ থেকে।

Katz II

পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া থেকে তিনজন যাত্রী নিয়ে ২০০৭সালের ১৫ই এপ্রিল রবিবার Katz II নামের একটি ছোট ইয়র্ট সমুদ্রের উদ্দেশ্যো যাত্রা শুরু করে। ঠিক তিনদিন পর অর্থাৎ বুধবার এই ইয়র্টটিকে সমুদ্রের মাঝে সেই জায়গা থেকে বেশ দূরে Townsville নামক একটি জায়গার প্রায় ১৫০কি:মি: দূরে শেষ এর অস্ত্বিত্ত দেখা যায়। শুক্রবারে এটি বন্দরে এসে ভিড়ে। বিস্ময়ের পালা তখন মাত্র শুরু হলো। সেই ইয়র্টটিতে গিয়ে দেখা যায় ইন্জিন তখনো চলছে, একটি ল্যাপটপ তখনো অন হয়ে আছে , রেডিও ও জিপিএস ঠিক আছে এবং তিনজনের খাবার সাজানো টেবিলে। কিন্তু সেই যাত্রী তিনজনের কোন অস্ত্বিত্তই নেই আর। একেবারে যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে সবাই। এমনকি লাইফ জ্যাকেটসহ সব ইয়র্টেই আছে!! তদন্তকারীরা একটি ভিডিও ক্যামেরা আবিষ্কার করে যেখানে ইয়র্টটি আবিষ্কার হবার কিছুক্ষণ আগের একটি ভিডিও আছে। সেবি ভিডিও সেই যাত্রী তিনজন ছিলো। কিন্তু ভিডিওতে তাদের কারো মাঝে কোন প্রকার সমস্যা বা চিন্তা করার মতো কিছু দেখা যায়নি। সাধারণ মানুষের মতোই তাদের আচরণ। সেই যাত্রীদের খোজ আর পাওয়া যায়নি কখনো। যেন একেবারেই হাওয়ার সাথে মিলিয়ে গেছে তারা। অনেক তদন্ত ও সার্চ পাটি লাগানো হয়েছিলো। কিন্তু সেই তিনজন আজো গায়েব। কোন ব্যাখ্যা নেই।

Marfa lights

রহস্যময় এক আলোর খেলা। জায়গাটি হলো টেক্সাসের মারফা নামক একটি জায়গা। এক ব্যাখ্যাতীত ও রহস্যময় আলো(ভৌতিক আলো নামেও পরিচিত) এই জায়গাটিতে আকাশের উপর ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। সর্বপ্রথম ১৯৫৭সালে এই ব্যাপারটি সবার নজরে আসে। যদিও জনশ্রুতি অনুযায়ী আরো আগে থেকেই চলছে এই আলোর খেলা। কিন্তু ১৯৫৭সালের আগে তা সবার নজরে আসে নি। আলোগুলোর সাইজ প্রথমে একটি বাস্কেটবলের সমান থাকে। ৬টি রংয়ের আলোর দল এ পর্যন্ত দেখা গেছে সেখানে। সাদা, লাল, নীল, হলুদ, কমলা এবং সবুজ। একসাথে একেবারে বেশ কয়েকটি আলোর দল দেখা যায়। নির্দিষ্ট কোন কাজ নেই এই আলোর। বেশ অনেকক্ষণ ইতস্তত আকাশে এক জায়গায় ঘুরাঘুরি করতে থাকে। এগুলো কিসের আলো কোন ব্যাখ্যা নেই কারো কাছে। এই Marfa light এর ব্যাপারটি নিয়ে অনেক ভিডিও ফুটেজ এবং ছবি তোলা আছে। চাক্ষুস নিজের চোখে এই Marfa light দেখেছে এমন মানুষ প্রচুর। এখনো চলছে এই আলোর খেলা। বেশ কয়েকটি বিজ্ঞানীর দল এই আলোর পিছনে গবেষণা চালিয়েছে। ব্যাখ্যাও দিয়েছে। কিন্তু মানুষ এই ব্যাখ্যা বিশ্বাস করলো না। অনেক ফাক ছিলো সেই ব্যাখ্যায়।

Wow! Signal

সময়টা ১৯৭৭সালের আগষ্টের ১৫ তারিখ। Dr. Jerry R. Ehman নামক একজন বিজ্ঞানী the Big Ear radio telescope দিয়ে তার SETI নামক প্রজেক্ট নিয়ে গবেষণায় ব্যস্ত। হঠাৎ করে তিনি খুব রেডিও সিগন্যাল পেতে শুরু করেন। সাথে কম্পিউটারেও সেটি প্রিন্ট আউট হতে থাকে। কিছু বুঝে উঠার আগেই ৭২সেকেন্ড স্হায়ী এই সিগন্যাল বন্ধ হয়ে যায়। এই শেষ। তারপরে আর অনেক চেষ্টা করে সিগন্যালটি আর পাওয়া যায়নি। প্রিন্ট আউট কাগজটি হাতে নিয়ে বিস্ময়ে হতবাক বিজ্ঞানী কাগজটির পাশে ‘Wow!’ লিখে রাখেন। তখন থেকেই এটি এই নামে পরিচিত। মহাকাশ নিয়ে সেই সময় গবেষণায় ব্যস্ত ছিলেন এই বিজ্ঞানী। সিগন্যালটি অবশ্যই সেখান থেকেই এসেছে। সেভাবেই সব সেট করা ছিলো যাতে এর বাইরের সিগন্যাল আসতে না পারে। অনেক চেষ্টা করা হয়েছিলো এই সিগন্যালটি ঠিক কোথা থেকে বের করার জন্য। কিন্তু ১০০% নিশ্চিত করে এখনো সম্ভব হয়নি। তাহলে কি পৃথিবীর বাইরে থেকে কোন UFO থেকে এই সিগন্যালটি হঠাৎ করে চলে এসেছিলো ?? হয়তো হঠাৎ করে নয়, হয়তো পৃথিবীর বাইরে থেকে কেউ যোগাযোগ করতে চেয়েছিলো!!! কোনটি ঠিক সঠিক কোন ব্যাখ্যা নেই। মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার পেয়েছিলো এই ঘটনা।


আবারো ফালতু পোষ্ট। কিন্তু কিছু করার নাই। এসব পড়ে আমি ব্যাপক মজা পাই। তাই ইন্টারেস্টিং কিছু পেলে শেয়ার করি।
জাস্ট গল্পের মতো পড়ে যান। আমার সাথে অবিশ্বাস নিয়ে তর্ক করে লাভ নাই। কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য সবাই জানেন। ব্যাখ্যা খুজলেই পেয়ে যাবেন। কিন্তু এগুলো নিয়ে এখনো তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে বলেই শেয়ার করা। আশা রাখি এই কথাগুলো বুঝার ক্ষমতা আপনাদের আছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:২৩
৮৫টি মন্তব্য ৮৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×