ফেসবুক-ব্লগে ধর্ম ও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তৈরি হওয়া সাম্প্রতিক ‘উন্মাদনা’ বিদ্যমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের আওতায় বন্ধ করা যায় কি না তা মন্ত্রণালয়কে খতিয়ে দেখতে বলেছে সংসদীয় কমিটি। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের আইসিটি আইনের সঙ্গে বাংলাদেশের আইনের এ সংক্রান্ত একটি তুলনামুলক বিবরণী প্রস্তুত করতে মন্ত্রণালয়কে একটি কমিটি গঠনেরও সুপারিশ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সপ্তম বৈঠকে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ ও বিরোধী দলীয় সদস্য আশিফা আশরাফী পাপিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৈঠকে সাইবার ফরেনসিক ল্যাব স্থাপন ও বিদ্যমান আইসিটি আইনের সঙ্গে আরো নতুন কোন বিষয় সংযোজন করতে কমিটির আগামী বৈঠকের একটি প্রতিবেদন বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
বিএনপির সংসদ সদস্য সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে ব্লগে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করা হচ্ছে। ওই সব লেখায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়াসহ রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে অশোভন মন্তব্য করা হয়। এগুলো বন্ধ করা প্রয়োজন।”“গত বছর কক্সবাজারের রামুতে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিষয়টিও ফেসবুক থেকে ছড়িয়েছে” যোগ করেন তিনি। পাপিয়া জানান, ২০১২ সালে এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে একটি রিট দায়ের করা হয়। তিনি অভিযোগ করেন, “আদালত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আদেশ দিলেও সরকার এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।”এদিকে কমিটির সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, “ফেসবুক ও ব্লগে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে উন্মাদনা তৈরী হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোকে অপব্যবহার করা হচ্ছে। বিদ্যামান আইনে এগুলো বন্ধ করা যায় কিনা তা কমিটিকে জানানোর জন্য বলা হয়েছে।”
কমিটির বৈঠকে বিএনপির সংসদ সদস্য সৈয়দা আশিফা আশরাফী পাপিয়া বিষয়টি উপস্থাপন করেন বলেও জানান তিনি। আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, “তার প্রস্তাব কমিটির সব সদস্য সমর্থন করেন।”
তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব নজরুল ইসলাম খানের বরাত দিয়ে তিনি জানান, সাইবার ফরেনসিক ল্যাব স্থাপনে মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা রয়েছে।
এদিকে বৈঠকে দেশের ৭টি বিভাগে আইটি ভিলেজ স্থাপন সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়। কমিটি যশোর ও রাজশাহীসহ অন্য ৫টি বিভাগে আইটি ভিলেজ স্থাপনের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে।