সামুতে ব্লগ লিখি ৫বছর ২মাস হয়ে গেছে। নিজেকে আদতে আমি ব্লগার ভাবিনা। ব্লগার পরিচয়টা আমার কাছে বেশ উঁচু দরের। হয়তো ব্লগার পরিচয়টাই কোনো একদিন আমি গর্ব ভরে দিতে পারবো। যাক মূল প্রসঙ্গে মানে, সামুর সৌজন্যে পাওয়া উপহার নিয়ে কথা বলি…
ব্লগে লিখবো এমন কোনো পরিকল্পনা ছিলো না, আগ্রহ? নাহ। আকাংক্ষা? তাও না। তবে কোনোকিছু না জেনে-বুঝে-ভেবে একদিন ছোটভাইকে বললাম, সামহোয়্যারইন ব্লগে আমাকে একটা একাউন্ট করে দাও। ফেসবুকের সুবাদে সোস্যাল মিডিয়ার সাথে পরিচয় ছিলো বলেই ‘নিক’ না বলে একাউন্ট বলেছিলাম। তারপর ২০১৫ সালে মার্চ মাসে ‘নিক’ রেজিষ্ট্রেশন করা হলো। ২৯মার্চ থেকে লেখা প্রথম পাতায় প্রকাশের অনুমতি মিললো।
তারপর? তারপর থেকে লিখছি। ডাকবাক্স, চিঠিপত্রে গল্প, ইতি তোমারই ঢাকা শিরোনামে তিনটা সিরিজ লিখেছি। প্রতিটা সিরিজ ১০পর্ব করে। অতঃপর লেখা চুরি হলে সিরিজগুলো সরিয়ে নিয়েছি।
সামুতে লিখতে গিয়ে প্রথম মনে হলো, বাহ্ লেখালিখিতে তো বেশ আনন্দ! এরপর প্রিন্ট মিডিয়াতে আনন্দ নিয়ে খেলার ছলে লেখা পাঠালাম, প্রকাশও হলো! পরবর্তী লেখা চেয়ে ফোনকল কিংবা মেইল পেয়েছি। পরেরবার লিখেছি, তারপর আবারও। আবার কখনো কখনো রেডিও শোতে অতিথি হয়ে কথা বলেছি, সেও ঐ লেখালিখির কল্যাণেই।
লিখলে লেখককে যে সম্মানি দেয়া হয় সেটার সাথেও পরিচয় হলো। লেখালিখির সম্মানি একটা ছোট্ট বাক্সে জমিয়ে রাখতাম। ছোটবেলায় যেমন নানা দেশের ডাকটিকিট জমাতাম ঠিক তেমন। পাঁচবছরে এসে বাক্সটা খুলে গুনে দেখি, মাই গুডনেস এত্তগুলো সম্মানি জমেছে। অনুমান করুন তো কত হতে পারে? আমার জাদুর বাক্স থেকে বের হলো ৫০,০০০/= টাকা । জ্বী হ্যাঁ, পঞ্চাশহাজার টাকা!
আমি আবার টাকাপয়সা জমিয়ে রাখার ঘোর বিরোধি। কী করা যায়? কি যে করি! ভেবে চিন্তে মাতাশ্রীর পছন্দে কিনে এনেছিলাম এই ব্যংলেট। এটার পরিচয় আমার কাছে সামুর সৌজন্যে পাওয়া উপহার। আমি আমার কাজকে সম্মান করি।
এরকম আরো অনেক উপহারের অপেক্ষায়… হ্যাপি ব্লগিং!
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৭