somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বেলজিক গল্প ২২৩৭ (পালাবার পথ নেই )

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



উপক্রমনিকা
মিশর এবং সুদানের বর্ডারের মাঝামাঝি যায়গা বীর তায়েল। এখন পর্যন্ত কোন দেশই এই জায়গার মালিকানা দাবী করেনাই। পৃথিবীর একমাত্র যায়গা যার কোন মালিক নেই।



তরূন আর্কিওলজিস্ট শাহেদ জামান একমনে হাভানা চূরূট টেনে যাচ্ছিল। আসল হাভানা চূরুট তৈরী হয় পানামায়। কিন্তু এইটা দুইনাম্বার, মিশরের বাজার থেকে কেনা। তামাকের বদলে কাঠাল পাতা ভরে দেয়া। দেশলাই টা সুদানের ছিল। আমি গিফট করেছি শাহেদ কে।
-শুভ এই চূরুট এমন ঘাসের মত লাগছে কেন????
-- জীবনে হাভানা চুরুট খেয়েছিস???
- না।
- ( বাঁচা গেল।) এইটাই তো হাভানা চুরুটের মাহাত্ব রে। আর এই মরূভুমির তিক্ত গরমে চুরুট কি আর শ্যাম্পেনএর মত লাগবে???? খা।
বলতে ভুলে গেছি অনিক ভাই পুরাতন প্যাপিরাস ঘেটে একটা পিরামিড খুজে পেয়েছে।তার ভাষ্যমতে এটা গিজার পিরামিডের চেয়েও হাজার বছরের পুরানো। তার পরথেকেই সে আর নাই। নাই মানে হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে লোক টা । বায়ুচড়া রোগ আছে ভাইয়ের। তাই তার এই হারিয়ে যাওয়া খুব একটা পাত্তা না দিলেও চলে



রাত যত গভীর হয় প্রভাত তত নিকটে আসে। আর ২ দিন খোদাই করলেই আমরা মূল শবাধার কক্ষে পৌছে যাব এই আনন্দে খানিকটা বেসামাল হয়ে পরেছিলাম। আমি মনে মনে হিসাব করছিলাম কি কি পাওয়া যাবে, কোনটা কত টাকায় বেচবো। আফটার অল অনেক টাকা খরচ করে ফেলেছি। কিন্তু কেচো খুড়তে গিয়ে সাপ বের হয়ে আসে তা সবাই জানে কিন্তু সাপ যে আর বের হতেই পারবে না তা কে জানত............।



ভয়াবহ মরূঝর খামসিন এর কারনে আমাদের খনন কাজ বন্ধছিল ৫ দিন । অনিক ভাই এর খোজ আমরা পাই নাই। হাতে সময় খুব বেশী নাই , ক্ষুধা, ঝড়, রোদ আর গরমে সবাই খুবই ক্লান্ত। আর তার মধ্যে এই অদ্ভুত কালো পাথরটা দেখার পরে সব খোদাইকারী পালিয়ে গেছে ।
পাথর টায় লিখা ছিলো "মুক্তি নেই ,পালাবার পথও নেই"
আমি আর শাহেদ। দুইজনে মিলেই খুড়ে যাচ্ছি এখন।



অবশেষে শবাধার কক্ষে আমরা। আমাদের পরিশ্রম সফল। চারপাশে ছড়িয়ে আছে রাশি রাশি স্বর্নের তৈজসপত্র। আমরা অনেক খুশী। এইবার এই কফিন খুলতে হবে। এত পরিশ্রম কস্ট কোন কিছুই গায়ে লাগলো না, অসুরের শক্তি ভর করেছে গায়ে। শাবল আর গাইতির আক্রমনে খুলে ফেললাম আমরা শবাধার।
ওরে বাবারে শাহেদ, মমি দেখি লাড়ে চারে।
হ তরে কইসে, মমি লরে। ক্ষুধায় চোখের মাথা খাইসস। holly shit, mother fucker, এইটা নড়তেসে আসলেই।
প্রবল ভয়ে আর আতংকে দৌড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল শাহেদ।
মৃত মমির চেয়ে জ্যান্ত মমির দাম বেশী, কিন্তু সেইটা নিজের জীবন থাকলে সুতরাং শাহেদ কে পেছনে ফেলে আমি দৌড় দিলাম। ধরলে পেছনের মানুষ কে আগে ধরবে।
-খাওন দে শাহেদ শুভ আমি ক্ষুধার্ত।
--শাহেদরে খা মমি, আমার শরীর নাপাক
---শুভ রে খান মমিভাই আমি ৫ দিন গোসল করি নাই।
- আমি তদের অনিক ভাই
-- হ মমি অনিকের রুপ ধইরা খাইতে আসছে মা গো বাচাও। দৌড়ের গতি বাড়াই দিলাম।
- ভুলুর কসম
সত্যিই আপনে????
হ্যা সত্যি
সত্যি সত্যিই অনিক ভাই, কারন ভুলুর নাম মমির জানার কথা না।ভাই, আপনে এই কফিনের ভেতরে কি করেন।।।।।।।।।



পিরামিডের সন্ধান পাবার পরে আর তর সয় নাই। তাই তোদের কে রেখে আমি একাই এসেছিলাম। গোপন সুরংগ পথ আছে। ভেতরে ঢুকার পরেই শবাধার দেখতে পাই। আর শবাধার খুলার পরেই,,,,,,,,,,,
পরেই কি???
দেখি মমি নাই। মমি ছিল আমার পেছনে অন্ধকারে লুকানো। আমার মাথায় এই সোনার বদনা দিয়ে বাড়ি মেরে আমাকে অজ্ঞান করে আমাকে এই শবাধারের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয় মমি বানিয়ে।
পেছনে কিছু একটার আওয়াজ
ধাম! ধাম! ধাম!
মাথার পেছনে প্রচন্ড আঘাতে চেতনা হারিয়ে ফেললাম।
এখন সেই শবাধার কক্ষে তিনটা কফিন শোভা পাচ্ছে।
মুক্তি নেই ,পালাবার পথও নেই।।।।।।।।।।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×