somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পুরুষের কি স্বাস্থ্য সেবার দরকার নেই ?!

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



রাস্তায় চলতে ফিরতে প্রায়-ই চোখে পড়ে মাতৃ স্বাস্থ্য ও শিশু পরিচর্চা কেন্দ্র । চোখে পড়ে বিলবোর্ডে বড় করে লেখা স্তন ক্যান্সার এবং জরায়ু ক্যান্সার নিয়ে লেখা বিভিন্ন তথ্য। গর্ভবতী মায়েদের যত্ন আর তরুনীদের নানা স্বাস্থ্য কথা। রয়েছে নানাবিধ স্যানিটারী ন্যাপকিন এর বিজ্ঞাপন। জন্ম নিয়ন্ত্রন করে নারী কিভাবে নিজের ক্যারিয়ারে সাফল হতে পারেন। কিন্তু পুরো ঢাকা শহরেও চোখে পড়েনি পুরুষের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো তথ্য। তাহলে পুরুষের কি স্বাস্থ্য নেই, নাকি স্বাস্থ্য আছে তবে সেটা অবহেলিত।

আমাদের দেশের স্বাস্থ্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান এবং সেগুলোর সেবার ধরন ও পদ্ধতির দিকে একটু মনোযোগের মানবিক দৃষ্টি দিয়ে তাকালে বা অনুধাবন করলে স্পষ্ট হওয়া যায় যে এদেশে স্বাস্থ্য খাতে নারী ও শিশুর তুলনায় পুরুষরা কতটা উপেক্ষিত এবং অবহেলিত। যেমন ধরেন ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালের কথা। সেখানে নারী ও শিশুর স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় বিভিন্ন শিশু বিশেষজ্ঞ এবং স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ (যদিও এটা হওয়া উচিত নারী রোগ বিশেষজ্ঞ) পাবেন। কিন্তু এক্ষেত্রে ঢাকা মেডিকেল সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সেবা মূলক প্রতিষ্ঠানে পুরুষ রোগ বিশেষজ্ঞ চোখে পড়ে না। অথবা মেরিস্টোপস ক্লিনিক, সুর্যের হাসি চিহ্নিত ক্লিনিক, গণস্বাস্থ্য, সবুজ ছাতা সব খানে সেবার দরজা খোলা শুধু নারী ও শিশুদের জন্য। সেখানে আপনি পুরুষ আপনি কোথায়। এটা নিশ্চিত হলাম যে, সমস্যা সমাধানের সুযোগ-সুবিধা কম থাকলে সমস্যার জন্ম হয় না।

তাহলে কি আমি ধরে নেব যে, পুরুষের বিশেষ কোনো রোগ হয় না বলেই তাদের বিশেষজ্ঞের দরকার পড়ে না। যদি এমন টা ধরে নেই তবে যেসব পুরুষ বিশেষ রোগে ভুগছেন তারা আমার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে পারেন। কারন জানলে হয়তো আৎকে উঠতে পারেন যে, বর্তমানে প্রতি বছর মোট পুরুষ ক্যান্সার রোগীর ৭০ ভাগ মারা যাচ্ছেন প্রোস্টেট ক্যান্সারে। যার অন্যতম প্রধান কারন অসচেতনতা। তাছাড়াও বিভিন্ন চর্মরোগ যেমন- স্কাইপিজ, ফাঙ্গাল ইওনফেকশন, বেকটিরিলাস, লাইকেন পস্নানাস, সোরাইসিন, পেমপিগাজ ইত্যাদি যেগুলোতে নারী পুরুষ আক্রান্তের অনুপাত ৪০:৬০।

এবার আসি টিকা বা ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম প্রসংগে। যখন কোনো ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম হয়, হোক সেটা সরকারি কিংবা এনজিও পরিচালিত, সেগুলোও কেবল নারী ও শিশুদের জন্য প্রযোজ্য। পুরুষরা সরকারি ভাবে কেবল ‘ভ্যাসেকটমি’ করানোর জন্য নথিভুক্ত হন। শিশুদের জন্য রয়েছে বেশ কিছু টিকা, গর্ভবতী নারীদের জন্য টিকা, যুবতী নারীদের স্তন ক্যান্সারের টিকা, জরায়ু ক্যান্সারের টিকা, গর্ভনিরোধক টিকা, আছে টিটেনাস টিকা।

যেসব কারনে পুরুষ স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে রয়েছে, তার কারণ গুলো নিন্মরূপ-
১) ধূমপান
২) এ্যালকোহলিক
৩) অনিরাপদ যৌন জীবন
৪) একাধিক নারীর সাথে সম্পর্ক
৫) অল্প বয়সের অদম্য কৌতুহল
৬) দৈনিক বার বার হস্তমৈথন
৭) যৌন উত্তেজক ঔষুধের ব্যবহার
৮) পরিবেশ দূষণ (শব্দ দূষণ+ খাদ্য দূষণ)
৯) টেলিকম নেটওয়ার্ক এর প্রভাব
১০) পর্ণগ্রাফি এডিকশন
১১) অন্তর্বাস

নারী পুরুষের যৌন সম্পর্কে নারীদের স্যাটিশফেকশনের অভাবের কথা এখন বেশ জোরে শোরেই শোনা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক বিবাহ বিচ্ছেদের কারন অনুসন্ধানে এমন তথ্য বিবাহ বিচ্ছেদের কারন সমূহের তালিকায় বেশ উপরের দিকেই জায়গা পেয়েছে।

পুরুষের রোগ বালাই নিয়ে আলোচনার আগে একটা গল্প বলি, গবেষণায় দেখা গেছে নারীদের জীবনে সবথেকে প্রিয় তার সন্তানরা। আর পুরুষের জীবনে সবথেকে প্রিয় তার পুরুষ যৌনাংগ। নারী কোমা থেকে ফিরে প্রথমেই জানতে চান তার সন্তানেরা কেমন আছেন। আর পুরুষ কোমা থেকে ফিরে প্রথমেই তার লিংগের দিকে তাকান। সেটা ঠিক মতো ঠিক জায়গায় আছে কিনা। (সিনেমা- মিড নাইট সান থেকে দেখে নিতে পারেন।) পুরুষের কাছে পৌরষত্ব মূলত নিজ স্ত্রী বা অধিনস্ত নারীদের যৌন সুখ দেয়া। সেটাই প্রমান করে সে আসল পুরুষ। এটা আমার কথা নয় একটা সেমিনার থেকে শুনে এসেছি। অচিরেই এই সংক্রান্ত বই টি প্রকাশিত হলে নিজ দায়িত্বে জানিয়ে দেয়া হবে।

তাই শুরু করি যৌন রোগ দিয়ে- সারা পৃথিবীতে পাঁচটা যৌন রোগ সাধারনত খুব কমন। এর মধ্যে সিফিলিস এবং গনোরিয়া প্রধান। এছাড়াও স্যানক্রয়েড, লিম্ফগ্রানোলোমো বেনেরাস এবং গ্রানোলোমো ইঞ্জিনুয়াল অন্যতম। স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বলছে, যৌন রোগের ধারক ও বাহক পুরুষ আর ক্ষতির শিকার হন নারী।

সিফিলিস মারাত্বক এক যৌন রোগ। এই রোগের প্রভাবে অন্ধত্ব, প্যারালাইসিস এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। সাধারনত গনশৌচাগার থেকে এই রোগের বিস্তার ঘটে। দ্বিতীয় যৌন রোগটি হচ্ছে গনোরিয়া। সারা বিশ্বে বছরে প্রায় দু’শ মিলিয়ন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়। মেইজেরিয়া গনোরিয়া ব্যাকটেরিয়া আক্রমণে এই রোগ হয়ে থাকে। ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সীদের গনোরিয়া হবার সম্ভাবনা থাকে সবচেয়ে বেশি। স্যানক্রয়েড নামক রোগের কারণ হইমোকিলাস ক্রুসি নামক এক প্রকারের জীবানু। এর অন্য নাম সফট সোর।

পুরুষদের মধ্যে প্রস্টেট ক্যান্সার খুবই সাধারন। প্রস্টেট গ্রন্থির মধ্যে কোষগুলো যখন অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে শুরু করে তখনই ক্যান্সার হতে পারে। সাধারণত ৫০ বছরের পর পুরুষদের প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এর চাইতে কম বয়সেও প্রস্টেট ক্যান্সার হতে পারে, কিন্তু সেটা সচরাচর দেখা যায় না। বয়স যতো বাড়তে থাকে, প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ততোই বেড়ে যায়। পরিবারের কারো যদি (ভাই কিংবা বাবার) প্রস্টেট ক্যান্সার থাকে তাহলেও ঝুঁকির সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকখানি।
প্রস্টেট ক্যান্সার হলে আগে যেসব লক্ষণ বলা হয়েছে সেগুলোর সাথে আরো যেসব লক্ষণ দেখা দিতে পারে:
• পিঠের নিচের দিকে ব্যাথা।
• লিঙ্গোত্থানে সমস্যা।
• নিতম্ব বা তার আশেপাশে নতুন করে ব্যাথা দেখা দেয়া।
• বীর্য কিংবা প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া - কিন্তু এটা খুবই কম দেখা যায়।
ক্যান্সার পরীক্ষার জন্য সবগুলো উপসর্গের জন্য অপেক্ষা করার প্রয়োজন নেই। কারণ বেশিরভাগ সময়েই প্রস্টেট ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। প্রস্টেট খুব ছোট একটা অঙ্গ হওয়ায় খুব বড় কোন ধরেনর লক্ষণ বুঝতে পারা যায় না। তাই উপরের উপসর্গগুলোর এক বা একাধিক যদি দেখা যায় তাহলে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে পরীক্ষার জন্য যাওয়া উচিত।

পুরুষের স্বাস্থ্য সমস্যায় হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ এর কথা বেশ ঘন ঘনই শোনা যায়। মূলত ধূমপান এবং অতিরিক্ত অ্যালকোহল রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় এবং তা হৃৎপিণ্ডের জন্য ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে। মানসিক চাপ এর কথা তো বলাই বাহুল্য। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে নেই যাদের তারা অচিরেই এই সমস্যার সম্মুখিন হতে পারেন।ফুসফুসের দীর্ঘমেয়াদি রোগ, বিশেষ করে ক্রনিক ব্রংকাইটিস এবং পালমোনারি এমফাইসিমায় অনেক পুরুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। সব ক্ষেত্রে পুরুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষার মূল সূত্রটি একই; আর তা হচ্ছে_স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত ব্যায়াম ও শরীর চর্চা, ধূমপান পরিহার, মদপান না করা এবং নিয়মিত চিকিrসকের পরামর্শ মোতাবেক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো।

হার্নিয়া আমাদের দেশের লোকজনের কাছে বেশ পরিচিত একটি রোগ৷ এটা হয়তো অনেকেরই জানা যে, আমাদের পেটের ভিতরে খাদ্যনালী থাকে যা মুখ থেকে পায়ু পর্যন্ত বিস্তৃত৷ সাধারণত খাদ্যনালী ২০ থেকে ৩০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে৷ হার্নিয়ার ক্ষেত্রে পেটের কিছু দুর্বল অংশ দিয়ে ক্ষুদ্রান্ত্রের অংশ বিশেষ অণ্ডথলিতে চলে আসে৷ তখন কুচকি এবং অণ্ডথলি অস্বাভাবিক ফুলে যায় এবং ব্যথা ।যদি আপনার কোনো কুঁচকিতে ব্যথা হয় কিংবা ফোলা দেখতে পান তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন। এই ফোলা বেশি দেখা যাবে যখন আপনি দাঁড়াবেন। সাধারণত আক্রান্ত অনুভব করতে পারেন। আপনি শুয়ে পড়লে হার্নিয়া আপনা আপনি মিলিয়ে যাবে অথবা আপনি হাত দিয়ে হালকা চেয়ে পেটে ঢুকিয়ে দিতে পারবেন। যদি তা না হয় তাহলে জায়গাটিতে বরফের সেঁক দিলে ফোলা কমে গিয়ে হার্নিয়া চলে যায়। শোয়ার সময় মাথার তুলনায় কোমর উঁচু করে শুতে হবে। যদি আপনি হার্নিয়া ঢোকাতে না পারেন তাহলে বুঝতে হবে অন্ত্রের অংশ পেটের দেয়ালে আটকে গেছে। এটি একটি মারাত্মক অবস্থা এ ক্ষেত্রে জরুরিভাবে অপারেশনে প্রয়োজন হয়। এ পর্যায়ে বমি বমি ভাব অথবা জ্বর হতে পারে এবং হার্নিয়া লাল, বেগুনি অথবা কালো হয়ে যেতে পারে। যদি এ ধরনের কোনো চিহ্ন বা উপসর্গ দেখা দেয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

যদি আপনি কখনো লক্ষ্য করেন আপনার মূত্রনালী দিয়ে রস নিঃসরণ হচ্ছে, তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে আপনি যৌনবাহিত রোগে সংক্রামিত হয়েছেন। মূত্রনালি প্রদাহ রোগটি সাধারণত যৌন সংক্রান্ত রোগ। যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলে ইউরেথ্রাইটিস বলা হয়। এটা সব সময় যৌন সংক্রামণ দ্বারা ঘটে। তবে অনেক সময় তা নাও হতে পারে এবং এর সীমাবদ্ধ যৌন সম্পর্কের মধ্যেও ঘটতে পারে। যদি তা হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অণ্ডকোষের বৃদ্ধি বা হাইড্রোসিল ।অণ্ডকোষের চামড়া বেশ মোটা, এর মধ্যে দুটি পর্দা আছে – একটির নাম টিউনিকা ভেজাইলেনিস এবং অপরটি হলো টিউনিকা এলবুজিনিয়া। এই পর্দা দুটি হতে স্বাভাবিক অবস্থায় এক প্রকার জলীয় পদার্থ নিঃসৃত হয় এবং ইহার ফলে পর্দা দুটি মসৃন ও সিক্ত থাকে এবং পর্দা দুটি একত্রে জুড়ে যায় না। কোন কারণ বশত যখন উক্ত জলীয় পদার্থ স্বাভাবিক অপেক্ষা অধিক পরিমানে নিঃসৃত হয় আর তা শোষিত না হয়ে পর্দা দুটির মধ্যে জমে থাকে এবং ক্রমশই পরিমানে বৃদ্ধি পেতে থাকে, তখন অণ্ডকোষটি আকারে বৃদ্ধি পেয়েছে মনে হয়। এই অবস্থাকেই বলা হয় কোষবৃদ্ধি বা হাইড্রোসিল। বাস্তবপক্ষে ইহা অণ্ডকোষের এক প্রকার শোথ বিশেষ। হাইড্রোসিল নানা কারণে হতে পারে যেমন – আঘাত লাগা, অত্যধিক কৃত্রিম উপায়ে মৈথন, চাপ লাগা, কোন প্রকার ইনফেকশন ইত্যাদি। ইরিটেসনের ফলে কোষের বৃদ্ধি হতে পারে। ভিতরে পুজের মত একপ্রকার তরল পদার্থ থাকার কারণে কোষ শক্ত হয়।তবে সাধারণত স্বাস্থ্যভঙ্গ, শোথ রোগ, আঘাত লাগা, অণ্ডকোষ ঝুলে থাকা ইত্যাদি কারণেই বেশি হয়ে থাকে।

কোমল পানীয়, এনার্জি ড্রিঙ্ক বা অ্যালকোহলের মত অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় পানীয় হতে পারে আপনার পুরুষত্বহীনতা ও সন্তান জন্মদানে অক্ষমতার কারণ।গবেষণার মধ্যে দিয়ে দেখা গিয়েছে যে পানীয় গুলোতে সুগারের পরিমাণ বেশি থাকে সেগুলো বেশি পান করা হলে পুরুষদের শুক্রানু-র পরিমাণ হ্রাস পায়।

সাধারণত অনেকেই মনে করেন, স্তন ক্যান্সার শুধু মহিলাদেরই হয়ে থাকে। কিন্তু আপনারা হয়ত অনেকই জানেন না যে এই সমস্যাটি পুরুষদের হয়ে থাকে । পুরুষদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের প্রবণতা কম থাকলেও বর্তমানে এর প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু পুরুষদের স্তন ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে বহুক্ষেত্রে এই ক্যান্সার প্রাণঘাতী হয়ে উঠছে। পুরুষদের বুকের দেওয়ালে স্তনবৃন্তের ঠিক নিচে অল্প পরিমাণ অকার্যকরী কিছু স্তন কোষ থাকে। এই কোষগুলির অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধির ফলে পুরুষদের মধ্যে স্তন ক্যান্সার দেখা দেয়। ২০১০ সালে পৃথিবী জুড়ে পুরুষদের মধ্যে মোট ১,৯৭০টি স্তন ক্যান্সারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। তার মধ্যে ৩৯০জন এই ক্যান্সারে প্রাণ হারান।

পুরুষের স্বাস্থ্য সচেতনতা অভাবের এই সুযোগ টি নিচ্ছে বিভিন্ন হারবাল ও ভেষজ চিকিৎসকরা। হাটে মাঠে ঘাটে রাস্তার মোড়ে মোড়ে খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে যৌন উত্তেজক ঔষধ। বিজ্ঞাপনে বলা হয়, পুরাতন- গোপন- ও কঠিন রোগের চিকিৎসা করা হয়। মানে এই সব প্রতিষ্ঠান-ই আপনার শেষ ভরসা বা ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ন হয়েছেন।

স্বাস্থ্য আপনার তাই সচেতনও হতে হবে আপনাকেই :) :)
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৫৭
২৫টি মন্তব্য ২৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×