হাজবেন্ড এপ্রিসিয়েশন ডে গেল। এপ্রিসিয়েশন মানে গিয়ে হলো স্বামী’র কদর, উপলব্ধি, গুনগ্রহীতা, আদর, মর্যাদাদান, সমাদর, তারিফ, সমঝদারি, মূল্যবিচার, মূল্যায়ন করার দিন।
বাঙালি স্ত্রীরা হাজবেন্ডকে এপ্রিসিয়েশন করলেই স্বামীদের
প্রথম প্রশ্ন হয় অনেকটা এমন 'তোমার কি শরীর খারাপ লাগছে?।
দ্বিতীয় প্রশ্ন- তোমার কি কিছু লাগবে?।
তৃতীয় সম্পূরক প্রশ্ন - কোনো বিশেষ ভুল ভ্রান্তি!
পেয়ে অভ্যাস নেই তো তাই...
তারপর ধরুন, যেদেশে স্বামী মাত্রই আসামী... না না সিনেমার কথা বলছি না, বাস্তবতাটাই এমন। দেখুন গণমাধ্যমের পাতা জুড়ে স্ত্রী নির্যাতনের খবর তো আমরা রোজ পড়ি। রোজ। এদেশে যে পরিমাণ যৌতুক আইনে মামলা হয় সেই পরিমান মাছও বাজারে বিক্রি হয় না।
স্ত্রীর কটুবাক্য বাণে বিদ্ধ হননি এমন স্বামী খুঁজে পাওয়া দায়। এবং বলাই বাহুল্য কটুবাক্যের ভয়ে ভীতসন্ত্রস্ত যারা তারা তো অর্ধেক মানুষ।
সেখানে একদিনের ভালো ভালো কথা, লেখা, ব্যবহার!! স্বামী বেচারার ঠিক হজম হয় না। আমাদেরই (নারীদের)আর দোষ কোথায় বলুন, সব ভালো ভালো স্বামী তো সিরিয়ালে ঢুকে বসে আছে। তারা দেখতে ভালো। আয় রোজগার ভালো। সংসারের ভালো মন্দে স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শোভাবর্ধন করেন।
মেয়ে জন্মানোর সবচেয়ে বড় সুবিধা কি জানেন? কোন মেয়ের সাথে সংসার করতে হয় না।
ভুলে গেলে চলবে না যে 'বিবাহ পুরুষের দায় বাড়ায়, আর নারীর বাড়ায় দাম'।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৩৫