২৯ ডিসেম্বর ২০১১
আজ রাত ৯ টায় আমার ফ্লাইট. জীবনে প্রথম বারের মত বিমান ভ্রমন ... খুশি হবার ই কথা ... কিন্তু পারছিনা
আজ শুধু বারবার পেছনের দিন গুলোর কথা মনে পড়ছে ... আসলে একটু বেশি আদরের আর ঘর কুনো সাথে অলস হলে যা হয় আর কি ....
মনে হয় দিন গুলো খুব একটা খারাপ যাচ্ছিল না ... samsung r&d তে চাকরি আর বড় ভাইয়া'র গাড়িতে করে অফিস - বাসা ... বন্ধু - বান্ধবদের সাথে আড্ডা আর মাঝে মাঝে তুমুল রাজনৈতিক বিতর্ক, টুকটাক ফ্রীলান্সিং. মাস শেষে কার্ড দিয়ে টাকা তোলা, বসুন্ধরায় কেনাকাটা আর ফুড কোর্টে খাওয়া ... আহ ... আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম টাইপের
ভাইয়া, মা-বাবার উপদেশ, বন্ধু-বান্ধব আর অফিস কলিগদের স্কলারশিপে বাহিরে পড়তে যাওয়া দেখে আস্তে আস্তে আমারো মাথায় ঢুকলো বাহিরে পড়তে যাওয়ার শখ নাকি উচ্চাকাংখা (!!!)
winter 2011 সেশনকে সামনে রেখে শুরু করে দিলাম কানাডার ইউনিভার্সিটি গুলোর website ব্রাউজিং আর প্রফেস্যরদের রিসার্চ ইন্টারেস্ট দেখে তাদের mail করা ... পাশাপাশি IELTS টাও দিয়ে ফেললাম ... হতাশাজনক - আশাব্যান্জক দু'ধরনের reply পেলাম প্রফেস্যরদের থেকে ... ব্যাকবেঞ্চার ছাত্র হলে যা হয় আর কি
দেখতে দেখতে ২ টা ইউনিভার্সিটির অফার লেটার পেলাম ... কিন্তু বিধি বাম
মা, বাবা, ভাই, বোনদের অনুপ্রেরনায় আবার শুরু করে দিলাম fall 2011 এর জন্য প্রস্তুতি ... এবার আল্লাহ সহায় হলেন ... ২ টা ইউনিভার্সিটির স্কলারশিপ/প্রফেসর'র ফান্ড পেলাম .... হিসাব করে দেখলাম যা পাব ত়া দিয়ে আল্লাহর রাহমাতে ইউনিভার্সিটির টিউশন ফী আর কানাডাতে থাকা খাওয়ার খরচ কোনমতে হয়ে যাবে .... এবার তাই অনেকটা আত্মবিশ্বাস ছিলো তারপর ও সতর্কতার জন্য পান্থপথ এর একটা স্টুডেন্ট কাউন্সেলিং এজেন্সির মাধ্যমে ভিসা আবেদনপত্র জমা দিলাম ... চুক্তি মোতাবেক তাদেরকে দিলাম ২০ হাজার টাকা আর চুক্তির শর্ত থাকলো ভিসা হয়ে গেলে তাদের দিতে হবে আরো ৮০ হাজার টাকা ... কিন্তু man proposes but God disposes ... সব আত্মবিশ্বাস ভেঙ্গে দিয়ে আবার ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যাত
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ ভোর ৫:১১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




